বোমা হামলা মামলায় কাউন্সিলর শকুর বিচার চলছে: চন্দন শীল ও রতনের সাক্ষ্য

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বোমা হামলা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ওই হামলায় দুই পা হারানো চন্দন শীল ও রতন দাস সহ ৪ জন। সাক্ষ্য প্রদানের সময় চন্দন শীল ঘাতকদের বিচার চেয়ে আদালতের কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। অপর দুই সাক্ষীরা হলেন- বোমা হামলায় আহত খবির আহমেদ ও প্রত্যক্ষদর্শী রফিকুল ইসলাম।

৩ জুলাই বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শাহ মোহাম্মদ জাকির হাসান ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ওই সময় আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা শওকত হাসেম শকু ও শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানাগেছে, এই মামলায় এ পর্যন্ত ৭জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এর আগে ২০১৫ সালের ২আগষ্ট মামলার বাদী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা এবং ১৭ জুন এক আইনজীবী ও আইনজীবীর সহকারী সাক্ষী দিয়েছেন।

সাক্ষী প্রদানের সময় মামলার অভিযুক্ত ৬ আসামীর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু (জামিনে) ও (কারাগারে বন্দি) যুবদল নেতা ক্রসফায়ারে নিহত মমিন উল্লাহ ডেভিডের ছোট ভাই শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল সহ দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে সহোদর আনিসুল মোরসালিন, মুহিবুল মুত্তাকিন ভারতের কারাগারে বন্দি রয়েছে। আর ওবায়দুল্লাহ রহমান নামে একজন পলাতক রয়েছে। এ মামলার অন্যতম আসামী হুজি নেতা মুফতি হান্নানের একটি মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রহিম বলেন, ঘটনার সময় এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সচিব চন্দন শীল, যুবলীগ কর্মী রতন দাস ও খবির আহমেদ আওয়ামীলীগ অফিসে ছিলেন। এতে বোমা হামলা তাদের মধ্যে রতন ও চন্দন শীল পা হারায় এবং এমপি শামীম ওসমান, খবির আহমেদ সহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বোমার স্প্রিন্টারে আহত হয়। তখন রফিক নামে একজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সেই বেদনা বিধুর দৃশ্য দেখেছেন। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় আসামীদের বিচার দাবী করে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী দিয়েছেন। আদালত তাদের সাক্ষী গ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ২১ আগষ্ট দিন ধার্য্য করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আরো জানান, ২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাড়া আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলায় ২০জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর দিন আওয়ামীলীগ নেতা খোকন সাহা বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দুইটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরক অন্যটি হত্যা।