জামিন পেয়ে অসুস্থ্য নেতাদের বাসায় ছুটে গেলেন কাউন্সিলর খোরশেদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অসুস্থ নেতাকর্মীদের পাশে দাড়াতে শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের জনপ্রিয় কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ যুবদলের নেতাদের নিয়ে নির্যাতিত নিপীড়িত ও নানা সমস্যায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের পাশে দাড়ানোর উদ্যোগ দেন। ওই দিন তিনি উচ্চ আদালত থেকে দুটি মামলায় জামিন পেয়েই অসুস্থ্য নেতাদের বাসায় ছুটে যান।

৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, যুগ্ম সম্পাদক সাগর প্রধান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা সহ যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহিলা দলের নেত্রী বিনু আক্তার ও মৎসজীবি দলের ইব্রাহিম সরদারকে দেখতে তাদের বাসায় যান। ওই সময় যুবদল নেতারা অসুস্থ্য নেতাদের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের পাশে চিকিৎসায় দাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেন যুবদল নেতারা।

এমপি সেলিম ওসমানের ধন্যবাদ পেলেন নারায়ণগঞ্জ ডিসি রাব্বী মিয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে ৩৩ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী ড্রেজার জুনিয়র হাইস্কুলটি পুণরায় চালু করার মধ্য দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩’শ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঝে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে যার মধ্য দিয়ে স্কুলটিতে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সংসদ সদস্যের আহবানে সাড়া দিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে স্কুলটি খুলে দেয়ায় ড্রেজার পরিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুদ্দিন আহমেদ, সিবিএ নেতা রবিউল হোসেন সহ স্কুলটির সাথে সম্পৃক্ত ড্রেজার পরিদপ্তরের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

পাশাপাশি তাঁর সাথে আলোচনার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সচিবের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে স্কুলটি পুণরায় চালু করতে সর্বাত্মক সহযোগীতা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বি মিঞাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে স্কুলটি পুণরায় চালু করার পর সন্ধ্যায় এমপি সেলিম ওসমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি আরো বলেন, স্কুলটি যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে পুণরায় যেন স্কুলটি বন্ধ না হয়ে যায় সে ব্যাপারে সবাইকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করবেন। প্রয়োজনে স্কুলটি পরিচালনার ব্যয় বহনের দায়িত্ব নারায়ণগঞ্জের মানুষই গ্রহণ করবেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, এর আগে রোববার সন্ধ্যায় রাইফেল ক্লাবে স্কুলটি পুণরায় চালু করার ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার মালার নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এমপি সেলিম ওসমানের সাথে দেখা করে বিস্তারিত বিষয়ে অবহিত করেন। এ সময় তিনি ড্রেজার পরিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুদ্দিন আহমেদ এর মোবাইলে কথা বলে স্কুলটি খুলে দেওয়ার আহবান রাখেন। সেই সাথে মামলা বা তদন্তের কারনে যেন স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ না রাখতে আহবান রাখেন। পাশাপাশি তিনি স্কুলটি দ্রুত চালু করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক রাব্বি মিঞাকে অনুরোধ করেন।

যার ফলপ্রসূতে মাত্র ১দিন পর সোমবার সকালেই ড্রেজার পরিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুদ্দিন আহমেদ স্কুলের তালা খুলে পুণরায় চালু করার ব্যবস্থা করেন। এমপি সেলিম ওসমানের স্কুল খুলে দেওয়ার আহবানে সোমবার সকালে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুল প্রাঙ্গনে গিয়ে উপস্থিত হয়ে ছিলেন। তালা খুলে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের নিয়ে উড়ানো হয় জাতীয় পতাকা, গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত। পরে শিক্ষার্থী তাদের ক্লাসে গিয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের মধ্যে ছিল এক উচ্ছ্বাসের ঘনঘটা। সেই সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষিকারাও যেন প্রাণ ফিরে পায়।

স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার মালা জানান, ৪ ফেব্রুয়ারী থেকেই স্কুলটি পুনরায় চালু করার জন্য নির্দেশ দেন এমপি সেলিম ওসমান। এছাড়া স্কুলটির প্রতি মাসের ব্যায়ভারের বিষয়টি তিনি পরবর্তীতে দেখবেন বলেও আশ্বাস দেন।

কবি রহমান মুজিবের ‘বুকের বামে সোনারগাঁ’

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

প্রকাশিত হলো কবি রহমান মুজিবের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ ‘বুকের বামে সোনারগাঁ’। সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঐতিহ্যের ছায়া অবলম্বনে তিনি রচনা করেছেন এ কাব্যগ্রন্থটি। এ গ্রন্থের প্রতিটি কবিতায় কবি’র জন্মস্থান সোনারগাঁয়ের প্রাচীন ঐতিহ্য ও জৌলুসকে নানা উপমায় তিনি তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর বর্তমান দৈন্য দশাও ফুটে উঠেছে তার পংক্তিমালায়।

৪টি পর্বে মোট ৪৮টি কবিতার সম্মিলন ঘটেছে এ গ্রন্থে। ৪টি পর্বকে তিনি পানামপর্ব, ব্রহ্মপুত্রপর্ব, খাসনগরপর্ব ও কারুপল্লীপর্ব নামে আখ্যায়িত করেছেন। প্রতিটি পর্বের নামানুসারে ১২টি করে কবিতা রচনা করেছে কবি রহমান মুজিব। গ্রন্থটির শুরু ও শেষে রয়েছে সোনারগাঁয়ের মানচিত্র যা পাঠককে সোনারগাঁ সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারনা দেবে বলে মনে করেন কবি।

সোনারগাঁয়ের নিজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পাঠকের কাছে তুলে ধরতে বিষয় ভিত্তিক এ কবিতার বইটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। সোনারগাঁয়ের সাহিত্যাঙ্গনে কাব্যগ্রন্থের বেলায় এটাই এ ধরনের প্রথম রচনা। শুধুমাত্র সোনারগাঁকে নিয়ে পুরো একটি কাব্যগ্রন্থ সোনারগাঁ তথা সারা দেশেই প্রথম। এবারের একুশের গ্রন্থ মেলায় বেহুলা বাংলা প্রকাশনী থেকে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থটির মূল্য রাখা হয়েছে ২০০টাকা। আয়ুব আল- আমীনের করা চমৎকার প্রচ্ছদ এ গ্রন্থ সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলবে সাহিত্যপ্রেমীদেরকে ।

এর আগে কবি রহমান মুজিবের আরো তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হলো রক্ত রুদ্রের তারুণ্য(২০১১), মৃত্তিকার জখম(২০১৫) ও কাল রাত্রের মানুষ(২০১৬)।

কবি রহমান মুজিব ১৯৬৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁ উপজেলার ছায়া সুনিবিড় মল্লিকের পাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা রাজা মিয়া ও মাতা জায়মুন নেছা দুজনেই এখন প্রয়াত। পেশাগত জীবনে তিনি একজন শিক্ষক। পাশাপাশি নিষ্ঠার সাথে সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। লোখালেখির স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৬ সালে পেয়েছেন রুদ্র ছায়া গুণীজন সাহিত্য সম্মাননা।

পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র স.ম নাফিস রহমান ও এক কণ্যা মুসফিকা রহমানের জনক। কাব্য রচনায় সহধর্মিনী নিলুফার ইয়াসমিনের অনুপ্রেরণা তার কবি জীবনকে করেছে স্বার্থক।

‘ষড়যন্ত্রমুলক’ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন ‘সাহসী’ নেত্রী মৌসুমী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জিডিটাল নিরাপত্তা আইনে সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্র সমাজ সভাপতি ফজলুল হক মাস্টারের দায়ের করা মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় জাতীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। তিনি জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পালিত কন্যা। গত ২০ নভেম্বর সোনারগাঁ থানায় মামলাটি দায়ের করেন স্থানীয় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার অনুগামী কর্মী ফজলুুল হক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাজকে কেন্দ্র করে মৌসুমীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। এই মামলাটি রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্রমুলক দাবি করেছেন অনন্যা হুসেইন মৌসুমী।

অনন্যা হুসেইন মৌসুমীর আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আলী আহাম্মদ ভূ্ইঁয়া জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার মামলায় হাজির দিয়েছেন মৌসুমী। গত ২৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে স্থায়ী জামিন লাভ করেন মৌসুমী। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে তিনি নিম্ম আদালতে আত্মসমর্পন করেন।

এদিকে বুধবার সকালে আদালতে হাজিরা শেষে অনন্যা হুসেইন মৌসুমী বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মুলত আমাকে রাজনীতি থেকে সরাতেই এ মামলাটি দায়ের করা হয়। আমার বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই হোক আমি সোনারগাঁয়ের মানুষ ও মা বোনদের পাশে ছিলাম, যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন সকলের পাশে থাকবো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে আদালতের নির্দেশ মত আমি নিম্ম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছি। আমাকে আদালত জামিন দিয়েছেন। নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছি।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, অনন্যা হুসেইন মৌসুমীর নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে জাতীয়পার্টির তৎকালীন মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে ইঙ্গিত করে একটি স্ট্যাটাজ দেন ফেসবুক ব্যবহারকারী ব্যক্তি। এ নিয়ে গত ২০ নভেম্বর অনন্যা হুসেইন মৌসুমীকে অভিযুক্ত করে সোনারগাঁও থানায় একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুল হক মাস্টার। ছাত্র সমাজের এই নেতা বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার অনুগামী কর্মী হিসেবে পরিচিত। ওই মামলার পর দিন ২১ নভেম্বর সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে জেলা জাতীয় পার্টি। এর আগে মৌসুমী সোনারগাঁও জাতীয় পার্টির সভাপতি ছিলেন। তাকে বাদ দিয়ে এই নতুন কমিটি গঠন করা হয়। অথচ তিনিই সোনারগাঁয়ের জাতীয়পার্টিকে প্রাণ এনে দিয়েছিলেন।

নেতাকর্মীদের সূত্রে জানাগেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে এখানে মোশারফ হোসেন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় জাতীয় পাটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে এ আসনে মনোনয়ন নিয়ে কাজ করে আসছিলেন মৌসুমী। এমনকি মৌসুমীই পাবেন সোনারগাঁয়ে লাঙ্গলের মনোনয়ন এমন ঘোষণাও দিয়েছিলেন এরশাদ।

নেতাকর্মীরা বলছেন, সোনারগাঁয়ে মৌসুমীর শক্ত অবস্থানের কারনে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিশাল সমাবেশ করেছিলেন চেয়ারপারসন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও দুটি সমাবেশে এসে এরশাদ ঘোষণা করেছিলেন মৌসুমীকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। কিন্তু ওই নির্বাচনেও তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এরপরও তাকে মনোনয়ন দেয়ার আশ্বাস দিলেও এরশাদ তাকে মনোনিত করেননি। যা সোনারগাঁয়ের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মাঝে এরশাদ তার ঘোষণার বিপরীত কাজ করায় তাকে নিয়েও বিরুপ মন্তব্য করেন নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। অথচ সোনারগাঁয়ে যাকে কেউ চিনতো না এমন একজনকে মনোনিত করে এমপি বানিয়েছেন এরশাদ।

এদিকে নেতাকর্মীরা আরও জানিয়েছেন, ৯০ দশক থেকে সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টির রাজনীতির হাল ধরতে শুরু করেন মৌসুমী। গোলাম মসীহ নির্বাচন করলেও সেই নির্বাচনেও মৌসুমী কাজ করেছিলেন নিজের পকেটের টাকা খরচ করে। কিন্তু নেতাকর্মীদের সঙ্গে গোলাম মসীহের সম্পৃক্ততা না থাকায় মাত্র দশ হাজারের নিচে ভোট পান তিনি। পরবর্তীতে তিনি অনেকটা পালিয়ে যান সোনারগাঁও থেকে। ছাত্র সমাজের এই ফজলুল হককে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন মৌসুমী। ছাত্র সমাজের নেতা হয়েছেন যার মাধ্যমে সেই মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় ফজলুল হককে নিয়ে সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

২০১৪ সালের ওই নির্বাচনের আগে সোনারগাঁয়ের এ আসনটিতে অপরিচিতই ছিলেন এমপি খোকা। সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মী তো দুরের কথা সোনারগাঁয়ের মানুষও তাকে চিনতেন না। জাতীয়পার্টির সাবেক এমপি আনম বাহাউল হক যখন জাতীয়পার্টি থেকে আওয়ামীলীগে চলে যান তখন থেকে জাতীয়পার্টির অবস্থান নড়বড়ে হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ২০০১ সালে জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন জাতীয়পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মসীহ। ওই নির্বাচনের পর গোলাম মসীহ সোনারগাঁয়ের জাতীয় পার্টির কোন হাল ধরেননি। জাতীয়পার্টির যখন দৈনদশা তখন এখানকার জাতীয় পার্টির হাল ধরে ছিলেন মৌসুমী। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী সংগ্রহ ও কমিটি গঠন করেছিলেন তিনি। সোনারগাঁয়ে নারী সমর্থকদের ব্যাপক দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মৌসুুমী। অথচ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সেই নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি।

২০১৪ সালের নির্বাচনের পর উপজেলা জাতীয়পার্টির কার্যালয়ে হামলার শিকার হন মৌসুমী। হামলার শিকার হয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু মামলা গ্রহণ করা হয়নি। তারপর থেকে তিনি কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। প্রায় সাড়ে ৪ বছর তিনি সোনারগাঁয়ে রাজনীতিতে অনেকটা দুরে থাকলেও সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের খোজ খবর রেখেছেন নিয়মিত। সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় জাতীয়পার্টির কর্মসূচিগুলো করেছেন ঢাকায় থেকেই। পরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৭ সেপ্টেম্বর তিনি সোনারগাঁয়ে নির্বাচনী মাঠে নামেন। প্রতিদিন তার সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে লাঙ্গলের পক্ষে গণসংযোগ করে জোড়ালো অবস্থান তৈরি করেন। এরি মাঝে তিনি মামলায় আসামী হয়ে যান।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন পান লিয়াকত হোসেন খোকা। আবারও এখান থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হন মৌসুমী। সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টির রাজনীতিকে সচল রাখা মৌসুমীর ভাগ্যে জুটেনি দুইবারই মনোনয়ন। এবারও এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা। এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন চেয়েছেন মৌসুুমী। সোনারগাঁয়ের মানুষ এখন তাকিয়ে আছে তার দিকে। রাজনৈতিকভাবে হোচট খেলেও রাজনীতিতে এখনও সক্রিয় থাকায় তাকে সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা বলছেন ‘সাহসী’ নেত্রী।

বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমএ রশিদের হাতে নৌকা চায় তৃনমূল

শেখ আরিফ, বন্দর প্রতিনিধি:

আগামী বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী এমএ রশিদকেই চায় বন্দরের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। তৃনমুল নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অত্যন্দ্র প্রহরী হয়ে একমাত্র এমএ রশিদই নেতৃত্ব দিয়ে বন্দর থানা আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন সংগ্রাম সভা সমাবেশ করেছেন।

নেতাকর্মীরা আরও বলছেন, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীকে এমএ রশিদই বঙ্গবন্ধুর শানিত বানী ও তার জীবনী অনুৃধাবন করে তার আদর্শ বুকে লালন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছিলেন। বন্দরের যে কোন তৃনমুল নেতাকর্মীরাই এমএ রশিদকে সুখে-দুঃখে কাছে পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা সব সময় নিঃস্বার্থভাবে নিবেদিত হয়ে দলের জন্য কাজ করে যায় কিন্তু বিনিময়ে কিছু চায়না। তাদের মধ্যে তিনি একজন। বঙ্গবন্ধু সৈনিকেরা ক্ষমতা না থাকলেও পড়ে পড়ে মার খায় কিন্তু কমান্ডিংয়ের বাইরে গিয়ে দলের ক্ষতি করেনা। আমরা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীলীগের একমাত্র অভিভাবক এমএ রশিদকেই চান। তিনি নির্বাচিত হলে অত্যন্ত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দলীয় এমপির অভাবটুকু ঘুচবে বলেও নেতাকর্মীদের দাবি।

তবে নির্বাচন প্রসঙ্গে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছি। কখনো জীবনে নিজের স্বার্থের চিন্তা করি নাই। সব সময় আমার দলের কর্মীদের সুখে-দুঃখে নিজেকে সপে দিয়েছি। দলীয় হাই কমান্ড আমাকে যোগ্য প্রার্থী মনে করলে আমি প্রতীক পাব ইনশাহআল্লাহ। বন্দর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন আমি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঢেলে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসারকে মানব কল্যাণ পরিষদের শুভেচ্ছা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসার মোঃ সিরাজ-উদ-দৌলা খানের জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানব কল্যাণ পরিষদ। ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়ার একটি রেস্তোরায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিরাজ-উদ-দৌলা খানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় সংগঠনটি।

মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়া, মহাসচিব সোহেল রানা, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ হোসেন, সাংগঠনিক সচিব জিএম মোস্তফা, নির্বাহী পরিচালক আয়শা আক্তার, সমাজকর্মী নাসিম রেজা, মোঃ পারভেজ, লিপি আক্তার, মোঃ ইউসুফ আলী প্রধান ও মশিউর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসার মোঃ সিরাজ-উদ-দৌলা খানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আন্তরিকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। এ সময় তথ্য অফিসার বলেন, আমি খুবই আনন্দিত। যদিও জন্মদিন পালন করা হয় না কিন্তু মানব কল্যাণ পরিষদকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং সব সময় পাশে থাকার আহ্বান জানাই। পরিশেষে সংগঠনের সদস্যরা এবং নাসিম রেজা প্রিয় স্যারকে উপহার প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৬ সালে ৫ই ফেব্রুয়ারী তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির আইনজীবী নেতারাও বিপর্যস্ত!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সারাদেশে যখন বিএনপি নাজেহাল অবস্থা তখন নারায়ণগঞ্জে বিএনপিরও একই অবস্থা। তবে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও নারায়ণগঞ্জের বিএনপির আইনজীবীরা ছিলেন দাপটে প্রতিবাদী। কিন্তু সেই দাপট যেনো হারিয়ে ফেলেছেন এখানকার বিএনপির আইনজীবীরাও। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবার বিএনপির আইনজীবীরা ছিলেন কোণঠাসা। কিন্তু বিএনপির উপর নির্বাচনে চাপ থাকলেও প্রতিবাদ করার সাহসটুকু দেখাতে পারেননি এখানকার বিএনপির আইনজীবীরা। যার ফলে সরকারি দলের কাছে চরম পরাজয় বহন করতে হয়। বিপর্যস্ত এখন বিএনপির আইনজীবীরা।

জানাগেছে, গত ২৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ১৭টি পদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন কার্যকরী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব ভূঞা গোপাল নির্বাচিত হন। বাকী ১৬টি পদেই জয় হয় আওয়ামীলীগ। যা ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে সমিতির নির্বাচনে সদস্য পদে জয়ী হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম হোসেন। যার পূর্নরাবৃত্তি দেখা গেল এবারের নির্বাচনে।

তবে নির্বাচনের দিন সকালে বিএনপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানকে কোর্ট থেকে সরকারি দলের লোকজন বের করে দিয়ে সন্ধা বেলায় ছেড়ে দিলেও বিএনপি টু শব্দও করতে পারেননি। একই দিন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের ছেলেকে আটক করেছিলেন ডিবি পুলিশ। যা নির্বাচন কেন্দ্রীক বলে দাবি করলেও প্রকাশ্যে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণের সময় মধ্য রাতে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট রাসেল প্রধান অমানসিক নির্যাতনের শিকার হলেও বিএনপি মুখ খুলতে সাহস করেনি। যদিও নির্বাচনের দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব অভিযোগ বিএনপির সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির মিডিয়াতে করে আসছিলেন। কিন্তু দলীয়ভাবে কোন জোড়ালো প্রতিবাদ করেনি বিএনপি।

এদিকে নির্বাচনের এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর ৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে টেক্সেস বার এসোসিয়েশন কার্যালয়ে বিএনপির আইনজীবীরা নির্বাচন পরবর্তী সভা করেছেন। ঘরোয়া এই সভায় বিএনপির আইনজীবীরা কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। সভা সূত্রে জানাগেছে, সিনিয়র আইনজীবীরা বলেছেন সমিতির নির্বাচনে নানা অভিযোগ তুলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখানের ঘোষণা করবেন।

তবে নির্বাচনের শুরুতেই বিএনপির হেভিওয়েট আইনজীবীরা নির্বাচনে দাড়াতে চাননি। অনেকটা আইনজীবীরা ধরে টেনে হেছড়ে প্রার্থী করেছেন বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীরা। নির্বাচনে অনেক টানাপোড়ানের পর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হলেও সদস্য পদে অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে অপূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি। তবে বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীদের দাবি- গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নাজেহাল অবস্থার পর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্যানেল দেয়াটাকেই সফলতা মনে করছেন। নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত বিএনপি এখানে টিকে ছিল এটাকেই তারা বড় করে দেখছেন এবং এবারের নির্বাচনে বিএনপির আইনজীবীরা ছিলেন ঐক্যবদ্ধ। ফলে এ নির্বাচনে তাদের পরাজয়ের কিছু নাই বলে দাবি করেছেন।

পূনর্বাসনের পর পূনর্গঠন: থাকবে প্রবীণ না নবীন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন বিএনপিকে আগে পূনর্বাসনের কাজ করা হবে পরে হবে পূনর্গঠন। তবে এই পূনর্গঠনের পর নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে কারা থাকবেন নেতৃত্বে তা নিয়ে একই নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে নানা আলোচনা। এখানে রয়েছেন ডজন খানিক প্রবীণ বিএনপি নেতারা যারা ইতিমধ্যে বয়সের ভারে নুব্জ। আবার উদীয়মান বেশকজন নবীণ বিএনপি নেতা রয়েছেন যাদের হাতে আসতে পারে বিএনপির নেতৃত্ব। তবে গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সারাদেশের মত নারায়ণগঞ্জেও বিএনপি বিপর্যস্ত। মানসিকভাবে বেশ দূর্বল হয়ে পড়েছে বিএনপি। আশাহত হয়েছে অনেকেই রাজনীতির বাহিরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আবার প্রবীণ রাজনীতিকদের চলছে বিদায় ঘন্টা।

নেতাকর্মীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে এখণ অভিভাবকের ভুমিকায় আসতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। বর্তমান জেলা ও মহানগর বিএনপির চরম ব্যর্থতার কারনে আবারো সামনে চলে আসছে তৈমূর আলম খন্দকারের নাম। বর্তমান জেলা বিএনপির কমিটির চেয়ে তৈমূর আলমের আমলে বেশ ভালই ছিল বিএনপি। প্রতিটি কর্মসূচিতে তিনি ছিলেন সক্রিয়। রাজপথে পুলিশের লাঠি পেটা কিংবা গ্রেপ্তার হলেও পিছু হটেননি এই নেতা। তবে তার যথেষ্ট বয়সও হয়েছে। সেই অনুপাতে তিনি আবারো জেলা বিএনপির কর্ণধার হলে আগের মত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও বেশ সংশয় রয়েছে। তবে মানসিকভাবে তৈমূর আলম খন্দকার বেশ শক্ত। ইতিমধ্যে তিনি নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রবীণ যে সব নেতা রয়েছেন তাদের মধ্যে তৈমূর আলম খন্দকারই বেস্ট নেতা। যদিও এবারের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি।

অধ্যাপক রেজাউল করিম যিনি অনেক আগেই রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম ও দলের কর্মকান্ড থেকে দূরে রয়েছেন। সংস্থারবাদী এই নেতা এখন শারীরিকভাবে ফিট নন। এক সময় জেলা বিএনপির সভাপতি পদে থেকে দাপটের সাথেই বিএনপির রাজনীতি করেছিলেন। বেশককবার বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে হয়েছিলেন এমপি। দায়িত্ব পালন করেছিলেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও। এক এগারোর সময় দলের বিরোধীতা করেছিলেন চরমভাবে। তারপরও ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পান এবং পরাজিতও হন। একাদশ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। তার আসনে মনোনয়ন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির রাজনীতিতে চমক নিয়ে এমপি হওয়া আসা গিয়াসউদ্দীনের রাজনীতিও কোনঠাসা। এবার তিনি মনোনয়ন পাননি। তার আসনে মনোনয়ন পান ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। এ আসনে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন শিল্পপতি কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম। বিএনপির রাজনীতিতে গিয়াসের সেই আগের দাপট এখন আর নেই। তার রাজনীতিও শেষের দিকে। তিনি চেষ্টা করছেন তাদের দুই ছেলেকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে। তিনিও রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন না।

বিএনপির একাধিকবার সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের রাজনীতিও শেষের দিকে। তিনিও শারীরিকভাবে ফিট নন। যদিও তিনি মহানগর বিএনপির সভাপতির পদে রয়েছেন। তার আসনে এবার মনোনয়ন পান ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক এমপি এসএম আকরাম। ক্লিন ইমেজধারী এই রাজনীতিকের এখন উদ্দেশ্য তার একমাত্র সন্তান মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশাকে প্রতিষ্ঠিত করা। নতুন কমিটি হলে তিনি স্বপদে বহাল থাকবেন কিনা তা নিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে।

বিএনপির সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর। তিনিও সংস্কারবাদীদের একজন। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে কারনে তিনি দলের মনোনয়ন পাননি। তার আসনে মনোনয়ন পান তার বড় ভাই প্রয়াত বিএনপি নেতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আসনে মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।

একইভাবে বয়সের ভারে নুব্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। ৯ম ও একাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন পান কাজী মনির। এ আসনে ১/১১ এর সময় কারাগারে যাওয়ার আগে মনোনয়ন পান তৈমূর আলম খন্দকার। জেলা বিএনপির দায়িত্ব পাওয়ার পর চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন কাজী মনিরুজ্জামান মনির। তিনি একজন শিল্পপতি। যে কারনে দলের রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে কখনই ছিলেন না। সাধারণ মানুষের সঙ্গেও তিনি মিশতে পারেন না। তারও রাজনীতিতে বিদায় বেলা।

এদিকে নবীণ রাজনীতিকদের সবচেয়ে বেশি আলোচিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় ব্যাপক আন্দোলন করে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সভাপতি। যার ফলে ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী করা হয় তাকে। কিন্তু মেয়র আইভীর কাছে তিনি ধুপে টিকেননি। হয়েছেন পরাজিত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে আসলেও নির্বাচনের আগেই তিনি গ্রেপ্তার হয়ে বন্দি হন কারাগারে। জামিন পান নির্বাচনের পর। দলের প্রাথমিক বাছাইয়েও তাকে রাখা হয়নি।

অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। একজন রাজপথের সক্রিয় নেতা। তিনি জেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদে রয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনে তিনি দলের প্রাথমিক মনোনয়ন বাছাইয়ে ছিলেন। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে তার ভুমিকা ছিল খুব নগন্য। দলের সেক্রেটারি পদে থাকলেও তিনি দলের হাল ধরেননি। নির্বাচনে তিনি একদিনও দলের প্রার্থীর পাশে এসে দাড়াননি। জেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদে থাকলেও জেলার কোন প্রার্থীর পক্ষে তিনি ছিলেন না। তার ভুমিকা ছিল রহস্যজনক।

এ জেলায় নবীণ রাজনীতিকদের মধ্যে বেশ আলোচিত কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া। তিনিও দলের প্রাথমিক মনোনয়ন বাছাইয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাদ দেয়া হয়। তিনিও দলের আন্দোলন সংগ্রাম তো দুরের কথা দলের মানববন্ধণ কর্মসূচিতেও তিনি ছিলেন না। এমনকি তার দলের নেত্রী কারাগারে যাওয়ার পর তিনি সক্রিয় হননি। বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটি তার চাটুকার শ্রেণির কর্মীদের পদে বসিয়ে আনতে তিনি বেশ লবিং করেন জোড়ালো। কিন্তু কমিটি এনে দিলেও তিনি রাজনীতি করেন নির্বাচন কেন্দ্রীক।

জেলায় জিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। আড়াইহাজারের রাজনীতিতে তিনি থাকলেও সেখানকার বিএনপির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে পারেননি তিনি। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে লবিং করে মনোনয়ন ভাগিয়ে আনলেও মাঠেই নামতে পারেননি তিনি। তার নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন আড়াইহাজারের বাহিরের নেতাকর্মীরা। জেলার আলোচিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আড়াইহাজারে তিনি প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেখানকার বিএনপির নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে নেই।

এক সময়ের কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতা মাহমুদুর রহমান সুমন। তিনিও বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন বাছাইয়ে ছিলেন। তার বাবা কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর মৃত্যুর আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে তাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে বসান। চূড়ান্ত মনোনয়ন তিনি ভাগিয়ে আনতে পারেননি। আড়াইহাজারের বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন স্বপ্ন দেখছেন সুমনকে নিয়ে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তার বড় ভাই তৈমূর আলম খন্দকার। খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর আগেও একই ওয়ার্ড থেকে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনেও জয়ী হন। জনপ্রিয় এই কাউন্সিলর এবার বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন বাছাইয়ে মনোনিত হন। ইতিমধ্যে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে সাংগঠনিক নেতা হিসেবে তিনি পরিচয় দিয়েছেন। মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বপ্ন দেখছেন তাকে নিয়ে।

সাবেক এমপিরা ইয়াবা গাঁজা ছাড়া কিছুই আনতে পারেনি: দেলোয়ার প্রধান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সাবেক এমপিরা ইয়াবা ও গাঁজা ছাড়া আর কিছুই আনতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান। তিনি বলেন, বিগত দিনে এই আসনে বহু এমপি এসেছে কিন্তু তারা কি করেছে তা আমাদের দেখা আছে। তারা আমাদের এলাকায় ইয়াবা, গাঁজা ছাড়া আর কিছুই আনতে পারেনি। আমি আকরাম সাহেবকে বাবা বলে সম্বোধন করতাম কিন্তু যে তো গিরিগিটি ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়। তাই বলি যে মায়ের চরিত্র ভালোনা সেই মায়ের সন্তান কেমন হবে?

২১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দীঘলদী এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনী সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, সেলিম ওসমান হল আমার পীর। তিনি কোন চাঁদাবাজী করে না। আমরা চেয়ারম্যানরা না খেয়ে আছি। তবুও আমাদের একটি সুনাম রয়েছে যে আমারা কোন টেন্ডারবাজ বা চাঁদাবাজ এমপির আন্ডারে নেই। পৃথিবিতে এমন কোন পীর দেখেছেন যার দরবারে টাকা দিতে হয় না? কিন্তু আমার পীর কারো কাছ থেকে টাকা নেয় না বরং টাকা দেয়। তাই সময় হয়েছে এই পীরের ঋণ শোধ করার। অতএব ভূল নয় সেলিম ওসমানকেই ভোট দিন। আর বিবেককে জয়ী করুন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মকবুল হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাস মীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, সিদ্দিকুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, তাজুল ইসলাম, কাজী নাসির, জালাল উদ্দিন জালু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, সুনিল দাস, আওয়ামীলীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাষ্টার ও আক্তার হোসেন প্রমুখ।

বিমর্ষ কর্মীদের ইকবাল পারভেজের শান্তনা: নৌকায় কাজ করো

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

দমে যায়নি আড়াইহাজারের ইকবাল পারভেজ। নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন না পেলেও তার ভালবাসার টানে ইকবাল পারভেজের বাসায় শোডাউন করে যোগদান করলেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। গত কয়েকটি বছর ধরে নিয়মিত হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে আড়াইহাজারের মাঠ চষে বেড়িয়েছিলেন ইকবাল পারভেজ। সেইসব নেতাকর্মীরা ইকবাল পারভেজের বাসায় এসে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। স্তব্ধ বিমর্ষ নেতাকর্মীদের শান্তনাও দিলেন ইকবাল পারভেজ। নেতাকর্মীদের শান্তনা দিয়ে বলেছেন, যেখানে নৌকা সেখানেই শেখ হাসিনা। আমরা শেখ হাসিনাকে চিনি। তোমরা নৌকার পক্ষে কাজ করো। নৌকার বিজয় শেখ হাসিনার বিজয়।

জানাগেছে, ২১ ডিসেম্বর শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বাড়ৈপাড়া এলাকায় নিজ বাসভবনে আসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের তথ্য যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল পারভেজ। ওই সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা শোডাউন করে তার বাসায় উপস্থিত হন। আসেন স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিরাও।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনেকটা বিমর্ষ ছিলেন ইকবাল পারভেজও। কারন এর আগেই নেতাকর্মীদের অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কয়েকটি বছর ধরে ইকবাল পারভেজকে নিয়ে আড়াইহাজারের মানুষের ঘরে ঘরে নৌকার জন্য ভোট চাইতে গিয়েছিলেন এসব নেতাকর্মীরা। কিন্তু শেষতক মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবুই।

নেতাকর্মীদের ইকবাল পারভেজ বলেন, যেখানে নৌকা সেখানেই শেখ হাসিনা। আমরা শেখ হাসিনাকে চিনি। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করব। তোমরা নৌকার পক্ষে ঝাপিয়ে পড়ো। নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে কাজ করো। এটাই বিশ্ব মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। আমি আড়াইহাজাবাসীর পাশে ছিলাম এবং থাকবো।’ ওই সময় অনেক নেতাকর্মী কথা বলতে গিয়েও স্তব্ধ হয়ে যান। তখন নেতাকর্মীদের শান্তনা দেন ইকবাল পারভেজ।

জানাগেছে, ইকবাল পারভেজকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছিলেন সাবেক এমপি এমদাদুল হক ভুইয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুজাহিদু রহমান হেলো সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা রূপ মিয়া মেম্বার ও ছাত্রলীগ নেতা রুবেল সরকার সহ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি ছিল -এ আসনে পরিবর্তনের শ্লোগান।

সর্বশেষ সংবাদ