রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় কিন্তু দাবি করলেন তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

অনেকটা নিজের ঢোল নিজে পেটানোর মতই দশা বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম জুয়েলের। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় প্রায় দশ বছর পেরিয়ে কিন্তু বন্দরে যুবলীগের কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম দেখা যায়নি। এমনকি বন্দরে যুবলীগ নামের সংগঠন রয়েছে তাও অনেকেই ভুলে গেছেন। দলীয় রাজনৈতিক কর্মকান্ড সহ এমনকি রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডেও বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েলকে দেখা যায়নি সক্রিয়। এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তেমন একটা। তবে তেমন বিতর্ক না থাকলেও দল ক্ষমতায় আসার পর রহস্যজনক কারনে সংগঠনের কার্যক্রম করতে দেখা যায়নি তাকে। সেই জুয়েল এখন দাবি করলেন তিনি নিজেই বন্দরে জনপ্রিয়। যার মাপকাঠিতে তিনি পিছিয়ে। তবে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে থাকলেও তিনি ভোটের হিসেবে বেশ নড়বড়ে অবস্থানে।

সাইদুল ইসলাম জুয়েল দাবি করে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, বন্দর উপজেলা নির্বাচনে আশাকরি আর যারা প্রতিদ্বন্দিতা করবেন তাদের চেয়ে আমার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। কেননা, সাংগঠনিক দক্ষতা সবার থাকেনা। নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে আমার যোগাযোগ সব সময় আছে। দলীয় যে কোন কর্মসূচিতে আমি সব সময় আমার কর্মীদের চাঙ্গা রাখি। আমার দলীয় কর্মীরা আমার অজান্তেই সাধারণ ভোটারদের কাছে সব সময়ই যাচ্ছে। যোগাযোগ কিংবা খোঁজ খবর নিচ্ছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরো যারা প্রতিদ্বন্দিতা করবেন সবার চেয়ে ইনশাহআল্লাহ আমি অনেকাংশে এগিয়ে।’

নির্বাচনের বিষয়ে যুবলীগের এই নেতা তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানা যুবলীগ হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত একটি দল। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনাম ও শৃঙ্খলার সাথে বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বন্দর থানা যুবলীগ হচ্ছে কর্মীসমর্থক সমন্বয়ে একটি সু-সংগঠিত সহযোগী সংগঠন। আমি সব সময় নিষ্ঠার সাথে দলীয় বিভিন্ন কার্যক্রমে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হয়েছি। দলীয় কর্মীদের সংঘবদ্ধ করে যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি দেশকে প্রচন্ড ভালবাসি আর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে যুবলীগের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি।

আরেক প্রশ্নের তিনি বলেন, আমি একটা রাজনৈতিক দল করি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংগঠন বন্দর থানা যুবলীগ। বন্দর উপজেলায় প্রতিটি গ্রামেই যুবলীগের কর্মী রয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীরা আমাকে প্রচন্ড ভালবাসেন। ব্যক্তিগতভাবেও বন্দরের বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সাথে আমার বেশ সখ্যতা রয়েছে। কখনো বড়দের অসম্মান করিনি আর ছোটদের স্নেহ করতে কার্পণ্যতা করিনি।

বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তিনি কি কি উন্নয়ণ করবেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী ও পাশাপাশি ব্যবসায়ী। বন্দর উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নে প্রতি মাসে একবার করে মাদক সেবনের কুফল সম্পর্কে অবগত করতে যুবকদের নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করব। প্রতিটি ইউনিয়নে যুবকদের জন্য খেলাধুলার আয়োজন করব। বন্দর উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নকে পূর্বের তুলনায় আধুনিকায়ন হিসেবে গড়ে তোলা।