সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে বস্ত্রহীন করার ঘটনায় আলোচনায় আবারো সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুর রহমান ওরফে ডন বজলু। সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরের আলোচিত সমালোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজন এই ডন বজলু। নতুন করে আবারো আলোচনায় এসেছে।
২৯ জুন রবিবার দুপুর দেড় টার দিকে বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকার হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মুকুলকে মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ২২ সেকেন্ডের ভিডিও তে দেখা যায়, ‘বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের শরীরের পায়জামা ও পাঞ্জাবি ছেঁড়া অবস্থায় বস্ত্রশূন্য ছিল। তার পড়নে আন্ডার প্যান্ট ছিল। এ সময় তাকে আওয়ামী লীগের দালাল বলে সম্মোধন করে অনেকে গালিগালাজ করছিল।
জানা গেছে, বন্দরের ২৭ নং ওয়ার্ডের হরিপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিনের পক্ষে হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ঠিকাদারী কাজ চালু করতে যান মুকুল। ওই সময় স্থানীয় লোকজন তাকে মারধর করে ও জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে। এ সময় তাকে গালিগালাজ করা হয়। তখন উত্তেজিত জনতা তাকে আওয়ামী লীগের দালাল বলেও সম্মোধন করে। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় আতাউর রহমান মুকুল স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে টেন্ডার পেয়েছি। আমি প্রয়োজনীয় কাগজ স্বাক্ষর করার জন্য সেখানে যাই। এ সময় সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি বজলুর রহমানের লোকজন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করেছে। আমার পায়জামা-পাঞ্জাবি খুলে ফেলেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই। আমি ঢাকায় ছিলাম। পরে এলাকায় গিয়ে শুনি এলাকার লোকজন তাকে হেনস্থা করেছে।