বিএনপি নেতা জাফরের রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকলো মান্নান!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফরকে সামনের কমিটিতে রাখা হচ্ছে না। আহ্বায়ক পদে এক রকম বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নান নিশ্চিত। কিন্তু আবু জাফরকে কেনো বাদ দেয়া হচ্ছে তার উত্তর খুঁজছে বিএনপির রাজপথের নেতাকর্মীরা। যদিও এর কারন হিসেবে অনেক নেতাকর্মী বলছেন- মান্নানের টাকার কাছে অন্ধ হয়ে গেছে জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতা সহ কেন্দ্রীয় বিএনপির অনেক নেতাই। ১/১১ এর মত কঠিন সময়ে খন্দকার আবু জাফর জেলা বিএনপির রাজনীতিতে যে কজন হাল ধরেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম।

বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানাগেছে, ১/১১ এর সময়টি ছিল রাজনীতির জন্য কঠিন। সেনা সমর্থিত সরকার আমলে বিএনপির অনেক নেতাই আড়ালে চলে গিয়েছিলেন। এমনকি মিডিয়াতেও বক্তব্য দিতে সাহস করেনি অনেক নেতা। কিন্তু ওই পরিস্থিতিতেও বিএনপির প্রয়াত নেতা জান্নাতুল ফেরদৌস, খন্দকার আবু জাফর, প্রয়াত আতাহার হোসেন সামসু, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু সহ আরো কজন বিএনপি নেতা রাজনীতির কঠিন পরিস্থিতিতেও সক্রিয়তা দেখিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম এই খন্দকার আবু জাফর। দীর্ঘদিন সোনারগাঁও উপজেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্বও পালন করে আসছেন তিনি।

এদিকে ভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদ বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদটি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে অধিষ্ট করতে আগেই ম্যানেজ হয়েছেন তৈমূর আলম। একইভাবে বর্তমানে জেলা বিএনপির সদস্য ও কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমীকে সদস্য সচিব পদে অধিষ্ট করতে চেষ্টা করছেন মান্নান। সেজন্য সেলিম হক রুমী ও মান্নান দুহাতে খরচ করে যাচ্ছেন জেলা থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত। কিন্তু সদস্য সচিব পদটি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ তার বন্ধ মোশারফ হোসেনের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছেন। যেখানে তৈমূর আলমও রহস্যজনক কারনে মান্নানের প্রেসক্রিপশনে মান্নানকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব পদে মোশারফকে বসাতে চেষ্টায় আছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন সেজন্য মান্নান ও সেলিম হক রুমী দুজনে চার হাতে ঢেলে যাচ্ছেন বিশেষ সুবিধা।

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনের বিষয়ে আহ্বায়ক পদে মান্নান এবং সদস্য সচিব পদে সেলিম হক রুমী ও মোশারফকে নিয়ে যখন টানাটানি তখন খন্দকার আবু জাফরের অবস্থানটি কোথায় রাখা হচ্ছে? খন্দকার আবু জাফরকে কেন মাইনাস করার ফর্মূলা তৈরি করা হলো? এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এরজন্য মান্নান ও তার রাজনীতিকে দোষারোপ করছেন সোনারগাঁয়ের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ- মান্নানের অঢেল টাকায় ১/১১ এর রাজপথের নেতা খন্দকার আবু জাফরের রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকলো।