সান নারায়ণগঞ্জ
নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেই তাক্ লাগিয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ নেমে নিজের জনপ্রিয়তার জানানি দিলেন সাবেক ছাত্রদলের এই নেতা।
২৪ অক্টোবর শুক্রবারও ফতুল্লা থানাধীন কাশিপুর ইউনিয়নে প্রচারণায় নামেন রাজীব। পূর্বের ন্যায় এতেও কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ চোখে পড়েছে। প্রচারপত্র বিতরণ ও ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রাজীব জনে জনে ভোট প্রার্থনা করেছেন এবং ৩১ দফার বিস্তারিত সুফল জনগণের মাঝে তুলে ধরেছেন। এক সময় তার সঙ্গে কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় তিনি নিজ হাতে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ৩১ দফা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্র সংস্কারে কী কী পরিবর্তন আনবে তা নিয়ে গণসংযোগ করেন। পাশাপাশি ভোটারদের ৩১ দফা সম্পর্কে ভালোভাবে জানার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ২২ অক্টোবর ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের দুটি ওয়ার্ডে একই দাবিতে কর্মসূচি পালন করেন মাসুকুল ইসলাম রাজীব। ১৭ অক্টোবর ফতুল্লা ইউনিয়নে কর্মসূচি পালন করেন রাজীব। বৃহত্তর পরিসরে রাজীবের তিনটি কর্মসূচিতে ব্যাপক সারা ফেলেছে ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতি তথা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের রাজনীতিতে। জোরালো দাবি ওঠেছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে রাজীবকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাওয়ার।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রতিটি এলাকায় রাজীবকে এমপি হিসেবে দেখতে চেয়ে ব্যানার ফ্যাস্টুন পোস্টার সাটিয়েছেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা বলছেন- বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সাড়ে ১৫টি বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন রাজীব। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন, মাসের পর মাস জেল খেটেছেন, রিমাণ্ডে নিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, বছরের পর বছর বাড়িছাড়া আত্মগোপনে থেকেছেন। শ খানিক মামলার কাছাকাছি মামলার আসামী হয়েছেন রাজীব। ছোট ছোট সন্তানদের সামনে থেকে রাজীবকে পুলিশ বাসা থেকে টেনে হেছড়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছেন। তার ত্যাগের মুল্যায়ণ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে রাজীবের হাতে ধানের শীষ প্রতীক দেখতে চান নেতাকর্মীরা।


