সোনারগাঁয়ে ঝড়ের কবলে ট্রলার ডুবিতে নির্বাচন কর্মকর্তারা, পুলিশ সহ নিখোঁজ ৩

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে নদী পথে ফেরার সময় ট্রলার ডুবির ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা সহ তিন নির্বাচন কর্মকর্তারা নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মেঘনা শাখার ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন, পুলিশের পিএসআই সেলিম মিয়া এবং অজ্ঞাত একজন নারী আনসার সদস্য।

ট্রলার ডুবির পর নিখোঁজের সন্ধানে কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রবিবার ছিল সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। বিকেলে ভোট গণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, আনসার ও পুলিশ সদস্য সহ ১৯জন চর কিশোরগঞ্জ বাজার থেকে উপজেলা রিটার্নিং অফিসের উদ্দেশ্যে একটি ট্রলারে চড়ে মেঘনা নদী পার হচ্ছিল। ট্রলারটি গলাটি এলাকায় পৌঁছালে নদীর মধ্যে হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা ১৬জন সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ৩জন।

বন্দরের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্বাচনী দায়িত্ব শেষে নদী পথে চর কিশোরগঞ্জের বালুর ঘাট থেকে সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ট্রলারটি। ট্রলারটি মাঝ নদীতে আসার কিছুক্ষণ পরই ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযানে কাজ শুরু করেছে। তবে ওই ট্রলারে কতজন ছিল তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ট্রলারটি উল্টে যাওয়ার কারণে অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে। তবে নদী উত্তাল থাকায় ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সামগ্রী, আনসার সদস্য ও পুলিশের অস্ত্রের খোয়া গিয়েছি কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ফতুল্লা পাগলার কোস্টগার্ডের সাব লেঃ এম মমতাজুল আসিফ জানান, নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে মেঘনা নদীতে ট্রলার উল্টে যাওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোষ্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা ১৬ জনকে অখ্যাত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৬জন তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তার মধ্যে একজন পুলিশের সদস্য রয়েছেন। অস্ত্র ও গুলির ও ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সামগ্রী কি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।