ফতুল্লায় স্বামী সন্তান ফেলে বুড়ো প্রেমিকের সঙ্গে পালালো শারমিন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকায় ৫ বছর বয়সের প্রতিবন্ধী ছেলে ও স্বামী ফেলে পরকীয়া প্রেমের টানে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন গামের্ন্টস শ্রমিক স্ত্রী শারমিন অক্তার। এর আগে স্বামীর সঙ্গে প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন শারমিন। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় শারমিনের শ্বাশুড়ি একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গাজীপুর জেলা কাপাশিয়া থানাধীন চন্ডল গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. মিলন। গত সাত বছর আগে তার সাথে ইসলামের শরীয়াহ মোতাবেক শারমিন আক্তারের বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি প্রতিবন্ধী ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। সেই প্রতিবন্ধী সন্তানের বয়স। শারমিনকে নিয়ে তার স্বামী লামাপাড়া এলাকায় নজরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকে। শারমিন ও মিলন গামের্ন্টসে চাকুরী করে। মিলনও উচ্চতায় খাটো (প্রতিবন্ধী)। তারাও প্রেম করে একে অপরকে ভালবেসে বিবাহ করেছিলেন।

মিলন তার স্ত্রীর সুখের জন্য যখন যা বলে তা মেনে নেয়। শারমিন নিয়মিত গামের্ন্টস করে আসছে। শারমিন চাকুরীতে আসা যাওয়া অবস্থায় বৃদ্ধ হাশেম মিয়ার পরকিয়া প্রেমে পড়েছে। তারা ভালোবাসার ঘর মজবুত করতে গত ২৬মার্চ সকালে অফিসে যাওয়ার কথা বলে স্বামীর বাসা থেকে বের হয়। এক পর্যায় শারমিন রাত হলেও সে আর বাসায় ফিরে আসেনি। পরে তাকে ফোন করলে সে আর আসবেনা বলে জানায়।

এদিকে, তাকে না পেয়ে শারমিনের বিধবা শ্বাশুড়ি মিনু বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হারানো জিডি দায়ের করেছেন। জিডি নং-৭১৪। পরে জানতে পারে সে প্রতিবন্ধী সন্তান আর স্বামী নিয়ে ঘর সংসার করবেনা। সে তার জীবন সাথী সন্ধান করে নিয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে। সন্তান ফেলে পরকীয়া করে শারমিন চলে যাওয়ায় নানা সমালোচনা করছে তার আত্মীয় স্বজন। প্রতিবন্ধী ছেলেটি মায়ের জন্য প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাটে বাসায় কান্না করে তা দেখে গাছের পাতা ভারী হচ্ছে।