ড. ইউনূস বাংলাদেশের সন্তান, কুলাঙ্গার: আনিসুর রহমান দিপু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

পদ্মা সেতু নির্মাণেও ড. ইউনূস ষড়যন্ত্র করেছিল বলে অভিযোগ তুলে তাকে বাংলাদেশী কুলাঙ্গার বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু। তিনি বলেছেন, কিছুদিন পূর্বে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তাদের বুদ্ধিজীবীরা বলেছে আপনি শেখ হাসিনাকে ফলো করুন। আপনি বাংলাদেশকে ফলো করো। তাহলে পাকিস্তান উন্নত দেশে পরিনত হবে। যারা বিশ্ব চালায় তারা বলছে বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি মডেল। সেই মডেল আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে আবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

তিনি বলেন, কখনও আকাশে চাঁদে সাঈদীর ছবি দেখা যায়, কখনও নানা গুজব ছড়ায়। এইযে পদ্মা সেতু নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রথমে ড. ইউনূস বললো এখানে দুর্নীতি হয়েছে। সে বাংলাদেশের সন্তান, কুলাঙ্গার। ইউনূস বললো পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের যে বরাদ্ধ সেটা বন্ধ করে দেয়া হোক। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা বললেন আমরা নিজেদের আয় থেকে পদ্মা সেতু করব। এখন যখন পদ্মা সেতু নির্মাণ চলছে তখণ বললো পদ্মা সেতু নির্মাণে কল্লা চায়! এটা একটা ষড়যন্ত্র। সারাদেশে গুজব ছড়ালো। গুজব ছড়ানো হলো মানুষের মাথা লাগবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ৪ বারের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান দিপু আরও বলেন, ৭৫ এ ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলো। কারন ৭১ সালে ৭ মার্চ বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ো। বঙ্গবন্ধুর সেই নির্দেশে বাংলাদেশের মানুষ, কৃষক শ্রমিক সর্বস্তরের মানুষ জীবন বাজি রেখে ৩০ লাখ ও ২ লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীন করেন। এটা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এবং আন্তর্জাতিক শত্রুরা মেনে নিতে পারে নাই। মেনে নিতে পারে বিধায় মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মাথায় জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাতে বাস্তবায়ন না হয় সে কারনেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।

আনিসুর রহমান দিপু বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর জাতির জনকের যোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরের মানুষ লড়াই করে ৯৬ সালে আবার মুক্তিযুুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে। উন্নতির মহাসড়ক আজকে বাংলাদেশ।

১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধায় বন্দরের ধামগড় বুনিয়াদী স্কুল রোর্ডের আজিজ সুপার মার্কেট এলাকায় যুবলীগ নেতা আউয়াল বেপারীর উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও রান্না করা খাবার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন আনিসুর রহমান দিপু।

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ ও বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য অ্যাডভোকেট ইসহাক মিয়া সহ উপস্থিত ছিলেন- ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নেছার আহমেদ, আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দীন, অ্যাডভোকেট ওয়ালিউল্লাহ সহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ দোয়া মাহফিলে করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু।

১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ওইসব দোয়া মাহফিলে উপস্থিত হয়ে খিচুরী বিতরণ করেন আনিসুর রহমান দিপু। ওই সময় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অ্যাডভোকেট ইসহাক মিয়া সহ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।

জানাগেছে, বন্দরের সোমবাড়িয়া বাজার এলাকায় দোয়া মাহফিল ও খিচুরী বিতরণ, বন্দরের দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকায় দোয়া মাহফিল ও খিচুরী বিতরণ, বন্দরের ধামগড় ইউনিয়ন এলাকায় দোয়া মাহফিল ও খিচুরী বিতরণ, বন্দরের নয়ামাটি এলাকায় দোয়া মাহফিল ও খিচুরী বিতরণ, বন্দরের লাঙ্গলবন্ধ এলাকায় দোয়া মাহফিল ও খিুচরী বিতরণ, বন্দরের মুছাপুর এলাকায় দোয়া মাহফিল ও খিচুরী বিতরণ, বন্দরের কেওঢালা এলাকায় দোয়া মাহফিল ও খিচুরী বিতরণ, বন্দরের দেওয়ানবাগ এলাকায় দোয়া মাহফিল ও খিচুরী বিতরণ, বন্দরের কলাগাছিয়া এলাকায় দোয়া মাহফিল ও খিচুরী বিতরণ, বন্দরের ঘারমোড়া এলাকায় দোয়া মাহফিল ও খিচুরী বিতরণ সহ বন্দরের প্রায় অর্ধশতাধিক স্পটে এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন এবং খিচুরী বিতরন করেন অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু।