এইচএসসি পাশ করেই এমবিবিএস ডাক্তার, প্রতারক মোস্তাক গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ভূয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১)। ৩০ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধায় সিদ্ধিরগঞ্জ শিমরাইল এলাকায় হক সুপার মার্কেটে ‘নিউ মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ থেকে ভূয়া ডাক্তার মোস্তাক আহমেদ করিম ওরফে এমএ করিম বশিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে এইচএসসি পাশ করেই নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। মঙ্গলবার সন্ধায় র‌্যাবের অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, র‌্যাব ১১, সিপিএসসি এর বিশেষ অভিযানে ৩০ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাংরোডের হক সুপার মার্কেটে ‘নিউ মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ রোগী দেখার সময় ভুয়া ডাক্তার মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ করিম ওরফে এম এ করিম বশিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তার কাছ থেকে ডাঃ মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ করিম, এমবিবিএস (ডি-অর্থো), পিজিটি(ডি-অর্থো), পিজিটি (ইমনটি ও হৃদরোগ) চীপ মেডিকেল অফিসার, সিকদার গ্রুপ, হাড় জোড়া, বাত ব্যাথ্যা, মেরুদন্ড বিশেজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামীয় ভিজিটিং কার্ড ও রোগী দেখার প্রেসক্রিপশন প্যাড উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ করি ওরফে এমএ করিম বশিরের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার সদর থানাধীন কুমারখালী এলাকায়। সে নিবন্ধনকৃত ডাঃ মোঃ মোস্তাক আহম্মেদের নাম ও বিএমএন্ডডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন ন¤¦র-২৬৬৩৩ ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ ‘নিউ মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ নিয়মিত রোগী দেখে আসছে।
সে তার নামের পাশে ডাক্তারী ডিগ্রী হিসেবে, নিজেকে ডাক্তার মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ করিম, এমবিবিএস (ডি-অর্থো), পিজিটি (ডি-অর্থো), পিজিটি (ইমনটি ও হৃদরোগ) চীপ মেডিকেল অফিসার, সিকদার গ্রুপ, হাড় জোড়া, বাত ব্যাথ্যা, মেরুদন্ড বিশেজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামে নিজস্ব প্যাডে প্রেসক্রিপশন ফরমে উল্লেখ করেছে।

র‌্যাবের অভিযানিক দল নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে তার বিএমএন্ডডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চাইলে সে তার নামের সাথে মিল থাকায় ডাঃ মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ এর রেজিস্ট্রেশন ন¤¦র-২৬৬৩৩ দেখায়। কিন্তু উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, নিবন্ধনকৃত ডাঃ মোস্তাক আহমেদ ও সে এক ব্যক্তি নয়। তার নামের সাথে মিল থাকায় সে প্রায় ১২ বছর ধরে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী দেখে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছে। জিজ্ঞাসাবাদ সে আরো জানায় স্থানীয় কলেজ থেকে ১৯৮৯ সালে এইচএসসি পাস করার পর দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেকে এমবিবিএস ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখে আসছে।