স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সায়েম-মাহাবুবের ব্যর্থতায় কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্ষোভ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির গঠনের দুই বছরের মধ্যেও রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও উপজেলার কর্মীসভা দুই-তিন দফা আয়োজন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমান।  আর এতে করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আওতাধীন উপজেলা ও থানার কর্মীসভা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে ব্যর্থ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমান।  মূলত কেন্দ্রীয় কমিটি ম্যানেজ করতে হঠাৎ করে হুট হাট করে কেন্দ্রীয় নেতাদের দাওয়াত দিয়ে বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে সোনারগাঁও উপজেলা রুপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মীসভার আয়োজন করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারের বাড়িতে।

এদিকে সকাল থেকেই তৈমুর আলম খন্দকারের বাড়িতে চারপাশে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।  পুলিশের অতিরিক্ত উপস্থিতি দেখে সকালেই কর্মীসভায় না এসে নেতাকর্মীদের অন্য স্থানে চলে যায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সেক্রেটারি।  প্রশাসনের দোহাই দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে বসিয়ে রাখা হয় সাইনবোর্ড এলাকায়।

কেন্দ্রীয় নেতাদের রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া ধাওয়া করিয়ে তাদেরকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন সভাপতি ও সেক্রেটারি।  কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জ উপজেলার কর্মীসভার না হওয়ায় এবং একাধিকবার কর্মীসভার আয়োজন করেও তা করতে পাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানা যায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

সূত্রে জানা যায়, পূর্নাঙ্গ কমিটির পর দীর্ঘ এক বছর ধরেই সোনারগাঁও রূপগঞ্জ উপজেলার কর্মীসভা হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।  রূপগঞ্জে সভাপতি-সেক্রেটারি বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও তারা নিজ এলাকার ভিতরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা করতে পারেনি।  শুধু তাই না সোনারগাঁও একাধিকবার কর্মীসভার আয়োজন করেও তা করতে পারেনি তারা।  নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে প্রশাসনকে দোষারোপ করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মৌখিকভাবে জানান তারা।  পারেনি বলে তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকে।  এসব কোন কিছু না মূলত তাদেরকে নিজস্ব কোন্দলের কারণেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় তারা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।  এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে পক্ষপাত কমিটি ও পদ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।  এসকল অভিযোগের বিষয়ে অবগত রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নাঃগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রূপগঞ্জের হয়েও তারা রূপগঞ্জে কর্মীসভা করতে পারেনি এটা তাদেরই ব্যর্থতা।  আমরা রূপগঞ্জের রাজনীতি করি আমরা কেন শহরে এসে কর্মীসভা করতে হবে।  মূলত তারা কমিটি বাণিজ্য করবে বলে এই সকল করছে।

সোনারগাঁ উপজেলার নেতাকর্মীরা জানান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু সে নিজেই সোনারগাঁ উপজেলা আহ্বায়ক হতে চায়।  দীর্ঘদিন ধরে যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে বিএনপির রাজনীতি করেছেন তাদেরকে বাদ দিয়ে সে তার নিজের পছন্দ লোক দিয়ে কমিটি করতে চাই বলে সে সোনারগাঁয়ে কর্মীসভা করে নাই এর জন্যই শহরে কর্মী সভার আয়োজন করেছেন।

এবিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।