তৈমূর আলমের নির্দেশে ফতুল্লায় দ্বিতীয় ধাপে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নে দ্বিতীয় ধাপে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৈমূর আলমের ‘একটি গরু একটি খাদ্যভান্ডার’ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মসূজি জেলা জুড়ে চলছে।

২১ জুলাই মঙ্গলবার সকালে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ভ গোপালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ফতুল্লা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেনের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। সেই সঙ্গে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পালন করা হয়।

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বক্তাবলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সুমন বেপারী, ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ হৃদয়, যুবদল নেতা মোহাম্মদ সজল, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, আলী হোসেন, নূর নবী, সাইদুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক ও মনির হোসেন প্রমূখ।

অন্যদিকে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সামাল দিতে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের থিওরি ‘একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার’ এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মীর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ হাজার চারা গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর ও ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় মাসব্যাপী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

২ জুলাই বৃহস্পতিবার মিডিয়াতে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার এ তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে রাজশাহী থেকে উন্নত জাতের আমের চারা আনা হয়েছে যা রোপন করা হচ্ছে। ৩ হাজার আম গাছের চারা রাজশাহী থেকে আনা হয়েছে। যা জেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপন করা হচ্ছে এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন টিমের সদস্যরা। এই কাজে সহযোগীতা করবেন ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মী। যারা সকলে টি-শার্ট পরিধান করে কাজ করবেন। সেজন্য ১ হাজার টি-শার্ট তৈরি করা হয়।

তিনি আরও জানান, এসব গাছ বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা বিদ্যালয় সহ রাস্তার দুইপাশে রোপণ করা হবে। এ ছাড়াও যেখানে খালি থাকবে সেখানেই চারা রোপণ করা হবে। ১ হাজার কর্মীরাও এসব গাছ রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করবে। মোট কথা করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষের যে খাদ্যের সংকট দেখা দিবে সেই সংকট মোকাবেলায় একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার থিওরি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।