সিদ্ধিরগঞ্জে ঝুট ও জমি দখলে বেপরোয়া সন্ত্রাসী মতির ভগ্নিপতি শাহআলম মানিক

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঝুট সেক্টর দখল নিয়ে গত ৫ আগস্টের পর থেকে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছেন শাহআলম মানিক নামে কথিত বিএনপি নেতা। এই শাহআলম মানিক সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক সন্ত্রাসী মতিউর রহমান মতির ভগ্নিপতি পরিচয়ে বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলেও ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। বর্তমানে সেই মতির বিভিন্ন সেক্টর দখল সহ জমি দখলে বেপরোয়া হযে ওঠেছে শাহআলম মানিক। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহামুদের পরিচয়ে পুরো সিদ্ধিরগঞ্জ ধাবিয়ে বেড়াচ্ছে এই মানিক, যাকে বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় দেখা যায়নি।

এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান। ৩১ জুলাই রাত ৮টার দিকে নাসিকের ৬নং ওয়ার্ডের সুমিলপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। এর আগে বাবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে পিস্তল ঠেকিয়ে অপহরণ করে মারধর করা হলে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়দের দাবি, জেলা বিএনপির সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম মানিক এবং বিএনপি নেতা রুহুল আমিনের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। তারা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। তবে পুলিশ গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

ঘটনার বিষয়ে বিএনপি নেতা রুহুল আমিন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেন, “শাহ আলম মানিক আমাদের দলের একজন কর্মী বাবলুকে পিস্তল দিয়ে মারধর করেন। আমরা বিষয়টি জানতে চাইলে মানিক পালিয়ে যান। আমাদের কেউ গুলি চালায়নি, বরং মানিকই ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছেন।”

অন্যদিকে, শাহ আলম মানিক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেন, “আমি বাড়ির সামনে বসা ছিলাম। হঠাৎ রুহুল আমিন ৫০-৬০ জন সহযোগী নিয়ে আমার ওপর অস্ত্রসহ হামলা চালায়। তারা ছয় রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং আমার ব্যানার ভাঙচুর করে। হামলার সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে।”

আহত বাবুল হোসেনের ভাই সেলিম মিয়া অভিযোগ করেন, “আমার ভাইয়ের জমি দখল করতে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।”

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। গুলির কোনো প্রমাণ মেলেনি এবং এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগও দেয়নি।”