১৪নং ওয়ার্ডে মনির ও শফির অবস্থা নাজুক, শক্ত অবস্থানে বিএনপির একক প্রার্থী দিদার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৫জন প্রার্থীর নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। যার মধ্যে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির তথা সরকারি দলের অনুগামী ৪জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে। যেখানে বিএনপি’র একক প্রার্থী হিসেবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন রোটারিয়ান দিদার খন্দকার। এখানে আওয়ামী লীগের ভোট ভাগাভাগি হবে, বিএনপি’র একক ভোটের উপর নির্ভর করে শক্ত অবস্থান দিদার খন্দকারের। একই সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গের ও সাধারণ মানুষের ভোট আদায়ের লক্ষ্যে ঘরে ঘরে যাচ্ছেন দিদার খন্দকার।

আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকলেও দিদার খন্দকারের সঙ্গে মূল লড়াই হবে বর্তমান কাউন্সিলর সফিউদ্দিন প্রধান ও সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের। এছাড়াও এলাকাভিত্তিক নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুম আহমেদ ও আলিফ হাবিব জরদান। এ কারনে সব মিলিয়ে কাউন্সিলর সফিউদ্দিন প্রধান, সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির ও দিদার খন্দকারের মধ্যেই হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই- সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।  স্থানীয়রা এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন চান।

স্থানীয়রা আরো জানান, ১৪নং ওয়ার্ডের উত্তরাঞ্চলে রয়েছেন সফিউদ্দীন প্রধান যার সেদিকে ভোট ব্যাংক রয়েছে। অন্যদিকে মনিরুজ্জামান মনির তিনি রয়েছেন ওয়ার্ডের দক্ষিণাঞ্চলের প্রার্থী। এখানে মনিরুজ্জামান মনিরের ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। যদিও নির্বাচনের শফিউদ্দিন প্রধানের বর্তমান অবস্থা অনেকটা নাজুক। সেক্ষেত্রে দক্ষিণাঞ্চলের ভোটের ক্ষেত্রে মনিরুজ্জামান মনিরের ভোটব্যাঙ্ক থেকে বিপুলসংখ্যক আদায় করে নিবেন দিদার খন্দকার। যার ফলে মনিরের অবস্থানও নড়বড়ে। এক্ষেত্রে দক্ষিণাঞ্চল থেকে দিদা খন্দকার বিপুল সংখ্যক ভোট আদায়ের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি এলাকা থেকেই ভোট আদায়ের লক্ষ্যে তিনি ঘরে করে যাচ্ছেন। ফলে মনিরুজ্জামান মনির ও শফিউদ্দিনের মধ্যে লড়াইয়ে দিদার খন্দকারেরও জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। কারন হলো উত্তরাঞ্চলে সফিউদ্দিন প্রধানের এলাকায় আরো দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুম আহমেদ ও আলিফ হাবিব জরদান রয়েছেন। যেখানে শফিউদ্দিনের ভোটব্যাঙ্কের বিশাল অংশের ভোট পেতে পারেন মাসুম আহমেদ ও জরদান।

এক্ষেত্রে এলাকাবাসী মনে করছেন, নির্বাচনে মূল্য লড়াই হতে পারে মনির ও দিদার খন্দকারের মাঝেই। কারণ উত্তরাঞ্চলে তিন প্রার্থী, দক্ষিণাঞ্চলে দুই প্রার্থী। শফিউদ্দিনকে উত্তরাঞ্চলের শক্ত প্রার্থী হিসেবে মনে করা হলেও যেখানে আরো দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকায় সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক ভোট মাইনাস হবে- এমন ধরনের নানা বিশ্লেষণ করছেন স্থানীয় ভোটাররা। যার ফলে সম্ভাবনা জাগছে দিদার খন্দকারের। সফিউদ্দিন প্রধান জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সাথে জড়িত থাকলেও তাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, সফিউদ্দিন প্রধান একাধিকবার কাউন্সিলের ছিলেন। মনিরুজ্জামানও কাউন্সিলর ছিলেন। তাদেরকে ইতিপুর্বে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন ওয়ার্ডবাসী। তাদেরকে যাচাই করেছেন স্থানীয় ভোটাররা। তাদের প্রতি ব্যাপক নাখোশ ওয়ার্ডবাসী। ফলে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে এই নির্বাচনে। সেই পরিবর্তনের লক্ষ্যে মাসুম আহমেদ ও জর্দানের চেয়ে দিদার খন্দকারকেই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন ভোটাররা।

জানা গেছে, এ নির্বাচনে ঝুঁড়ি প্রতীক নিয়ে দিদার খন্দকার, ঘুড়ব প্রতীক নিয়ে মনিরুজ্জামান মনির, লাঠিম প্রতীক নিয়ে সফিউদ্দিন প্রধান, ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে মাসুম আহমেদ ও ব্যাডমিন্টন প্রতীক নিয়ে আলিফ হাবিব জরদান নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।