সামসু আবারো, নান্নু কিংবা হায়দারে ঝুঁকি নিবেনা এমপি কায়সার!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী দু’তিন মাসের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে নানান রাজনৈতিক হিসেব নিকেষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকার সম্ভাবনা জেগেছে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার। রফিকুল ইসলাম নান্নু কিংবা আলী হায়দারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে ঝুঁকি নিবেনা এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাযসার হাসনাত। কারন এখানে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে থাকছেন মাহফুজুর রহমান কালাম।

রাজনৈতিক বোদ্দারা মনে করেন, কালামকে ঠেকাতে হলে সামসুর পক্ষেই নামতে হবে কায়সার হাসনাতের পুরো বলয়কে। এরি মাঝে সামসুর পক্ষেই থাকবে জেলার প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমানের সমর্থন। কারন নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের অন্যতম বিশ্বস্ত ব্যক্তি সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া। শামীম ওসমানের সঙ্গে কালামের বৈরী সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। নান্নুর রয়েছে ইমেজ সংকট, আলী হায়দারকে এখনই পাশের চেয়ারে বসানো কায়সারের জন্য সঠিকও হবে না। ফলে সামসুল ইসলাম ভুঁইয়াই কায়সার হাসনাতের রাজনীতির জন্য নিরাপদ। নান্নু ও আলী হায়দার ভোটের মাঠে থাকলে কালামের জয়ের সম্ভাবনা থাকবে বেশি। যদি কালাম জিতে যায় তাহলে সোনারগাঁয়ের একক কতৃৃত্ব হারাবেন কায়সার হাসনাত।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে মাঠে নেমেছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার। তারা দুজনই উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে নামতে যাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। বর্তমান চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভুঁইয়াও থাকবেন নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে। আরো বেশকজনের নাম ওঠে আসলেও তারা ভোটের মাঠে লড়াই করার মত প্রার্থী নয় যে কারনে স্থানীদের মাঝে তাদেরকে নিয়ে আগ্রহ নেই।

এদিকে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক না থাকায় বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্ধিতা গড়ে তুলতেই নির্বাচনে মাঠে নামতে যাচ্ছেন মাহফুজুর রহমান কালাম। স্থানীয় আওয়ামীলীগের বিশাল অংশের নেতাও তিনি। ভোটের মাঠে সুষ্ঠু ভোট হলে কালামের সঙ্গে গোহারা হারার সম্ভাবনা সামসু, নান্নু কিংবা আলী হায়দারের। এখানে সামসুল ইসলাম ভুঁইয়াকে সমর্থন দিয়ে নান্নু ও আলী হায়দার যদি সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার পক্ষে কাজ করেন এবং কায়সার হাসনাতের সমর্থন থাকে তাহলে কালামের সঙ্গে সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। উপরের ৪ প্রার্থীই ভোটের মাঠে থাকলে কালামই হতে পারে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং যেখানে কায়সার হাসনাতের জন্য ভবিষত রাজনীতি পড়বে হুমকির মুখে।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের অনেকেই জানিয়েছেন, নান্নু ও আলী হায়দারের মত নেতাদের উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়ে এখনই এমপি কায়সার হাসনাতের পাশের চেয়ারে বসতে দেয়ার সুযোগ দেয়াটাও ঠিক হবে না। সেটা হবে কায়সার হাসনাতের জন্য রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব। ফলে এমনটা কায়সার হাসনাত করবেন না। যে কারনে কালামকে পরাজিত করতে হলে সর্বশক্তিকে একজোট করে সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার পক্ষেই থাকতে হবে তাদেরকে। নতুবা বিপাকে পড়বে কায়সার হাসনাতের সামনের রাজনীতি।