৮ ব্যবসায়ী সংগঠনের সমর্থন পেলেন সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমানকে সমর্থন জানিয়ে তাঁকে আবারো বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় ভিত্তিক ৮টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

১০ ডিসেম্বর সোমবার সকালে চাষাঢ়ায় অবস্থিত হীরা মহলে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ৮টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা এমপি সেলিম ওসমানকে আগামী নির্বাচনে সমর্থন জানিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আহবান জানান।

বাংলাদেশ নীট ওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইয়ার্ণ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নীট এন্ড ডাইং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পাট আড়ৎদার মালিক সমিতি, বাংলাদেশ নীটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পাল্স লেনটিল ক্রাশিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে আমরা নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো আছি। দেশের আর কোথাও ৪৮টি ব্যবসায়ী সংগঠন একটি ছাতার নিচে থাকে না। তাই যেকোনো বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়। আর এ কারনেই সুষ্ঠু ব্যবসায়ীক পরিবেশ ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় ২০০০ সালে দলমত নির্বিশেষে সাদা পতাকা মিছিলের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে হরতাল নৈরাজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীদের কাউকে চাঁদা দিতে হয়না। এমন অভিযোগ পেলে আমি সব সময় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আর সেই কারণেই নারায়ণগঞ্জের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবসায়ীদের অবদান রয়েছে। জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষ, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সভাকক্ষ, পুলিশ লাইনস স্কুল সহ নারায়ণগঞ্জে সহ সর্বত্র ব্যবসায়ীদের অবদান রয়েছে। তাই কোনো মহল বা চক্র যদি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে সেলিম ওসমান তাকে ছাড় দিবে না।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, নিজের পরিবারের চেয়ে আমার ব্যবসায়ীদের সাথে আমার সম্পর্ক বেশি ঘনিষ্ঠ। তাই এখানে উপস্থিত বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নেতৃবৃন্দদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা অ্যাসোসিশেয়ন গুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত অফিসে পরিণত করবেন না।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের দোয়ায় বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি এবং আরো কিছু কাজ সামনের দিনে করতে চাই। আপনারা পাশে থাকলে সমর্থন করলে সেই কাজগুলো শেষ করতে পারবো। ইতিমধ্যে আমার সাতটি ইউনিয়নে সাতটি স্কুল করতে পেরেছি। নারায়ণগঞ্জ কলেজ ১০ তলায় উন্নিত করতে পেরেছি। শ্রম উন্নয়ন ভবন নির্মাণ করতে পেরেছি। ভারতের সাথে যৌথভাবে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল হচ্ছে যেখানে নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকরা স্বল্প খরচে চিকিৎসা নিতে পারবে। তাই একটা কথা বরারবই বলে এসেছি আমি দলমত বুঝি না, উন্নয়ন বুঝি। যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আবারো আপনাদের গোলামী করতে চাই। তাই লাঙল প্রতীক নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। যা লাঙল তাই নৌকা। আমি বেশি ভোট চাই না। এখানে নেতৃবৃন্দ যারা উপস্থিত আছেন তাদের বলবো আপনারা আপনাদের মেম্বারদের সাথে কথা বলেন, পরিবারের সাথে কথা বলেন আপনাদের পরিবারের ভোটটুকুই আমার জন্য যথেষ্ট।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই এর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম সোলায়মান, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, সহ সভাপতি মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, নারায়ণগঞ্জ জেলা পাবলিক প্রসিকিউটার অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, বিকেএমইএ এর সহ সভাপতি(অর্থ) হুমায়ন কবির খান শিল্পী, পরিচালক জিএম ফারুক, বাংলাদেশ পাট আড়ৎদার মালিক সমিতি, ফয়েজ উদ্দিন লাভলু, বাংলাদেশে হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ সভাপতি মো: মুসা, বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু তাহের শামীম, বাংলাদেশ পাল্স লেনটিল ক্রাশিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান উদ্দিন নান্নু, বাংলাদেশ নীট ডাইং ওনার্স অ্যাসোসিশেনের সিনিয়র সহ সভাপতি জিএম হায়দার আলী বাবলু সহ ব্যবসায়ী সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।