সোনারগাঁয়ে ডুয়েল গেম: মোশারফ ঠেকাতে বাবু ওমর, আবু নাঈম ইকবালের দিকে জনসমর্থন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে চলছে ডুয়েল গেম। আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। আগামী ১৪ই মার্চ প্রতীক পাবেন প্রার্থীরা। তবে প্রতীকের আশায় বসে না থেকে প্রার্থীরা এখন মাঠ গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এবারের নির্বাচনে নাটকীয়তার শুরু হয় গত ১লা মার্চ মোশারফ হোসেনের নৌকার মনোনয়ন প্রাপ্তির মধ্যদিয়ে। মোশারফকে ঠেকাতে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান পদে মাহফুজুর রহমান কালাম ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাঁচপুরের বাবুল ওমর বাবুকে সমর্থন দিয়ে একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ তৈরী করা হয়। যা রীতিমত বিস্ফোরণ সৃষ্টি হয়।

এদিকে উপজেলা জুড়ে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাঈম ইকবাল নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু পরে তা ভুল প্রমানিত হয়। জনগণের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দেন এই সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা। এরপর থেকে প্রতিদিনই তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ব্যাপক গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে নিজের মাঠ গুছিয়ে নিচ্ছেন। প্রতিটি এলাকার রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষিত সমাজ ও শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের প্রার্থী হিসেবে আবু নাঈম ইকবালের জনসমর্থন বেড়েই চলছে।

৯ই মার্চ শনিবার তিনি কাঁচপুর ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করেন এবং বারদী ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন। এসময় বারদী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান দাইয়ান সরকার, হাবু মেম্বার, ছানাউল্লাহ মেম্বার, ফারুক হোসেন মেম্বার, আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, পৌরসভার কাউন্সিলর গরীব নেওয়াজ, ইব্রাহীম হোসেন ইবু’সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তার পক্ষে গণসংযোগ করেন।

এ প্রসঙ্গে সোনারগাঁয়ের মানুষের অভিমত, আবু নাঈম ইকবাল সোনারগাঁ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য। তিনি পৌরসভার ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যালয়টিকে সারাদেশের মধ্যে একটি আদর্শ বিদ্যালয়ে পরিনত করেছেন। যার দরুন দেশ ও দেশের বাইরে থেকেও শিক্ষানুরাগীরা বিদ্যালয়টিকে দেখতে আসেন। এছাড়া আবু নাইম ইকবাল সবসময় উপজেলার গরীব, দুঃখী ও সাধারন মানুষের উপকার করার চেষ্টা করেন। উপজেলার অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তার অনুদান রয়েছে। তাই ভোটাররা চায় তার মত একজন পরোপকারী ব্যক্তিই যেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। যাকে সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে পাওয়া যাবে।