এসপির নেতৃত্বে অপরাধ দমনে কাজ করছেন ওসি নজরুল ইসলাম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে আমি আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে যাবো। কোনো প্রকার অন্যায়ের কাছে আমি নিজেকে নতজ্যানু করব না। মাদক নির্মূলের ক্ষেত্রে আমি সর্বোচ্চ কঠোর হয়ে কাজ কবর।

তিনি আরও বলেন, জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ মাদক নির্মূলে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তিনি প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছেন। তার এই যুদ্ধে সফলতা আনতে হলে আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। অপরাধীদের ব্যাপারে কেউ তদবির করে আমার কাছ থেকে সুবিধা নিতে পারবে না। এরই মধ্যে অনেকেই তদবির করে ব্যর্থ হয়েছেন।

তিনি বলেন, পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে গিয়ে আমি সর্বোচ্চ পরিশ্রম করে যাবো। আমার ওপর যে পবিত্র দায়িত্ব রয়েছে তা আমি সম্মূন্নত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো। জনগণের বন্ধু হয়ে আমি তাদের সেবা প্রদান করবো। আইনের উর্ধ্বে কেউ নেই; আইন সবার জন্যই সমান। ৩ জুলাই বুধবার আড়াইহাজার থানায় নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, চোর, ডাকাত, ধর্ষণকারী ও মাদক ব্যবসায়ীকে শায়েস্তা করতে গিয়ে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে। অপরাধীদের কোনো দল নেই। তাদের পরিচয় আমার কাছে স্রেফ অপরাধী। মাদকের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে আমি ‘জিরোট্রলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি। এতে বেশ সুফলও পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার থানায় পুলিশ সদস্যরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ভালো কিছু অর্জন হলে এটি তাদেরই কৃতিত্ব হবে। কাজের গতি আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধারা আমি অব্যাহত রাখব। এতে আইনশৃঙ্খলায় ক্রমেই উন্নয়ন হচ্ছে। তবে কোনো প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি আমি সহ্য করব না। আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের ক্ষেত্রে আমি সকলের সাহায্য কামনা করছি।

এদিকে জানাগেছে, গত জুন মাসে আড়াইহাজার থানা পুলিশের অভিযানে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে ৩’শ ২৭পিস, গাঁজা ৪০ কেজি ৫’শ গ্রাম, বিয়ার ২২১ ক্যান, বিদেশী মদ ৪ বোতল ও ফেন্সিডিল ১ বোতল। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ২২টি। আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৮জন। এ ছাড়াও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তালিম করা হয়েছে, জিআর মামলা (বডি) ১৭জন, সিআর-৯জন, জিআর সাজাপ্রাপ্ত আসামি ৪জন ও সিআর সাজাপ্রাপ্ত আসামি ৩জন।