সোনারগাঁয়ে শিশু হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস নিখোঁজের ৬ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার” এই হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামী তফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এবং র‌্যাব-১, উত্তরা ঢাকা। যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারী শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া।

তিনি জানান, র‌্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এবং র‌্যাব-১, সদর কোম্পানী, উত্তরা, ঢাকা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ৩ ফেব্রুয়ারী রাতে সোনারগাঁয়ের চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস মাদ্রাসার ছাত্র শিশু আরাফাত হত্যাকা-ের সাথে জড়িত প্রধান আসামী তফাজ্জল হোসেনকে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেন।

তিনি আরো জানান, নিহত ভিকটিম শিশু আরাফাত হোসেন একই উপজেলার ভারগাও কাজীপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। নিহত ভিকটিম ভারগাও নেছারিয়া দালিখ মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন। সে গত গত বছরের ২ ডিসেম্বর তারিখ সকাল আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে তার নিজ বাড়ী হতে তার মামার বাড়ী ভারগাও চৌধুরীপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু সে উক্ত তারিখে তার মামার বাড়ীতে পৌছেনি। তাকে তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করতে থাকে।

খোজাখুজির একপর্যায়ে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুর অনুমান ১২টার সময় তার পরিবারের লোকজন লোকমুখে জানতে পারেন যে, সোনারগাঁও থানাধীন সাদিপুর ইউনিয়নের আদমপুর কাশেম মাস্টারের পুকুরে কচুরীপানার মধ্যে একটি লাশ পাওয়া গেছে। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সংবাদটি পাওয়ার সাথে সাথে ভিকটিমের আত্বীয় স্বজন উক্ত স্থানে গিয়ে লাশটি নিহত ভিকটিম আরাফাত হোসেনের বলে সনাক্ত করেন। পরে সোনারগাঁ থানায় সংবাদ দিলে তালতলা বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র হতে অফিসার ফোর্স গিয়ে ভিকটিমের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত কালে নিহত ভিকটিমের মাথার পিছনের দিকে জখমের চিহ্ন দেখা যায়।

অতঃপর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয় করার জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া), নারায়নগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। নিহত ভিকটিমের পরিবারের লোকজনের ধারণা অজ্ঞাতনামা আসামী/আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে নিহত ভিকটিমকে গত ২ ডিসেম্বর সকাল অনুমান ৯টা হতে ৮ ডিসেম্বর তারিখ দুপুর ১২ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা স্থানে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে সোনারগাঁও থানাধীন সাদিপুর ইউনিয়নের আদমপুর কাশেম মাস্টারের পুকুরে কচুরীপানার নিচে লুকিয়ে রেখেছিল।

এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস “হত্যা মামলার” তদন্তে প্রাপ্ত অন্যতম প্রধান আসামী ও চাঞ্চল্যকর অপরাধী তফাজ্জল হোসেন হত্যাকা-ের পর থেকে আত্মগোপনে ছিল।

এই নৃশংস হত্যাকা-ের ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি কোম্পানি, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সাথে তার অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চাঞ্চল্যকর হত্যাকা-ে জড়িত তদন্তেপ্রাপ্ত আসামী তফাজ্জল হোসেনকে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এবং র‌্যাব-১, সদর কোম্পানি, উত্তরা, ঢাকা এর যৌথ অভিযানে সনাক্ত ও তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারী গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী’কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।