দ্বিতীয় মেঘনা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, দেশবাসীকে জানালেন ঈদ শুভেচ্ছা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২৫ মে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন দ্বিতীয় মেঘনা সেতু। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা এলাকায় লাগাতার লেগে থাকা দীর্ঘ যানজটের অবসান হবে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা কিছুটা হলেও আরামদায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা যায়, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও ভিবিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়নকাজ অব্যাহত থাকবে। আমরা আমাদের সেতুগুলোর উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এটা চলমান থাকবে। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আরও এগিয়ে নেবো।

দ্বিতীয় মেঘনা সেতু প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ার শেখ জহিরউদ্দিন মাহমুদ জানান, নবনির্মিত দ্বিতীয় মেঘনা সেতু শনিবার নির্ধারিত সময়ের আগেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই কাঁচপুর দ্বিতীয় ব্রীজ চালু হয়েছে। সব মিলিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা যানজটের যন্ত্রনা মুক্ত ও আরামদায়ক হবে।

ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার ও কাঁচপুর সেতুর ইনচার্জ ফারিহা আযম জানান, আমরা খুব আনন্দিত যে, সময়ের আগেই আমরা সেতুটির কাজ শেষ করে খুলে দিতে পারায়। ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষরা যানজট মুক্ত সড়ক পাবে।

তিনি আরো বলেন, জাপানী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওবায়সি করপোরেশন, শিমঝু করপোরেশন, জেএফএফ করপোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেম্স কোম্পানী লি. ২০১৬ সালের জানুয়ারীতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর ব্রীজের কাজ শুরু করা হয়েছিল। এই তিনটি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে, ৮ হাজার ৪শ’ ৮৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে প্রস্তাবিত ব্যয়ের তুলনায় ১ হাজার কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে। এর মধ্যে জাপানের জাইকা ৬ হাজার ৪শ’ ৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, জনসাধারণের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৩১ মে কাঁচপুর সেতুর পূর্বাংশের ওভারপাস খুলে দেওয়া হবে। এর আগে গত ১৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীতলক্ষ্যা নদীর উপর দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক কায়ুম আলী সরদার বলেন, দ্বিতীয় মেঘনা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় আশা করছি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা এলাকায় লাগাতার লেগে থাকা দীর্ঘ যানজট আর হবে না। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা কিছুটা আরামদায়ক হবে।