হার্ডলাইনে নির্বাচন কমিশন, নৌকার প্রার্থীর ছেলে সহ ১৫০জনের বিরুদ্ধে মামলা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওমর ফারুককে রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এম সাইফুল্লাহ বাদলের ছেলে রাজন সহ ১৫০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাইফুল্লাহ বাদল ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানও।

এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাগেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কাউকে কোনো ধরণের অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। কেউ আইন অমান্য করলেই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে বিপুল সংখ্যক পুুলিশ নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন।

এদিকে সাইফউল্লাহ বাদলের ছেলে সাজন সহ ৩জনের নাম উল্লেখ করে দায়েরকৃত মামলায় আসামী করা হয়েছে আরো দেড় শ’ জনকে। ৩১ অক্টোবর রবিবার দুপুরে ওমর ফারুক বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে এদিন সকালে নগরীর চাষাঢ়ায় বিক্ষোভ করেন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে সাজনকে গ্রেপ্তারের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়।

আহত ওমর ফারুক বলেন, ‘আমি শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর নরসিংপুর নিজ বাড়ির সামনে নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে স্থানীয় ৫ থেকে ৭জন মুরব্বীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ওইসময় আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম সাইফউল্লাহ বাদলের ছেলে সাজন শতাধিক মোটরসাইকেলে তার অনুগামীদের নিয়ে এসে আমার ক্যাম্পে আসে। বাদলের ছেলে সাজন আমার কাছে এসে হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়। এ সময় আমিও হ্যান্ডশেক করি। সে মুহূর্তের মধ্যেই হাত সরিয়ে নিয়ে কোমর থেকে পিস্তল বের করে আমার মাথায় কয়েকটি আঘাত করে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে। এর পর তার ছেলে সাজন বলেছে, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়া, এখনো সময় আছে। নয়তো মরতে হবে বলে আমার সঙ্গে থাকা আলমগীর, আল আমিন, মামুন ও সিরাজুলসহ আরও কয়েকজনকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে ক্যাম্পটি ভেঙে চলে যায়। এরও আগে থেকে বাদল নির্বাচন থেকে আমাকে সরে যেতে হুমকি দিয়ে আসছে। আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। মারধর করে ফেলে রেখে চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।’