চাঁদাবাজি মামলায় নূর হোসেন বেকসুর খালাস

ডেস্ক রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে চাঁদাবাজির একটি মামলায় খালাস দিয়েছেন আদালত। ১২ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এ মামলার রায়ে ৮ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। একই আদালতে আরও একটি চাঁদাবাজি মামলায় ২০২০ সালে খালাস পেয়েছেন নূর হোসেনসহ ৬ জন।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করা হয় নূর হোসেন ও তার তিন সহযোগীকে। বিজ্ঞ আদালত চাঁদাবাজি মামলায় চারজনকে খালাস দেন। এর আগে ৪ জনকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট জাসমিন আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে সাত খুনের পর সিদ্ধিরগঞ্জের পরিবহন ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে আদালতে একটি মামলা করেন।

এ মামলায় আসামি করা হয় নূর হোসেন, তার ছোট ভাই নূর উদ্দিন, ভাতিজা শাহজালাল বাদল, সহযোগী লোকমানসহ ৮ জনকে। পরে পুলিশ তদন্ত করে ৪ জনকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

জাসমিন আহমেদ আরও জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) নূর হোসেনের বিরুদ্ধে করা আরও তিনটি মামলার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। একটি মামলায় যুক্তিতর্ক হয়েছে ও অন্য দুইটি মামলায় সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় ফের তারিখ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন অপর একটি চাঁদাবাজি মামলায় নূর হোসেন, তার ভাতিজা শাহজালাল বাদল, সহযোগী শাহজাহান, মুর্তজা চার্চিল, আলী মোহাম্মদ ও বুলবুল আহমেদকে খালাসের রায় দেন।

২০১৩ সালে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকার ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, নূর হোসেন তার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তার সহযোগীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন। পরের বছর ২০১৪ সালে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

এদিকে আজ ১২ মে (বৃহস্পতিবার) নূর হোসেনকে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। বিচারিক কার্যক্রম শেষে আবার কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয় তাকে।