নামাজে দাড়িয়ে ওসি, পিছনে জুতা চোর!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

৫ এপ্রিল শুক্রবার পবিত্র জমুা নামাজ আদায় করতে মসজিদে গিয়েছিলেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন। কিন্তু তিনি যেই মসজিদে নামাজে গেলেন সেই মসজিদেই তার পিছনের সাড়ি থেকে জুতা চুরি করে বস্তায় ভরছিল জুতা চোর। তবে মসজিদের খাদেমের কাছে ধরা খেয়ে মারধরের শিকার হতে হয়েছে ওই চোরকে।

পবিত্র জুমা নামাজ আদায় করতে সকল মসজিদেই মুসুল্লীদের ভীর দেখ যায়। এমন সুযোগে ঢাকা থেকে জুতা চুরি করতে ফতুল্লায় এসেছিল শফিকুল ইসলাম। মসজিদে যখন সবাই নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এদিকে জুতা চোর শফিকুল জুতা দিয়ে তার বস্তা ভরছেন। কিন্তু মসজিদের খাদেম দেখে ফেলায় মুসুল্লীদের ধবল ধোলাই খেল জুতা চোর। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ৫ এপ্রিল শুক্রবার ফতুল্লা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে।

মুসুল্লীরা জানায়, শুক্রবার ফতুল্লা বাজার কেন্দ্রীয় ৭ম তলা জামে মসজিদে এক জুতা চোর জুমা নামাজ শেষে মুসুল্লিদের চামড়ার দামী জুতা ব্যাগ ভর্তি করছিল। এসময় ঐ মসজিদের খাদেম তা দেখে ফেলেন। এরপর তাকে বস্তা ও ব্যাগ ভর্তি জুতাসহ আটক করে ২য় তলা থেকে নীচ তলায় নিয়ে আসা হয়। এরপর তার বস্তায় খুলে দেখেন মুসুল্লীদের জুতা। পরে তাকে মুসুল্লী গণধোলাই দিলে সে স্বীকার করে মসজিদে সে জুতা চুরি করতেই এসেছিল।

জুতা চোর শফিকুল জানায় সে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানাধীন মাটিভাঙ্গা গ্রামের মৃত ওয়াজেদুল্লাহর ছেলে। সে ঢাকা জেলার জুরাইন এলাকার কমিশনার সড়কের মোশাররফ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ জুতা চুরির সাথে জড়িত। ভাল হয়ে যাওয়ার শর্তে মুসল্লী শফিকুলকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এদিকে ৫ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুমা ফতুল্লা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান ওসি আসলাম হোসেন। তিনি উক্ত মসজিদে জুমা নামাজ আদায় করেন। এ সময় তিনি সকরের কাছে জঙ্গীবাদ সন্ত্রাস চাঁদাবাজ, মাদক সহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রনে সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।

ফতুল্লা থানায় যোগদান করে আসলাম হোসেন স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সবাই আমাকে আপনাদের আপন ভাই মনে করবেন। খালাতো ফুফাতো ভাই মনে করবেন না। আমি আপনাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সহযোগিতা চাই। ফতুল্লা থানায় দালাল মুক্ত করবো। আমার কাছে আসতে কারো মাধ্যম লাগবেনা। পুলিশি সেবা নেয়ার জন্য আপনারা সরাসরি আমার কাছে যোগাযোগ করবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান, ফতুল্লা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী দেলোয়ার হোসাইন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এআর কুতুবে আলম, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হাজী আবু মোহাম্মদ শরিফুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক মোবারক হোসেন হান্নান চৌধুরী, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. জুয়েল চৌধুরী প্রমূখ।