কায়সার, সামসু, বাবু সহ কোর্টের মুখোমুখী জনপ্রতিনিধিরা: ব্যাকফুটে নৌকা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সুষ্ঠু অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে কঠোভাবে আচরণবিধি রক্ষায় তাৎক্ষনিক এ্যাকশনে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে যখন একের পর এক আচরণবিধি লংঘণ করে যাচ্ছে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কাযসার হাসনাত ও তার কর্মী সমর্থকরো, তখন নির্বাচন কমিশন কঠোর হস্তে দমন করছেন। এমন কঠোর এ্যাকশনে উপজেলার সিংহভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা নৌকা প্রার্থীর প্রচারণা থেকে পিছু হটছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। প্রশাসনিক কঠোর হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এখানে নৌকার প্রচারণায় পড়েছে ভাটা, কেউ কেউ বলছেন আইনগত এ্যাকশনে ব্যাকফুটে নৌকা। যেখানে তার মুল প্রতিদ্বন্ধি জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থকেরা চাঙ্গা হয়ে ওঠেছেন।

জানাগেছে, নির্বাচনের শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়েছেন এখানকার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা আওযামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবুসহ উপজেলার আরো ৮জন ইউপি চেয়ারম্যানকে শোকজ করেছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ মোহসিনা ইসলাম। ফলে নির্বাচনে প্রচারণার শুরুতেই কোর্টের মুখোমুখী হতে হয়েছে তাদেরকে।

গত ২০ ডিসেম্বর বুধবার নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ মোহসিনা ইসলাম স্বাক্ষরিত আলাদা চিঠিতে এই শোকজ করা হয়। চিঠিতে গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে কমিটির সভাপতির কার্যালয়ে সশরীরে অথবা উপযুক্ত কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে সকলকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তারা জবাব দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া।

শোকজ পাওয়া জনপ্রতিনিধিদের রয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম, বৈদ্দ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার, সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মোল্লা, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু।

নৌকা প্রার্থীর নোটিশে বলা হয়, “১৯ ডিসেম্বর তিনি শতাধিক মোটরসাইকেলসহ হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিছিল করেন; যা যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।” প্রার্থীর এ আচরণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণবিধির ৬(ঘ) ও ৮(ক) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ছাড়া চেয়ারম্যানদের নোটিশে বলা হয়েছে, “তারা সরকারি গাড়ি নিয়ে, জ্বালানি পুড়িয়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থীর নির্বাচন সমন্বয়কারী হাফেজ মাহমুদুল আনোয়ার এ বিষয়ে অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।”