আইভীর বিরুদ্ধে মামলা করেও শহীদুল্লাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বসত ঘরের সীমানা ভাংচুরের অভিযোগে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী সহ বেশকজনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম শহীদুল্লাহ। এতে মেয়র ও জেলা প্রশাসক সহ ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। আদালত মামলার আর্জি গ্রহণ করে বিবাদীদের শোকজ করেছেন।

এই ঘটনাকে ইঙ্গিত করে ২২ জুলাই শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এম শহিদুল্লাহ লিখেছেন, আমার খুব কষ্ট হয়। আমি তো ভিক্ষা চাইনি। আমিতো আল্লাহর জমিনে অবস্থিত আমার বসতবাড়ির সঠিক মাপ পাবারই প্রার্থনা জানিয়েছিলাম।’

২০১৮ সালে চাষাড়া হকার্স সমস্যা নিয়ে এমপি শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর লোকজনের সংঘর্ষের ঘটনার সময় আইভীকে মানবপ্রাচীরে রক্ষার সময় রক্তাক্ত জখম হয়েছিলেন এম শহিদুল্লাহ। মামলা দায়েরের আগের দিন ২১ জুন জুলাই বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ওই আহতাবস্থার ছবি সহ পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, আজ এতো ব্যাথা পাচ্ছি কেন? হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে পায়ে গুলি খেলাম। এক সাংবাদিক বন্ধু প্রেসক্লাবে আমাকে দেখালেন যে আমার পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে জুতা, পায়জামা সব রক্তে লাল হয়ে আরো রক্ত ঝড়ছে। আমি কেমন করে মেয়র মহোদয়ের পাশে এখনো দাঁড়িয়ে আছি। তখনই রক্ত দেখলাম। এর আগে আন্দাজ করারও ফুরসুত হয়নি। দুইজনে ধরে আমাকে নিয়ে আসলেন ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। এই ক্ষততো মুছে যাবার কথা! তবে কেন আজ এতো ব্যথা পাচ্ছি? আল্লাহ আমার এবং আমার পরিবারের সকল সদস্যদেরকে আপনি আপনার কুদরতি হেফাজতে রাখুন। আমিন।সুম্মা আমিন।

২১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এম শহীদুল্লাহ ও স্ত্রী দেলোয়ার বেগমের পক্ষে তাদের ছেলে অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ আলমগীর কবির বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এস এম মাসুদ জামানের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।

অ্যাডভোকেট শাহ মো. আলমগীর কবির স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নিজস্ব সার্ভেয়ার দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো কয়েকদিন পরপরই পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার ৬ শতাংশ জমির সীমানা ঘেঁষে নিমাণাধীন বসত বাড়ি ভাঙচুর সহ নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। আমরা চাই এই বিষয়টি যেন আদালতের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। আদালত যা আদেশ দিবে আমরা সেটাই মেনে নিবো। কিন্তু তাদের একতরফা সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে পারি না।