পুলিশের ৪ সদস্যকে দেখেই পালালো সায়েম-মাহাবুবের নেতৃত্বে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দুটি থানা ও পৌর ইউনিটের কর্মীসভা পুলিশের বাধায় করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন নেতারা।  কর্মীসভায় যোগ দিতে এসে আটক হয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আলী আহমেদ।  তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন- পুলিশের চারজন সদস্যকে কর্মীসভাস্থলের বাহিরে বসে থাকতে দেখেই পালিয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমানের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।

জানাগেছে, ২৫ আগস্ট বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর মাসদাইর এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বাসার ভেতরের একটি কক্ষে এ কর্মসূচি হবার কথা ছিল।  সেখানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সোনারগাঁও থানা, রূপগঞ্জ থানা, সোনারগাঁও পৌরসভা, তারাব পৌরসভাসহ কয়েকটি ইউনিটের কর্মীসভায় জন্য স্থান নির্ধারিত ছিল।

সকাল থেকেই চারজন পুলিশ সদস্য ওই এলাকার দুটি প্রবেশ পথে পুলিশ অবস্থান নিয়ে টেবিলে বসেছিলেন।  রাস্তার দুইদিকে ৪ জন পুলিশের অবস্থান দেখেই পালিয়ে যান নেতাকর্মীরা।

যদি নেতারা দাবি করেছেন- অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতাদের আসার কথা থাকলেও পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে পরে সেখানে কর্মসুচী বাতিল করে জেলার নেতারা।  কর্মীসভায় যোগ দিতে রূপগঞ্জ থানা, সোনারগাঁ থানা, তারাব পৌরসভা ইউনিটের কয়েকশ নেতাকর্মী সকাল থেকেই অনুষ্ঠানস্থলের আশেপাশে আসেন।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম গণমাধ্যমে দাবি করেন- আমাদের এটি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী এবং আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখানে জড়ো হয়েছিলাম।  পুলিশ আমাদেরকে কর্মসূচী পালন করতে দেয়নি। কিছু নেতাকর্মী লাঠিচার্জের শিকার হয়েছে।  একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক কর্মসূচী পালনের অধিকার সবার আছে, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমান জানান, আমাদের কর্মসূচীতে আসার সময় সাইনবোর্ড এলাকা থেকে আমাদের সহ সভাপতি আলী আহমেদকে আটক করে পুলিশ।  সেখানে নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।  অথচ তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচীতে আসছিলেন।