1. admin@sunnarayanganj24.com : dinkalnarayangan :
  2. greeceman@mail.com : greeceman :
  3. mrokon5@gmail.com : Majharul Rokon : Majharul Rokon
সচেতনতাই পারে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে Sun Narayanganj
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
সাগর প্রধানের বড়ভাই ডালিম প্রধানকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার আড়াইহাজারে আঙ্গুরের ব্যর্থতায় আজাদের মুঠোবন্দি বিএনপি: কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় সুমন! সোনারগাঁও আসনে বিএনপির একক প্রার্থী: আওয়ামীলীগ-জাতীয় পার্টির টানাটানি! পবিত্র ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ, দোয়া কামনা শামীম ওসমানের সমাবেশে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের শোডাউন এমপি শামীম ওসমানের সমাবেশে হাসান ফেরদৌস জুয়েলের নেতৃত্বে আইনজীবীদের অংশগ্রহণ অয়ন ওসমানের শোডাউন নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভ সমাবেশ সাবেক এমপি কমান্ডার সিরাজের স্ত্রীর মৃত্যুতে মহানগর বিএনপির শোক প্রকাশ শামীম ওসমানের সমাবেশে কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যোগদান

সচেতনতাই পারে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে

সান নারায়ণগঞ্জ
  • আপডেট শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯
  • ১ Time View
image 142524

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

রাজধানীর একটি বেসরকারি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী সারিতা। পড়ালেখায় মন দিতে পারছে না। বইয়ের পাতা ওল্টালেই সেখানে তার মায়ের মুখখানা ভেসে ওঠে। চোখের পাতা ভিজে আসে। চিৎকার করে কাঁদতেও পারে না। একবছর আগে একমাত্র সন্তান সারিতাকে ছেড়ে মা নাবিলা চলে গেছেন মৃত্যুর ওপারে।

দূরারোগ্য স্তন ক্যানসারের সাথে লড়াই করে হেরে যান নাবিলা। রোগটার ধরা পড়েছিল বেশ দেরি করে। মায়ের চিকিৎসার কমতি রাখেননি বাবা। বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। তাই, মায়ের কষ্টের কথা মনে করে সে হাজির হয়েছিল রাজধানীর শাহবাগের মোড়ে ১০ অক্টোবর স্তন-ক্যানসার সচেতনত দিবসের সমাবেশে।

তবে, সোয়েব আর রাসেল-এই দু’ভাইয়ের কাহিনিটা সারিতার চেয়ে ভিন্ন। ওদের মা সুরাইয়া পারভীনেরও ক্যানসার ধরা পড়েছে, তবে, তা ছিল প্রাথমিক অবস্থায়। সে কারণে, উপযুক্ত চিকিৎসায় নিয়ে গত চার বছর ধরে তিনি বেশ সুস্থ জীবন যাপন করছেন।

সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে বাংলাদেশের নারীরা প্রকাশ্যে ‘স্তন’ শব্দটি উচ্চারণ পর্যন্ত করতে চান না, ফলে, শরীরে প্রাথমিক কোনো লক্ষণ দেখা গেলেও তারা তা গোপন রাখেন। যে কারণে, বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে।

তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্তন ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিও পাশাপাশি স্ক্রিনিং কার্যক্রম চালু হওয়ার কারণে এখন আগেভাগেই রোগ ধরা পড়ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে, সঠিক ও পূর্ণ চিকিৎসায় শতকরা ৯০ জনই সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশ ক্যানসার ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার জানান, স্তন ক্যানসারে শুধু নারীরা নন, পুরুষেরাও আক্রান্ত হতে পারেন। তবে, নারীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে, যেহেতু বাংলাদেশে ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে সচেতনতার অভাব আছে। ফলে, দেখা যায়, যারা চিকিৎসা নিতে আসেন, তাদের বেশির ভাগই প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে চিকিৎসা নেন। কারো স্তনের বোঁটা দিয়ে দুধের মত সাদা রস নিঃসৃত হতে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যথা বা স্তন লাল রঙ হয়ে গেছে এমন লক্ষণ নিয়ে এলে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব এবং সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু সে অবস্থা নিয়ে খুব কম রোগীই আসেন।

স্তন ক্যানসারে নারীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, এতদিন এই ক্যানসারের ব্যাপারে নারীদের সচেতন করার জোরটা ছিল বেশি, কিন্তু এখন পুরুষদেরকেও সচেতন করার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদিও পুরুষদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার খুবই কম।

প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে ক্যানসার নিরাময়যোগ্য। তবে, আমাদের সমাজে ক্যানসারে আক্রান্ত মানুষকে এখনো রোগের পাশাপাশি লড়াই করতে হয় সমাজের সঙ্গে। এ সময়ে খুব প্রয়োজন কাছের মানুষদের আন্তরিক সহযোগিতা। সেটা পেলে লড়াইটা হয় সহজ।

ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. নাজনীন নাহার বলেন, দেরিতে সন্তান গ্রহণ, আবার যাদের সন্তান নেই, বা সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি বা ফলমূলের চাইতে চর্বি ও প্রাণীজ আমিষ বেশি থাকলে এবং প্রসেসড ফুড বেশি খেলে এবং অতিরিক্ত ওজন যাদের তাদেরও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।
চিকিৎসকদের মতে, ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের ঝুঁকির মাত্রা সবচেয়ে বেশি। স্তন ক্যানসারে যতজন আক্রান্ত হন তাদের ৮০ ভাগেরই বয়স হচ্ছে ৫০-এর ওপর। সেই সঙ্গে যাদের পরিবারে কারোর স্তন ক্যানসার রয়েছে তাদেরও এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি থাকে।

এই কারণে, ৫০ থেকে ৭০ বছর বয়সী নারীদের প্রতি তিন বছর পর পর ব্রেস্ট স্ক্রিনিং বা ম্যামোগ্রাম করানো উচিত। আর এই পরীক্ষার জন্য মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে। ম্যামোগ্রাম হচ্ছে এক্স-রে’র মাধ্যমে নারীদের স্তনের অবস্থা পরীক্ষা করা। সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার এতো ছোট থাকে যে বাইরে থেকে সেটা বোঝা সম্ভব হয় না। কিন্তু ম্যামোগ্রামের মাধ্যমে খুব ছোট থাকা অবস্থাতেই বা প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যানসার নির্ণয় করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ক্যানসার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। -বাসস

© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সান নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL