ধানের শীষের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়াই করবেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জেলার সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। এ আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে রয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা বর্তমান একেএম শামীম ওসমান।

৮ ডিসেম্বর শনিবার ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান চিঠি হাতে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, মুফতি মনির হোসেন কাসেমী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। ২০ দলীয় জোট এ আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছাড় দেয়। ফলে এ আসনটিতে বিএনপির দুইজনকে মনোনিত করা হলেও তাদের মধ্যে কাউকে চূড়ান্তভাবে মনোনিত করা হয়নি।

প্রাথমিকভাবে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম ও জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। এখানে নির্বাচনে রয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন, জাতীয়পার্টির সালাউদ্দীন খোকা মোল্লা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীন।

৫টি আসনে চূড়ান্ত মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। এখানে দুটি আসনে রয়েছে জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের দুজন প্রার্থী। অন্যদিকে বিএনপিতে তিনটি আসনে প্রার্থী দিলেও একটি আসনে ছেড়ে দিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও আরেকটি আসনে নাগরিক ঐক্যকে। দলের দুটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে দুটি দলের নেতাকর্মীদের মাঝেও হতাশা ফুঠে ওঠেছে। অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীরা মনোনিত হতে পারেননি। এর মধ্যে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে রয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থী।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে ৬১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। যার মধ্যে ৪৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ও ১৪ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া। বাতিলের মধ্যে রয়েছে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ও বিএনপির প্রার্থী মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এবং গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনিত প্রার্থী বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন রয়েছেন। তবে ৫টি আসনের বর্তমান ৫ এমপির কারোরই মনোনয়ন বাতিল হয়নি। তারা ৫জনই আবারো মনোনিত হয়েছেন। তবে মনোনয়ন আপীল করে ফেরত পেয়েছেন মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন,মামুন মাহামুদ সহ ৭ জন।

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। প্রাথমিকভাবে চিঠি পেলেও চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পাননি বিএনপির মনোনিত প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া। এখানে নির্বাচনে রয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম চন্দন, স্বতন্ত্র হাবিবুর রহমান, ইমদাদ উল্লাহ, আজম খান। এখানে মোট ১০ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যাদের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রেহেন আফজাল ও জাকের পার্টির প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন। তারা আপিলেও প্রার্থীতা ফিরে পাননি।

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। বিএনপির মনোনয়ন প্রাথমিকভাবে পেলেও বঞ্চিত হয়েছেন চাচা ভাতিজা বিএনপির মনোনিত প্রার্থী সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন। নির্বাচনে রয়েছেন কমিউনিস্ট পাটির প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, ইসলাম আন্দোলনের নাসির উদ্দীন।

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে জাতীয়পার্টির বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। তাকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। তবে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেলেও সোনারগাঁও বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর মনোনয়ন পত্রই দাখিল করেননি। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার, তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী আব্দুস সালাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সানাউল্লাহ নূরী, জেএসডির প্রার্থী ফখরুদ্দীন ইব্রাহীম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হোসেন জামাল, জাকের পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আমির ফয়সাল ও কল্যান পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌস। তবে বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনিত হওয়া মোশারফ হোসেন ও এরশাদের পালিত মেয়ে অনন্যা হুসেইন মৌসুমীর মনোনয়ন আপীলেও বাতিল করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জেলার সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। প্রাথমিকভাবে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম ও জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। এখানে নির্বাচনে রয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন, জাতীয়পার্টির সালাউদ্দীন খোকা মোল্লা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীন।

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে জাতীয়পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপি একেএম সেলিম ওসমান। তাকেও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে লড়বেন। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা সাবেক এমপি এসএম আকরাম। এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি আবুল কালাম ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে খোরশেদের মনোনয়ন বাতিল হলে তিনি আপিল করেননি। এখানে নির্বাচনে রয়েছেন খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ কবির হোসেন, সাম্যবাদী দলের প্রার্থী সাঈদ আহমেদ, বাসদের প্রার্থী আবু নাঈম খান বিপ্লব, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মন্টু চন্দ্র ঘোষ, ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী বাহাদুর শাহ, জাকের পার্টির প্রার্থী হাসান জামাল, কল্যাণ পার্টির প্রার্থী আফতাব ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবুল কালাম।

শামীম ওসমানের সঙ্গে ধানের শীষে লড়বেন মনির হোসেন কাসেমী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নানা হিসেব নিকেষের পর নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের আলোচিত নেতা এমপি একেএম শামীম ওসমানের সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকে লড়াই করবেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। ৮ ডিসেম্বর শনিবার ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান চিঠি হাতে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, মুফতি মনির হোসেন কাসেমী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।

২০ দলীয় জোট এ আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছাড় দেয়। ফলে এ আসনটিতে বিএনপির দুইজনকে মনোনিত করা হলেও তাদের মধ্যে কাউকে চূড়ান্তভাবে মনোনিত করা হয়নি।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার নির্বাচন কমিশন গিয়াসউদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হলে নির্বাচনে লড়াই করার কথা জানান। এখানে আওয়ামীলীগ মনোনয়ন পত্র দাখিল করে পরবর্তীতে শামীম ওসমানকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ।

সূত্রমতে, এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীনের মনোনয়ন গত ২ ডিসেম্বর বৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া।

একই দিন রিটার্নিং অফিসার এখানে ১৬ জন মনোনয়ন দাখিলকারীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মুহাম্মদ কাউসার, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মামুন মাহামুদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউসার আহমেদ পলাশ ও কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও মামুন মাহামুদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বৈধ ঘোষণার পর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচনে তিনি শেষ পর্যন্ত থাকবেন। এ আসনে বিএনপির দুই মনোনিত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহআলম ও মামুন মাহামুদের মধ্যে কাউকে মনোনিত না করে জোটের শরীক দলের নেতা মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে মনোনিত করেছে ২০ দলীয় জোট তথা ঐক্যফ্রন্ট।

নেতাকর্মীদের সূত্রে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন একেএম শামীম ওসমান। এর আগের নির্বাচনে যখন শুধুমাত্র ফতুল্লা থানা এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন ছিল ওই নির্বাচনে শামীম ওসমানের চাচী চলচিত্র নায়িকা সারাহ বেগম কবরী এখানে এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ছিলেন মুহাম্মদ শাহআলম।

এ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে এমপি শামীম ওসমান ছাড়াও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রম কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদা হাসনাত ও আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য কামাল উদ্দীন মৃধা। কিন্তু এখানে শামীম ওসমানকে এককভাবে মনোনয়ন দেয় আওয়ামীলীগ।

অন্যদিকে এ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে অনেকটা জোর দিয়েই বলেছেন, আমি নির্বাচনে থাকছি এটাই সত্য।’ তিনি ২০০১ সালে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে নির্বাচনের মাত্র ২১ দিন পূর্বে বিএনপিতে যোগদান করে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন। প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক শিল্পপতি সফর আলী ভুইয়াকে দেয়া হলেও তার মনোনয়ন বাতিল করে শামীম ওসমানকে পরাজিত করতে আওয়ামীলীগ থেকে আসা গিয়াসউদ্দীনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। ওই সময় শামীম ওসমানের সঙ্গে রাজনীতি করে আসা গিয়াসউদ্দীন শামীম ওসমানকেই পরাজিত করেন। পরবর্তীতে শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে চলে যান এই গিয়াসের ভয়েই। গিয়াসউদ্দীন ৯ম সংসদ নির্বাচনে কারাগারে থাকায় মনোনয়ন পাননি।

এখানে ৯ম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। তিনিও কল্যান পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বিএনপিতে এসে মনোনয়ন পেলেও তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন। তবে এ আসনে গিয়াসউদ্দীন ও শাহআলম দুজনের কেউই গত দশ বছরে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। শাহআলমের নেতাকর্মীরা দাবি করেন শাহআলম কেন্দ্রীয় বিএনপির ডোনার এবং গিয়াসের নেতাকর্মীরা দাবি করেন গিয়াস যখন এমপি ছিলেন তখন যা কামিয়েছেন তার সিংহভাগ হাওয়া ভবনে পাঠিয়েছিলেন। যে কারনে এইদুজনের কেউই রাজপথে সক্রিয় ছিলেন না। একটি মানববন্ধনেও ছিলেন না এই দুই নেতা।

তবে মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ একাধিকবার রাজপথে পুলিশের লাঠিপোটার শিকার হয়েছিলেন। বেশকবার তিনি মাসের পর মাস কারাভোগ করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি তিন মাস কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয়েই মনোনয়ন বোর্ডের কাছে সাক্ষাতকার দিতে যান। এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজু ও পারভেজ আহমেদ।

গত নির্বাচনের আগে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে বেশ প্রচারণায় ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক পৌর প্রশাসক আবদুল মতিন প্রধান। মতিন প্রধান ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। সেন্টু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেননি। তিনি এখন শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন নিয়মিত। তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, শামীম ওসমান উন্নয়ন করে জনগণের পীর হয়ে গেছেন।’ এ নির্বাচনেও সেন্টু মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

এ আসনে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লা। তিনি মনোনয়ন দাখিল করলেও তার মনোনয়ন বাতিল করেছে রিটার্নিং অফিসার। তবে তিনি আপিল করে বৈধতা পেয়েছেন।

তৈমূরের পিঠে পুলিশের ডান্ডা, কাজী মনিরের হাতে ধানের শীষের ঝান্ডা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

এবারও গোসল ছাড়াই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে জবাই করা হলো। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি পেটার শিকার হয়েছেন। জেল খেটেছেন। মামলা খেয়েছেন। রাজপথে সক্রিয় থেকেছেন। কিন্তু সেই তৈমূর আলমকে মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি। যিনি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের মাত্র সাত ঘন্টা আগে বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছিলেন। ১/১১ এর সময় নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে প্রথমে তৈমূর আলম মনোনয়ন পেয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে ১/১১ এর কারনে পিছিয়ে গেলে তিনি পরে অনুুষ্ঠিত নির্বাচনের সময় জেলে থাকায় ওই নির্বাচনে মনোনয়ন পান কাজী মনিরুজ্জামান মনির। এবারও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলেন কাজী মনিরুজ্জামান। ফলে নেতাকর্মীদের ভাষ্যমতে আবারো তৈমূর আলমকে গোসল ছাড়াই কুরবানী দেয়া হলো।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সেই ১৯৯৮ সালের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ওইদিন নিহত হয়েছিলেন তারই পাশেই দাড়িয়ে থাকা যুবদল কর্মী ইব্রাহীম। ১/১১ এর সময় তারেক জিয়ার মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। নেয়া হয় রিমান্ডে। রিমান্ডে নিয়ে তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিতে দেয়া হয় কয়েক হাজার বোল্ডের বাতির নিচে তার মাথা। তবুও স্বাক্ষী দেয়ার কথা মেনে নেয়নি। জেল খেটেছিলেন ২৬ মাস। বিএনপি ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজপথে বুক উচিয়ে পুলিশের লাঠির সামনে গুলির সামনে যিনি ছিলেন তিনি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। পুলিশের লাঠির আঘাত পেঠে সহেছিলেন তিনি। গলা চেপে পুলিশ তকে টেনে হেছড়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। জেল খেটেছেন। কিন্তু যেখানে একক প্রার্থী হিসেবে তৈমূর আলম খন্দকারকে ঘোষণা করা উচিত সেখানে আরো দুজন রাজপথের আন্দোলন বিমুখী নেতাকে মনোনয়ন চিঠি দেয়াটাও তৈমূর আলম খন্দকার ও তার নেতাকর্মীদের জন্য অপমানজনক। যেখানে ওই দুই মনোনিত নেতাকে কখনও কারাগারে যেতে হয়নি। পুলিশের মার খেতে হয়নি। গুলি খেতে হয়নি। শেষ পর্যন্ত বাদ পড়লেন তৈমূর আলম খন্দকারই।

নেতাকর্মীদের দাবি- নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের একজমাত্র ঝান্ডা ধরার যোগ্য হিসেবে নেতাকর্মীরা বলেছিলেন তৈমূর আলম খন্দকারকেই। এ আসনে জয় নিশ্চিত করতে তৈমূর আলমই একমাত্র ভরসা। নেতাকর্মীরা এও বলেছিলেন- কেন্দ্রীয় নেতারা আপাতত এ আসনে তিনজনকে মনোনয়নের চিঠি দিয়ে রাখলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকায় একমাত্র একক প্রার্থী হিসেবে তৈমূর খন্দকারই থাকবেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে তৈমূর আলম খন্দকারকে মনোনিত করা হয়নি।

নেতাকর্মীরা আরও বলেছিলেন- দলের প্রতি তৈমূর আলমের কমিটমেন্ট রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচনের সাত ঘন্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তৈমূর আলম খন্দকার। এখানে তিন জনের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়াকেও মনোনিত করা হয়েছিল প্রাথমিকভাবে।

নেতাকর্মীরা বলেন- সাধারণ মানুষের নেতা তৈমূর আলমকে ২৪ ঘন্টা যে কোন সময় যে কোন নেতাকর্মী সমর্থক ফোন করলে নিজ হাতে রিসিভ করে কথা বলেন তিনি। হাটে ঘাটে মাঠে রাস্তায় বসেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসে খাওয়া ধাওয়া করতে পারেন। এখানে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার দিক থেকে তৈমূর আলম খন্দকার এগিয়ে। অন্যদিকে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়া মুলত নিজেরা দলের কমিটি ও কমিটির পদ পদবীতে নিজেদের চাটুকার শ্রেণির নিস্ক্রিয় কর্মীদের পদে বসিয়ে নেতা বানানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু নির্বাচনী মাঠে তারা অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। এদিকে আবার গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর শহর কেন্দ্রীক একটি কর্মসূচিতেও ছিলেন না দিপু ভুইয়া। কাজী মনিরকে দু’একটি কর্মসূচিতে দেখা গেলেও তাকে ছাড়াই বাকী কর্মসূচিগুলো পালন করেছে জেলা বিএনপি। রূপগঞ্জে কাজী মনিরের পক্ষে নেতাকর্মীরা থাকলেও দিপু ভুইয়ার এমপি নির্বাচন করার মত অবস্থান নেই।

অন্যদিকে তৈমূর সম্পর্কে নেতাকর্মীরা বলছেন- বিআরটিসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে নিজ জিম্মায় রূপগঞ্জের কয়েকশ মানুষকে বিনা পয়সায় চাকুরী দিয়ে তিনি জেল খেটেছেন ২৬ মাস। সেই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। যে কারনে রূপগঞ্জে তৈমূর আলম খন্দকার হাটা শুরু করলে স্থানীয় লোকজনের সমাবেশ সৃষ্টি হয়ে যায়। তৈমূর এখনও দাবি করেন আবারো কোন দায়িত্ব পেলে কয়েক হাজার মানুষকে তিনি চাকুরী দিবেন।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি হন তিনি। তারপর থেকে রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন একমাত্র তিনিই। ২০১১ সালের ৬ জুন তিনি শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় সদর মডেল থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই আতিয়ার রহমানের লাঠির মার পিঠে নিয়েছেন। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ কোর্টের সামনে থেকে তাকে অপমানজনকভাবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময়কার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি কামালউদ্দীন তৈমূর আলম খন্দকারের গলা চেপে ধরেন। তৈমূর আলমের গলা চেপে ধরে টেনেহেছড়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তৈমুর আলমের জিব্বাহ বের হয়ে আসলেও তাকে ছাড়েনি পুলিশ। ওসি কামাল উদ্দীনকে এএসপি পদে পদোন্নতি করা হয়েছে। তৈমূর আলম খন্দকার পুলিশি নির্যাতন, হামলা মারধর ও কারাভোগ করলেও রহস্যজনক কারনে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়াকে জেল খাটতে হয়নি এবং রাজপথে পুুলিশের মার খেতে হয়নি।

রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষ বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার একজন আমজনতার নেতা, মেহনতি, খেটে খাওয়া, দিন মজুরের নেতা।।তিনি পারবেন একমাত্র এ আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে। এখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন না এমন নেতাকে মানুষ ভোট দিবে না। যারা মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিস্যূৗ দিয়ে হাত মুছেন এমন নেতাকে সাধারণ মানুষ ভোট দিবে না।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেছিলেন- তৈমূর আলমের কাছে খেটে খাওয়া মানুষ, দিন মজুর, রিক্সা চালক, ভ্যান চালকসহ সাধারণ মানুষের গুরুত্ব বেশি। তিনি রিক্সা চালক ভ্যান চালকদের নেতা ছিলেন। ছিলেন কাজের ভুয়াদের সহযোগীতায়। রয়েছেন বধির সংস্থার চেয়ারম্যান। কয়েক যুগ ধরে অন্ধ প্রতিবন্ধিদের জন্য কাজ করে আসছেন। লুঙ্গি পড়া খেটে মানুষকেও তৈমূর আলম খন্দকার তার গাড়িতে ডেকে তুলেন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ কিংবা রূপগঞ্জের কোন সাধারণ মানুষকে দেখলেও গাড়ি থামিয়ে তার গাড়িতে তুলে নেন। কারো সাথে একবার কথা হলে কয়েক বছর পর দেখলেও তৈমূর নাম সহ চিনতে পারেন। গভীর রাতে ফোন করলেও সাধারণ মানুষের ফোন রিসিভ করেন নিজে। এসব নিয়ে অনেক নেতা নাক ছিটকালেও তৈমূর কর্ণপাত করেন না।

রূপগঞ্জের খাদুন গ্রাামবাসীর পক্ষে আন্দোলনে ছিলেন তিনি। আবাসন ব্যবসায়ীরা যখন মানুষের কৃষি জম দখলে নিয়ে বালু দিয়ে ভরাট করছিল তখন আন্দোলনে নামেন তৈমূর আলম। আর কেউ ছিল না। গ্রামবাসীর পক্ষে মামলার পরিচালনা সহ আন্দোলন করার দায়ে তিনি মামলার আসামীও হয়েছিলেন। তুবও ভুমিদস্যুদের সাথে কোন আপোষ করেননি। এসব কারনে নেতাকর্মীরা বিচার বিশ্লেষন করে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়ার চেয়ে তৈমূর আলমকে এগিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু আবারো তৈমূর আলমকে বঞ্চিত করা হলো।

প্রার্থীতা ফিরে পেলেন অধ্যাপক মামুন মাহামুদ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ তার মনোনয়ন বৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এ আগে তার মনোনয়ন দাখিলে তার মামলা সংক্রান্ত তথ্য না থাকায় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া।

৭ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে তার আপিলের শুনানি শেষে অধ্যাপক মামুন মাহামুদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।

গত ২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।

একই দিন রিটার্নিং অফিসার এখানে ১৬ জন মনোনয়ন দাখিলকারীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মুহাম্মদ কাউসার, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মামুন মাহামুদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউসার আহমেদ পলাশ ও কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও মামুন মাহামুদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বৈধ ঘোষণার পর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচনে তিনি শেষ পর্যন্ত থাকবেন। এ আসনে বিএনপির দুই মনোনিত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহআলম ও মামুন মাহামুদের মধ্যে একজনকে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা করেনি বিএনপি।

প্রার্থীতা ফিরে পেলেন গিয়াসউদ্দীন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন আপিল করে তার প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। এর আগে তার মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করে ঋণ খেলাপীর দায়ের তার মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া।

৭ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে তার আপিলের শুনানি শেষে গিয়াসউদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।

গত ২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া এ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।

একই দিন রিটার্নিং অফিসার এখানে ১৬ জন মনোনয়ন দাখিলকারীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মুহাম্মদ কাউসার, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মামুন মাহামুদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউসার আহমেদ পলাশ ও কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও মামুন মাহামুদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বৈধ ঘোষণার পর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচনে তিনি শেষ পর্যন্ত থাকবেন। এ আসনে বিএনপির দুই মনোনিত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহআলম ও মামুন মাহামুদের মধ্যে একজনকে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা করেনি বিএনপি।

বন্দরেই হবে সেলিম ওসমান ও তার স্ত্রীর সমাধি

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

মৃত্যুর পর বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া এলাকায় সমাধিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে জায়গা নির্ধারিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এমপি সেলিম ওসমান। যিনি বন্দর এলাকা এবং বন্দরের মানুষের ভালবাসায় মৃত্যুর পর নিজের লাশটি বন্দরে দাফন করার ঘোষণা অনেক আগেই দিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি উনার সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান বন্দরে বিভিন্ন এলাকার নারীদের সাথে একটি মত বিনিময় সভায় মৃত্যুর পর বন্দরে স্বামীর পাশেই লাশ দাফন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ দম্পোত্তি উভয়েই মৃত্যুর পর বন্দরে পাশাপাশি নিজেদের লাফ দাফন করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ঠিক কোথায় সেটি হবে তা নিদিষ্ট করে কিছুই বলেননি।

৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩টায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের উদ্যোগের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের অদূরে কান্দিপাড়ার একটি জায়গায় আলোচনা ও দোয়ার আয়োজন করেন। যেখানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এমপি সেলিম ওসমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্য প্রদানকালে এমপি সেলিম ওসমান আয়োজিত সভাস্থলে বর্তমান বায়না সূত্রে মালিক মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিন ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান এর সহ উপস্থিত সকলের অনুমতিক্রমে উক্ত জায়গাটুকু নিজের জন্য কিনে নেওয়ার ইচ্ছা পোষন করেন। উপস্থিত সর্বসম্মতিক্রমে তিনি কাজিম উদ্দিন এর আগে নগদ কিছু টাকা দিয়ে জমিটি কেনার জন্য বায়না করেন।

পরক্ষণেই তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমি বন্দরকে ভালবাসি। বন্দরের মানুষকে ভালবাসি। আমার প্রতি আপনাদের ভালবাসা এবং বন্দরের প্রতি আমার ভালবাসা থেকেই আমার মৃত্যুর পর আমার লাশটি বন্দরে দাফন করার ঘোষণা দিয়েছি। আমার সহধর্মিনী নাসরিন ওসমান নিজেও তার মৃত্যুর পর আমার পাশেই তার লাশ দাফন করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি বন্দরকে ভালবাসি আর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এলাকাকে বন্দরের মধ্যে আমি সব থেকে বেশি ভালবাসি। এই ইউনিয়নের পুরোটাই আমার কাছে একটি ফুলের বাগান মনে হয়। তাই আমার মৃত্যুর পর এই ফুল বাগানের মাঝেই আমি থাকতে চাই। এই বায়না করার জমিতেই যেন মৃত্যুর পর আমার এবং আমার সহধর্মিনীর লাশটি দাফন করা হয়।

এমপি সেলিম ওসমানের মুখ থেকে সকলের অপ্রত্যাশিত এমন ঘোষণা শুনে উপস্থিত সকলেই কিছু সময়ের জন্য স্তব্দ হয়ে যান।

তিনি আরো বলেন, বন্দর নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন আছে। আমি চাই এই কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি কারিগরি ইনস্টিটিউট গড়ে উঠুক। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের পাশেই যেন আমার লাশটি দাফন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, আমি সব সময় সবাইকে বলি উপার্জনের একভাগ সঞ্চয় করতে, একভাগ সংসার চালাতে খরচ করতে আরেক ভাগ দিয়ে মানুষের কল্যানে ব্যয় করতে। আমি এখন থেকে আমি আমার উপার্জনের একভাগ নয় দুইভাগই মানুষের কল্যানে ব্যয় করবো।

নারীদের প্রতি আহবান রেখে তিনি বলেন, একটা সময় ছিল পুরুষের উপার্জন করতো আর নারীরা তা ব্যয় করতো। কিন্তু এখন আর সেই সময় নাই। এখন নারীরা নিজেরাই উপার্জন করেন এবং নিজেরাই ব্যয় করেন, আবার উনারা দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম নিজেদের সন্তানদের সুশিক্ষিত করার গুরু দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
বিগত দিনে কাজ করতে গিয়ে ভুল ত্রুটির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে আমার কাজে অনেক ভুল আছে। সেই ভুলের জন্য আমি আপনাদের সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না। অতীতে আমার ভুল গুলো আমি এখন বুঝতে পারছি। আজকে মত অতীতে যদি আমি ৩মাস অন্তর অন্তর আমি প্রতিটি ইউনিয়ন এলাকায় সবার সাথে আলোচনায় বসতাম তাহলে বিগত সাড়ে ৪ বছরে বন্দরে যে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে তার থেকে আরো অনেক বেশি উন্নয়ন করা সম্ভব হতো। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না।

সব শেষে সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেখানে নৌকা নাই সেখানেই লাঙ্গলই শেখ হাসিনার মার্কা। প্রতিটি এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করে আবারো শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু মিয়া, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী মহিলালীগের সভাপতি ড. শিরীন বেগম, জেলা মহিলা পার্টির সভাপতি আঞ্জুমান আরা ভূইয়া, মহানগর মহিলা লীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।

বৃষ্টি —— কামরুন্নাহার লিজা

বৃষ্টি এসো মনের ভেতর, হৃদয়কে ভিজিয়ে
অনুভূতিকে আলোড়িত করে
হতাশাকে ভেঙেচুড়ে।
আমার সকল চাওয়া পাওয়াকে আলোকিত করে
সবুজ করে তোল আমার চাওয়া সকল ইচ্ছেকে
আমি ভিজতে চাই, প্রকৃতির ছোঁয়ায়
উপভোগ করতে চাই তোমার ভালবাসার সকল স্পর্শকে।

আমি বৃষ্টি চাই, বৃষ্টি চাই,
তোমার আকুলতাকে জানতে চাই, ভাবতে চাই,
অর্জন করতে চাই, তান্ডবে জাগতে চাই
দেবে বৃষ্টি তোমার রঙিন ছোঁয়া?

রংধনুকে রং এর ছোঁয়ায় আকঁতে চাই
বৃষ্টির আগমন আর ভেজানো অনুভূতি সবই যেন
নতুন নতুন অনুভূতিকে রাঙিয়ে তোলে।
বৃষ্টি যেন সেই আমাদের নতুন মনের নতুন সুরের গান
হৃদয়ের স্পন্দন, উড়ন্ত ঘুড়ি
যা উড়ে বেড়ায় নীল আকাশের নীলিমায়।
বৃষ্টির প্রকৃত ছোয়ায় তাই ভিজতে চাই বলহুবার
বৃষ্টি এসো আপন ভুবনে, আপন মনে।

চাচা ভাতিজার টানাটানিতে আজাদের থাবা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে এবারের নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে লড়াইয়ে নেমেছিলেন এ আসনের সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর ও তার ভাতিজা মাহমুদুর রহমান সুমন। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চাচা ভাতিজার টানাটানিতে ধানের শীষ প্রতীক থাবা দিয়েছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। ফলে বেকায়দায় পড়লো আড়াইহাজারের বিএনপির এই রাজনৈতিক পরিবারটি। মুলত এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর মৃত্যুতে অনেকটা কপাল খুলে যায় নজরুল ইসলাম আজাদের। আর চাচা ভাতিজার বিরোধের সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছেন আজাদ।

এ আসনে আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়বেন নজরুল ইসলাম আজাদ। ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার নজরুল ইসলাম আজাদের হাতে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি তুলে দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রাথমিকভাবে আতাউর রহমান আঙ্গুর ও মাহমুদুর রহমান সুমনকে মনোনয়ন দেয়া হলেও তারা বঞ্চিত হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারের ২টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসনটি গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৮জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৩৪জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৪ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ১১৩টি।

এবারের নির্বাচনে এ আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ ১১ জন সম্ভাব্য প্রার্থী এ পর্যন্ত তাদের নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন ক্রয় করেছেন। অনেকেই ফরম পূরণ করে জমাও দিয়েছেন।

এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে মনোনয়ন চেয়েছিলেন বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক রাষ্ট্রদূত মমতাজ হোসেন, সাবেক এমপি এমদাদুল হক ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। কিন্তু মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু।

অন্যদিকে এ আসন থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও তার ভাতিজা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। প্রাথমিকভাবে এই তিনজনকেই মনোনিত করে বিএনপি।

এ আসনে গত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। এর আগে ২০০১ সালের নির্বাচনে, ১৯৯৬ ও ১৯৯১ সালে এখানে আতাউর রহমান আঙ্গুর বিএনপি থেকে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন। ১/১১ এর সময় আতাউর রহমান আঙ্গুর সংস্কারবাদীদের দলে যোগ দেন। সম্প্রতি আঙ্গুর মুলধারায় ফিরেন। গত ১১ জুলাই বদরুজ্জামান খান খসরুর মৃত্যুর পর তার ছেলে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা মাহমুদুর রহমান সুমনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেন। এ উপজেলায় খসরু ছিলেন সভাপতি। তারপর তিনি নির্বাচনে দাড়ানোর ঘোষণা দেন। ইতিমধ্যে মামলায় আসামীও হয়েছেন। মামলা থেকে দুরেই রয়েছেন আঙ্গুর। আঙ্গুরকে একটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে নিয়ে এসে বিএনপিতে যোগদান করিয়েছিলেন আঙ্গুরের ভাই বদরুজ্জামান খান খসরু। ওই সময় খসরু ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আঙ্গুরের মনোনয়নে পুরো ভুমিকাই রেখেছিলেন খসরু। কিন্তু আঙ্গুর এমপি হওয়ার পর দুই ভাইয়ের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধে উপজেলায় বিএনপির দুটি কার্যালয় রয়েছে। যদিও গত ১২ বছরে কোন কার্যালয়েই একটি কর্মসূচিও পালন করতে পারেনি বিএনপি।

এ আসনে জাতীয়পার্টি থেকে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন জাতীয় যুবসংহতির কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন। গত বছরের জুলাইয়ে মাসে এখানে জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এক জনসভায় এসে আগামী প্রার্থী হিসেবে লোটনের নাম ঘোষণা করেন এবং লোটনের হাত উচিয়ে এরশাদ ভোট প্রার্থনাও করেছিলেন। কিন্তু লোটনকে জাতীয়পার্টি থেকে মনোনিত করা হয়নি। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বিভাগীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক হাজী নাসির উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুর রহমান ও কৃষক শ্রমিক জনতালীগের আড়াইহাজার থানা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন জসিম মনোনয়ন ক্রয় করেছেন।

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে সেলিম ওসমানের আহ্বান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

পাকিস্তানের মদদের তৃতীয় একটি পক্ষ আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। সেই সাথে তিনি এও বলেছেন যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে অবশ্যই অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে সকলের প্রতি আহবান রাখেন। সেই সাথে তিনি বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দের কারনেই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রধানমন্ত্রী মহাজোট থেকে লাঙ্গল মার্কার প্রার্থীর দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই লাঙ্গল লাঙ্গলবন্দের লাঙ্গল।

৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ এলাকায় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে মুছাপুর ইউনিয়নবাসী উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমি বিগত দিনের মত ভবিষ্যতেও সকলকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করে যেতে চাই। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করে যাওয়ার দিক নির্দেশনাটা আমরা পেয়েছি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে। বিগত দশ বছরে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড লক্ষ্য করলে আপনারা বুঝতে পারবেন। আগামী নির্বাচনে যদি আবারো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানানো যায় তাহলে আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ ২৫ বছর এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একমাত্র নারীই পারেন প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মূল বাস্তবায়নকারী হতে। ভবিষ্যতে নারীদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তাই সবার আগে নারীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। একজন নারীর পক্ষেই সম্ভব দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং প্রতিটি পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে। তাই আমি সকল মা বোনদের প্রতি আহবান রাখবো আপনারা আর পিছিয়ে থাকবেন না। আপনাদেরকে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে।

এদিকে মতবিনিময় সভায় বর্তমান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা নিয়ে এমপি সেলিম ওসমানের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেণীর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সোনিয়া। এই শিক্ষার্থী বলেন, এমপি সেলিম ওসমান বিগত দিনে আমাদের শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছেন। নিজ অর্থায়নে ৭টি স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ করেছেন। আমাদের ক্লাসে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ৩টি স্কুলের সকল শিক্ষার্থীকে বিনা খরচে লেখাপড়া করার সুযোগ করে দিয়েছেন। যা আমাদের শিক্ষায় মনোযোগী করেছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে উনার মত একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই আবারো নির্বাচিত করা উচিত। আর উনি নির্বাচিত হলে উনার কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে, আমি লেখাপড়া শেষ করে বেকার থাকতে চাই না। মাদকের ছোবলে গ্রাস হতে চাই না। আমার চাকরির সন্ধ্যানে সময় নষ্ট করে বেকার বসে থাকতে চাই। আমরা চাই উনি আমাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে দিবেন। আমি আমাদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে অনলাইনে আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে। পরিশেষে বলতে চাই উনি প্রায় সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাই উনাকে অবশ্যই পুনরায় নির্বাচিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বলেন, এমপি সেলিম ওসমানের মাধ্যমে আমার মুছাপুর ইউনিয়নে যে সকল উন্নয়ন হয়েছে। বিগত সময়ে এতো উন্নয়ন মুছাপুরবাসী দেখি নাই। লাঙ্গলবন্দের দিকে লক্ষ্যে করলেই আপনারা উনার কর্মকান্ড সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পাবেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী এমপি সেলিম ওসমান আমরা লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারো বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবো।

মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন, সিটিকর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল, মহানগর মহিলা লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, জেলা যুব সংহতির যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেন, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ