সোনারগাঁয়ে কালাম অনুগামী নেতার তৈরি আওয়ামীলীগ কার্যালয় দখল

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালামের অনুগামী সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুউদ্দীন সাবুর নির্মাণ করা আওয়ামীলীগের একটি কার্যালয়টি দখল করেছে আওয়ামীলীগের অপর অংশের নেতারা। এমন অভিযোগের বিষয়ে অপর অংশের নেতারা দাবি করেছেন ওই কার্যালয়টি তাদেরই নির্মাণ করা।

জানাগেছে, গত ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধওে ১৩ এপ্রিল শনিবার সকালে সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি বাসষ্ট্যান্ডে আওয়ামীলীগের ওই কার্যালয়টি আওয়ামীলীগের অপর অংশের নেতারা জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

ছবি- আওয়ামীলীগ কার্যালয়টি নির্মাণ শেষে উদ্বোধনের সময়কার ছবি।

স্থানীয়রা আরও জানান, উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবু দড়িকান্দি বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামীলীগের একটি কার্যালয় নির্মাণ করে সেখানে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের পক্ষে নির্বাচন করেন।

শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী মোশারফ হোসেনের সমর্থক জাইদেরগাঁও এলাকার জসিমউদ্দীনের নেতৃত্বে বাদশা, তরিকুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, সনমান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে দখল করে তাদের কার্যক্রম শুরু করেন।

এ বিষয়ে সাহাবুদ্দিন সাবু অভিযোগ করেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র শনিবার সকালে দড়িকান্দি বাসষ্ঠ্যান্ডে আমার তৈরী করা আওয়ামীলীগের অফিসটির তালা ভেঙ্গে জসিম ও তার লোকজন দখল করে নেয়।’

তবে এ বিষয়ে জসিম উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি আমাদের তৈরি করা আওয়ামীলীগ কার্যালয়।’

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, ‘অফিস দখলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

এখানে উল্লেখ্যযে, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের কাছে ২৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন মাহফুজুর রহমান কালাম। নির্বাচনে কালামের পক্ষে ছিলেন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। আর মোশারফ হোসেনের পক্ষে ছিলেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। নির্বাচনের পর বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় ৩৮টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীরা।