ফতুল্লার গেসু ও আজমত গ্রুপের ২৪ জনের জামিননামা দাখিল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র সংঘষের্র ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা ঝুট ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন ওরফে গেসু এবং তার ভাই যুবলীগ নেতা আজমত আলী গ্রুপের ২৪ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। সেই জামিননামা ২৯ এপ্রিল সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেছেন আসামিরা।

মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ২৪ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। সেই জামিননামা আজ সোমবার আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মামলায় আরেক আসামি নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকেই জামিন পেয়েছেন।’

জানাগেছে, গত ২৩মার্চ শনিবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে গেসু ও আজমত গ্রুপের ২৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অর্ধশত লোকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায়, হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আওয়ামীলীগ নেতা গেসু আজম ছাড়াও মামলায় আসামী করা রয়েছেন মনির হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েল, খন্দকার শাওন, জসিম, আশ্রাফ, ফয়সাল, রিপন, নাঈম, দেলোয়ার, শাকিল, হৃদয়, শহিদ, ইমন, সোহেল, সানি, রাজু, তাহের আলী, সোলেয়মান, রহিম বাদশা, শামীম, ডালিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকার গেসু আজমত গ্রুপের সাথে রামারবাগ এলাকার স্পীটবোর্ড ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল গ্রুপের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই জের ধরে ২২ মার্চ রাতে ফতুল্লার রামারবাগ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে আজিম। তিনি তার বাড়ির সামনে অবস্থান করাকালীন আজমত-গেসুর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

এসময় আজিমের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে গেসু-আজমতের লোকজনের হাতে থাকা ধারালো রাম দা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। গেসু-আজমতের লোকজনের হামলার শিকার হয়ে মোস্তফা কামাল গ্রুপের লোকজন দৌঁড়ে দোকানের ভিতর প্রবেশ করলে তাদের হাতে থাকা লাঠিসেটা চাপাতি দিয়ে ওই সব দোকান ও বাড়ি ঘর ভাঙচুর চালায়।

মামলায় আসামিদের সন্ত্রাসী উল্লেখ করে বলা হয়- সন্ত্রাসীরা চাউলের আড়ৎ, ক্যামিকেলের দোকান ভাঙচুর করে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া এলাকার সাধারণ লোকজনের শতাধিক বাড়ি ও দোকান ঘর ভাঙচুর করা হয়। এদের মধ্যে গফুর মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়। এ বাড়িতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের থাকার ৪টি টিনের ঘর কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করে লুটে নেয়া হয় আসবাবপত্রসহ টাকা পয়সা। আর সংঘর্ষে আহত হয় আনুমানিক ১৫জন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতাল এবং নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।