গুলি খেয়েও পদ পায়না কিন্তু সরকারি দল করে পদ পায়: তৈমূর

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা গুলি খেয়েছেন, মামলা খেয়েছেন এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারাও দলের পদ পদবী পায়না। কিন্তু যারা প্রকাশ্যে সরকারি দলের রাজনীতি করে, আওয়ামীলীগ করে, জাতীয়পার্টি করে তারাই দলের কমিটিতে বড় বড় পদ পদবী পায়। বিস্ময় প্রকাশ করে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

তিনি বলেছেন, আমার মত যারা গুলি খেয়েছেন তারাও এখন দলের পদ পদবী পায়না। তারপরেও আমরা রাজনীতিটা করি দলকে ভালবাসি বলেই।

তিনি দাবি করেন-দলটা এখন কোন সাংগঠনিক নিয়মে চলছে না। চলছে এখন কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাধ্যমে। দল তিনটি ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নাই। এক এগারো থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করে নাই। দলের দুঃসময় আসবে। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করেনি। আমি বলেছিলাম দলে তিনটি তালিকা করতে হবে। যেখানে একটা তালিকায় থাকবেন যারা ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন। আরেকটা তালিকা হবে যারা নির্বাচনটা করে নাই। তৃতীয় তালিকায় থাকবে যারা নির্বাচন করছে কিন্তু দলের বিরোধীতা করে আওয়ামীলীগ জাতীয়পার্টির পক্ষে কাজ করেছেন তাদের একটা তালিকা।

৩১ মার্চ রবিবার বিকেলে মাসদাইরে মজলুম মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা: গণতন্ত্র দেশনেত্রীর মুক্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তৈমূর আলম খন্দকার।

আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, যারা হামলা মামলা নির্যাতনের ঝুকি নিয়ে নির্বাচনটা করেছে আমি মনে করি তাদের হাতেই দলের দায়িত্বটা দিতে হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যারা প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগের মঞ্চে ওঠে নৌকার পক্ষে কাজ করেছে, যারা জাতীয়পার্টির মঞ্চে ওঠে লাঙ্গলের পক্ষে কাজ করেছে তাদেরকে দিয়েই কমিটি হচ্ছে। আমি বিএনপি করব। নিজস্ব স্টাইলে করব। কিন্তু এদের সঙ্গে কোন রাজনীতি করবনা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে এ ছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, প্রবীণ বিএনপি নেতা জামাল উদ্দীন কালু, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের খাজা, মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সহ-সভাপতি মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনু, মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভূঁইয়া, আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান খান খোকা, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাছির উদ্দীন, জেলা শ্রমিকদল নেতা রবি মেম্বার, মহানগর বিএনপি নেতা শাহজাহান খন্দকার, আবুল কালাম আজাদ, আক্তার হোসেন খোকন শাহ, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দীন আহমেদ রিয়াদ, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, মহানগর যুবদল নেতা সরকার আলম, আল আমিন খান, সরকার মুজিব, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, বন্দর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতা শাহাদুল্লাহ মুকুল প্রমূখ।