নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে হার্ডলাইনে ট্রাফিক পুলিশ, ৫০টি অটোরিক্সা জব্দ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে যানজটমুক্ত মহানগরী রাখতে প্রতিনিয়ত দায়িত্ব পালন করছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক বিভাগ। নগরীর সড়কগুলোতে সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেই লক্ষ্যেই নগরকে যানজটমুক্ত রাখতে হার্ডলাইনে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা। কারন নগরের যানজটের মুলেই হলো নিষিদ্ধ ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা।

এবার নগরকে যানজট মুক্ত থাকতে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সাতটি পয়েন্টে হার্ডলাইনে ট্রাফিক পুলিশ। নিষিদ্ধ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নগরে ঢুকলেই জব্দ করা হচ্ছে। প্রতিটি পয়েন্টেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ ও কমিনিউটি পুলিশের সদস্যরা।

২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল থেকেই নগরের চাষাঢ়া চত্ত্বরের আশপাশের সড়কগুলোতে, মেট্রো হলের মোড়, কালীরবাজার, ২নং রেল গেইট, জিমখানা, নিতাইগঞ্জ মোড়ে হার্ডলাইনে ছিলেন ট্রাফিক পুলিশ। পাশাপাশি যানজট নিরসনে নিয়োজিত কমিনিউটি পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতায় ছিলেন। এসময়ে কোনো ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক নগরে প্রবেশ করতে চাইলে ফিরিয়ে দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও কমিনিউটি পুলিশের সদস্যরা। আর ব্যাটারি চালিত কোন অটোরিকশা-ইজিবাইক নগরে প্রবেশ করলেই তাদেরকে আটক করা হয়। এসময়ে নগরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অর্ধশতাধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক জব্দ করা হয়।

এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. আব্দুল করিম শেখ বলেন, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলে স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ট্রাফিক ) সোহান সরকার মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নগর যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে জেলা ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নগরে নিষিদ্ধ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক প্রবেশ নিষিদ্ধ। নগরে কোন অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করতে দেয়া হবে না। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, নগরকে যানজটমুক্ত রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত করছি। নগরে যানজট মুক্ত রাখতে গাড়ির মালিক ও চালক এবং সর্বোপরি আমরা নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

অভিযান উপস্থিত ছিলেন-চাষাঢ়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ( টিআই) ইন্সপেক্টর শেখ মো. ইমরান হোসেন, টি.আই সাখাওয়াত হোসেন, সার্জেন্ট শফিকুল ইসলাম শোভন, এটিএস আই শফিকুল ইসলাম, আবুল বাশার, শহিদুল ইসলাম, মো. হাসানসহ ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ।