কর্মীসভার নামে সোহাগ রনির বিরুদ্ধে বিষোদগার!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে কর্মীসভা করে চলেছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মীসভাগুলোর প্রতিটাতেই কায়সার হাসনাত ও কালাম উপস্থিত থাকছেন।

এসব কর্মীসভায় দলীয় সাংগঠনিক বিষয়ের চেয়ে গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনির বিরুদ্ধে বিষোদগার করাই যেনো কর্মীসভার মুল লক্ষ্য। কায়সার হাসনাত ও কালাম থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটা বক্তা সোহাগ রনি ও যেসব নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে কাজ করছেন তাদের উদ্দেশ্য করেই দেয়া হচ্ছে।

১৫ জুন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোহাগ রনির পক্ষে একদিনও নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি কায়সার ও কালামকে। অথচ নির্বাচনের পর টানা কয়েকদিন যাবত মোগরাপাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মীসভা করছেন তারা। নির্বাচনের শুরুতেই তারা যে নৌকার পক্ষে কাজ করেননি সেটা স্পট দেখা গেছে। নির্বাচনের পর কায়সার হাসনাত, মাহফুজুর রহমান কালাম, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম ও রফিকুল ইসলাম নান্নুসহ বেশকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগও তুলেছেন নৌকার পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ রনি।

এদিকে ২ জুলাই এক কর্মীসভায় নৌকার বিরোধীতা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়ী চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবুকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কায়সার ও কালাম। বাবুকে মঞ্চে নিয়েই কর্মীসভা করেছেন তারা। অথচ নির্বাচনের পূর্বে আরিফ মাসুদ বাবু উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কায়সার হাসনাত ও কালামের মোগরাপাড়ায় এইসব কর্মীসভা ও নির্বাচনের পূর্বে নৌকার পক্ষে নীরবতায় প্রমাণিত হয় তারা নৌকার পক্ষে ছিলেন কিনা।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, নির্বাচনের পূর্বে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকের মনোনয়নপ্রত্যাশি সোহাগ রনির নাম প্রস্তাব করেনি। প্রভাব খাটিয়ে এককভাবে আরিফ মাসুদ বাবুর নাম কেন্দ্রে পাঠায়। কিন্তু জেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে কেন্দ্রীয়ভাবে নৌকা প্রতীকে মনোনিত হোন হাজী সোহাগ রনি। ফলে রাজনৈতিকভাবে হাজী সোহাগ রনির কাছে হেরে গিয়ে তারা নৌকার বিরোধীতা করেন বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে সেই রাজনৈতিক পরাজয়ে তাদের মনে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে সেটা নিরসন করতে এখন নিয়মিত মোগরাপাড়ায় কর্মীসভা করে সোহাগ রনির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন নেতারা, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করে নৌকাকে ডুবিয়েছেন।