সংঘর্ষ, মামলা জামিনের পরেও শ্রমিকলীগ নেতার কাছে মসজিদের অর্থের হিসেব দাবি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার কাছে মসজিদের অর্থের হিসেব চেয়েছেন ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসাইন। ১৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধায় কাউন্সিলর কবির হোসাইন তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে মসজিদের অর্থ বুঝিয়ে দিতে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধও জানান।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় নলুয়া জামে মসজিদের অর্থে হিসেবে নিকেষ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে রবিবার রাতে কামরুল হাসান মুন্না ও কবির হোসাইন গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুুলিশ এ ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সোমবার আসামীদের আদালতে পাঠান। আদালতে এসে উভয় গ্রু আপোষের শর্তে জামিন পান। তবে জামিনের একদিন পর কবির হোসাইন সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দাবি জানান।

কাউন্সিলর কবির হোসাইন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের রক্ত ঝড়েছে, এর বিচার চাইনা। আমার অনুরোধ থাকবে সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার কাছ থেকে এমপি একেএম সেলিম ওসমান, আমার দলের এমপি শামীম ওসমান, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে দক্ষিণ নলুয়া জামে মসজিদের ১৫ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা যেন ওনাদের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, এমপি সেলিম ওসমান ১৮নং ওয়ার্ডে যে সমস্ত খাতে বরাদ্ধ দিয়েছেন সেগুলো কি আজও সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে যেন তিনি খোঁজ খবর নেন।

গত রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে কবির হোসাইন বলেন, নলুয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর মুন্না। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে ১ বছর ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও তিনি মসজিদের কোন হিসাব বুঝিয়ে না দেয়ায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। তারা এলাকার স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসার কমিটিগুলো এভাবেই নিজেদের অধীনে রেখেছে। যেমন শীতলক্ষ্যা ও তামাকপট্টি জামে মসজিদের দুই কমিটিরই সভাপতি তার চাচা হাজ্বী সাদেক হোসেন। ১৮ বছর যাবৎ তামাকপট্টি মসজিদের কমিটির কোন পরিবর্তন হয়নি, একক আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছেন। মুন্নাও দুটি মসজিদ ও মাদ্রাসার কমিটির সভাপতি। ১৮ বছর পর এলাকাবাসী এক প্রকার জোরপূর্বকভাবেই তামাকপট্টি মসজিদ কমিটি থেকে তাকে অপসারিত করে। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আমি বলেছিলাম, আমি বা আমার পরিবারের কেউ কোন স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা কমিটির দ্বায়িত্বে থাকবোনা। এলাকাবাসী কমিশনার হিসেবে ডাকলে সেখানে থাকবো।

কবির হোসাইন বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে সদর থানার ওসি সাহেবকে জানালে তিনি থানায় অভিযোগ করার জন্য বলেন। অভিযোগকারী সেখানে গিয়ে দেখেন মুন্না সাহেব থানায় বসে আছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, অভিযোগ করার পর পুলিশ তদন্ত করার পূর্বে কিভাবে ঘটনাস্থলে বিবাদীকে সঙ্গে নিয়ে আসেন এবং সাবেক কাউন্সিলর মুন্না নিজেই আমাকে মারধর করে। তবে গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে বিষয়টি জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে জানানোর জন্যই আমি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। পরিশেষে সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি যাতে দ্রুত সুস্থ্য হয়ে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকতে পারি।