শোক দিবস উপলক্ষ্যে সোনারগাঁয়ে সাঁটানো ৩শতাধিক তোরণে দুর্বৃত্তদের হানা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

১৫ই আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও জুড়ে সাঁটানো ৩শতাধিক তোরণে হানা দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয়পার্টির সৌজন্যে এসব তোরণ সাঁটানো হয় যেখানে জাতির জনক ও তার পরিবারের সকল শহীদদের ছবি ছিল।

একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের জাতীয়পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার ছবিও ছিল। এই ঘটনায় সোনারগাঁয়ে নিন্দার ঝড় ওঠেছে। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির লোকজন। শোকের মাসে জাতির জনকের ছবি সম্বলিত তোরণ কাটাছেড়া করার ঘটনা সোনারগাঁয়ে বিরল। যে কারনে জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীরা দাবি করছেন- খন্দকার মোশতাকদের প্রেতাত্মারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের আরও অভিযোগ- ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে হত্যা করেছিল তার নাম খন্দকার মোশতাক। সেই খন্দকার মোশতাকের প্রেতাত্মারা নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের দুইবারের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার ১৫ আগষ্টের শোক দিবসের উপজেলার মেঘনা থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত সাঁটানো প্রায় ৩০০ ব্যানার, ফেস্টুন রাতের অন্ধকারে ছিড়ে ফেলেছে খন্দকার মোশতাকের প্রেত্মাতারা।

তারা জানান, ১২ আগস্ট বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সংসদ সদস্যর উদ্যোগে টাঙানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। ব্যানারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীরা। এটা নিছক নোংরা রাজনীতি ও অপরাজনীতি। সেই সঙ্গে জাতির জনকের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করার সামিল।

এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কাজ একমাত্র মোস্তাকের বংশধররাই করতে পারে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মেঘনা থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির নির্মাণ করা তোরণ নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ব্যানার কেটে ফেলেছে। তোরণের নানা অংশ ক্ষতি করেছে। কাঁচপুর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সামনে নির্মাণকৃত তোরণে এক অংশের ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও নির্মিত একটি তোরণ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে বলে তাদের ধারণা।

এ বিষয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। এখনো সেই সব জঘন্য মন মানসিকতার ব্যক্তিরা আমাদের সমাজে আছে ভাবতেই অবাক লাগে। কীভাবে এমন নোংরা কাজ করতে পারে তারা? যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে তারা এমন ঘৃণ্য কাজ করতেই পারেনা। অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান তিনি।