খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগানে জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগানে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে কিভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল কঠোর ভুমিকা রাখতে পারবে সে বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয় ওই পরিচিতি সভায়।

১৩ এপ্রিল শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ কাঞ্চন এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির এই পরিচিতি সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সেক্রেটারি গোলাম ফারুক খোকনের পরিচালনায় এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুচারজন যুবদল নেতা দেশের বাহিরে থাকায় প্রায় সকল নেতারাই উপস্থিত ছিলেন। গত ২৩ মার্চ শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নরুল ইসলাম নয়ন।

সভায় শীর্ষ নেতারা সকল নেতাদের জানিয়েছেন- আগামীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে। কোন ভাইয়ের রাজনীতি করা যাবে না। সকলকেই জেলা যুবদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে রাজপথে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে জেলার প্রতিটি থানা ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান শহিদুল ইসলাম টিটু। এ বিষয়ে কারো কোন তদবির কোন ভাইয়ের তদবির শোনা হবে না। সম্মেলন হবে তাকে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারাই নেতৃত্ব দিবে বলেও পরিচিতি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবদলের সভাপতি।

এদিকে জানাগেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে জেলা যুবদলের অস্তিত্বই দেখা যায়নি। যদিও গত ১৯অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ৮সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিটি ঘোষণা করা হলেও কমিটির নেতারা ছিলেন নিষ্ক্রিয়। শুধুমাত্র দুজন নেতাকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে দেখা গেলেও বাকি নেতাদের ‘ভাইয়েরা’ ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন না পাওয়ার কারনে তাদের নির্বাচনে ছায়াও দেখা যায়নি। তবে নির্বাচনের পর বিশাল এক পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের মাধ্যমে জাগানিয়া দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল। যে কমিটিতে অনেক সক্রিয় নেতাদের নিচের পদে রেখে নিষ্ক্রিয়দের রাখা হয় উপরের পদে।

তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেছিলেন, আমরা প্রায় দুই যুগ পর নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পেরেছি। খুব সময়ের মধ্যে আমরা দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পেরেছি। যেটা আগের কমিটিগুলো পারেনি। ফলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ছোট খাটো ভুলত্রুটি থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে নেতাকর্মীরা ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন বলে আমি বিশ^াস করি।’

এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের এই দুই নেতা। যেখানে সভাপতি করা হয় শহিদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আমিরুল ইসলাম ইমন, হারুন অর রশিদ মিঠু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম চয়ন।

এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহাল রেখে ১৯জনকে সহ-সভাপতি, ১০জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৩ জনকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, ৯ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও আরও ৫ জনকে সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে রাখা হয়েছে। একজন প্রচার সম্পাদক ও সহ-প্রচার সম্পাদক আরও ৪ জন। সাধারণ সদস্য পদে রাখা হয়েছে ৭৩ জন যুবদল নেতাকে।