রাষ্ট্রীয় পরিবহন চলাচলে বাধা: রাষ্ট্রের চেয়েও নারায়ণগঞ্জে তারা ক্ষমতাধর!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

দীর্ঘ দুই বছর নারায়ণগঞ্জে বিআরটিসি পরিবহন চলাচল করেনি রহস্যজনক কারনে। সেই পরিবহনটি জনসাধারনের জন্য আবারো চালু করেছে সরকার। কিন্তু রাষ্ট্রীয় একই পরিবহন চলাচলে নারায়ণগঞ্জে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে কেউ কেউ বলছেন যারা রাষ্ট্রীয় পরিবহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন তারা রাষ্ট্রের চেয়েও কি বেশি ক্ষমতাধর! তাহলে তারা কারা? বিআরটিসি পরিবহন চালুর দুই দিনেই দ্বিতীয় দফায় কাউন্টারে হামলার শিকার হয়েছেন বিআরটিসি পরিবহনের কর্মচারীরা।

২৫ মে সকালে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় বিআরটিসির কাউন্টার ভাংচুরের অভিযোগ ওঠেছে। এর আগেও ভাংচুর ও পরিবহন কর্মচারীদের মারধর করা হয়। কিছু পরিবহন শ্রমিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠেছে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ বলছেন-একটি মহল একচেটিয়া পরিবহন ব্যবসায়ী চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিআরটিসি পরিবহন চলাচলে বাধা দিচ্ছে। এর আগে ওই প্রভাবশালীদের বাধার কারনেই দুই বছর বিআরটিসি নারায়ণগঞ্জে বন্ধ ছিল।

গত ২২ মে রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটের ২নং গেটের কাউন্টার থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে বিআরটিসি এসি বাস চলাচলের উদ্বোধন করেন। শনিবার নারায়ণগঞ্জে কাউন্টার বসাতে গেলে কাউন্টার ভাংচুর ও হামলা চালানো হয়।

নারায়ণগঞ্জের বিআরটিসি ডিপো ম্যানেজার কামরুজ্জামান নারায়ণগঞ্জের একটি অনলাইনে অভিযোগ করেন, ‘শনিবার সকালে কয়েক দফা কাউন্টার বসানোর চেষ্টা করা হলেও বাস ও মিনিবাস পরিবহন মালিক সমিতির লোকজন এসে বাধা দেয়। জিলানী ও দিদার সহ আরো কয়েকজন এসে অস্থায়ী কাউন্টারের ছাতা উপড়ে ফেলে ও টেবিল ভাঙচুর করে। এছাড়া কাউন্টারে থাকা টিকেট বিক্রির লোকজনকেও মারধর করে। এর আগে শুক্রবারও একই পন্থায় কয়েক দফা বাধা দেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জবাসী এবং প্রশাসনের সহায়তা ছাড়া এ রুটে বাস চালানো সহজ নয়।’

এদিকে নারায়ণগঞ্জ বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘চাষাঢ়ায় আগে বিআরটিসির যে স্থানে কাউন্টার ছিল এবার সেখানে তারা বসায়নি বরং তারা এমন এক স্থানে কাউন্টার রেখে বাস পার্কিং করছিল যাতে যানজট সৃষ্টি ও অন্য বাসগুলোর সমস্যা হচ্ছিল। সে কারণে আমাদের সকল পরিবহনের লোকজন গিয়ে বিআরটিসির লোকজনদের অনুরোধ করেছে যেন তাদের আগের কাউন্টারের স্থলেই নতুন করে কাউন্টার বসানো হউক। কিন্তু সেটা করা হয়নি।’

নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালেহ আহমেদ বলেন, ‘বিআরটিসি প্রথমে যে স্থানে কাউন্টার বসানো চেয়েছিল সেখানে বসালে যানজট হতো। পরে তাদের আমরা অন্যত্র কাউন্টার বসানোর পরামর্শ দিয়েছিলাম। নতুন করে মারধর ও বা উচ্ছেদে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি।’