মাদার তেরেসা স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত নারায়ণগঞ্জের হাসিনা রহমান সিমু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২১ সেপ্টেম্বর বুধবার অপরাহ্নে ঢাকা সেগুনবাগিচায় এক অনাড়ম্বর পূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী সেবায় অনন্যসাধারণ ভুমিকা রাখার জন্যে আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্মাধ্যক্ষ অটিজম জননী হাসিনা রহমান সিমুকে মাদার তেরেসা স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক নিজাম হাসিনা রহমান সিমুর হাতে এই পুরস্কারটি তুলে দেন।

এ সময় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি প্রফেসর এ কে এম জামালউদ্দিন ও ডাঃ জীনাবন্দি ভিক্ষু সহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বেসরকারি সংস্থা ইউনিটি ফর ইয়াং জার্নালিস্ট ফোরাম ও মাসিক মানব জীবনের যৌথ উদ্যোগে সামাজিক ও রাস্ট্রীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরুপ এই পুরস্কারটি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তরা সমাজে বসবাস কারী প্রতিটি নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তারা বলেন সমাজটা এমন হতে হবে, যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত ভাবে ভোগ করতে পারবে।

এখানে উল্লেখ্য যে, আমাদের সমাজের হাজার হাজার নিপীড়িত প্রতিবন্ধী মায়েদেরই একজন হাসিনা রহমান সিমু তার প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তান লালন পালন করতে গিয়ে আবহমান কাল ধরে চলে আসা ভিষণ প্রতিকূলতার মোকাবেলা করতে করতে প্রতিবন্ধী শিশু ও তাদের মায়েদের অসহায়ত্বের উপলব্ধি করেন। তাই তিনি অসহায় প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানুষিক বিকাশের মাধ্যমে নাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতিনিধিত্ব করার উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার মানষে ও প্রতিবন্ধী সন্তানের মাতা পিতাকে সন্তান নিয়ে তাদের অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি দেওয়ার মানষে ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলাতে “হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ার“ প্রতিষ্ঠিত করেন।

গত ৬ বৎসর যাবত হাসিনা রহমান সিমু প্রধানমন্ত্রীর গণভবন থেকে জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে, বিভিন্ন সামাজিক ,সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাধিতে বিরামহীন ভাবে বিচরণ করে নারায়ণগঞ্জের মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেষ্টা করেছেন যে, অটিজম কোনো রোগ নয় কিংবা কোন পাপ বা অভিশাপও নয়। এটি একটি ডিজঅর্ডার। এখন পর্যন্ত অটিজমের কোনো চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে নিবিড় পরিচর্যা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন অটিস্টিক শিশুকে অনেকাংশেই স্বাভাবিক শিশুদের মতো গড়ে তোলা যায়।

হাসিনা রহমান সিমুর এই বিরামহীন ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ নারায়ণগঞ্জের জনগণ ও প্রশাসন অটিজম সম্পর্কে অনেক বেশী সচেতন। তাইতো উনি নারায়ণগঞ্জের জনগণের হৃদয়ে অটিজম জননী হিসেবে অভিসিক্ত।