শাহআলম পদ ছেড়েছেন, দল ছাড়েননি: মামুন মাহামুদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

অনেকটা রাতের আধারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলমের পদত্যাগ নাটকটি আরো স্পষ্ট করলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। তিনি ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’ কে বলেন, মুহাম্মদ শাহআলম জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন। কিন্তু তিনি দল ছাড়েননি এবং তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কিনা সেটা আমরা জানি না। যতদিন পর্যন্ত দলের প্রাথমিক সদস্য পদে তিনি বহাল থাকবেন ততদিন তিনি দলেই আছেন।’

৩ মার্চ রবিবার এক সাক্ষাতে অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, যেহেতু সভাপতি মুহাম্মদ শাহআলম পদত্যাগ করেছেন। তাই কোন সাংগঠনিক এলাকা নেতৃত্ব শূণ্য থাকতে পারেনা। তাই আমরা সক্রিয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়েই কমিটি গঠন করেছি।’

কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির আহ্বায়ক সফর আলী ভুইয়া নিষ্ক্রিয় এবং ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আলী হোসেন প্রধান মারা গেছেন, সেখানে আপনি সদস্য সচিব পদে আছেন। তাহলে সেখানেও তো নেতৃত্ব শূন্য সেখানে কেন কমিটি গঠন করলেন না জানতে চাই অধ্যাপক মামুন মাহামুদ বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির কার্যক্রম চালিয়ে আসছি যেটা শাহআলম সাহেব পদত্যাগের পর ফতুল্লায় থানায় আমার মত কেউ নাই। যে কারনে ফতুল্লায় কমিটি গঠন করতে হয়েছে।’

ফতুল্লা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস সরকারি দলের হয়ে কাজ করছেন এবং নেতাকর্মীদের কাছে বিতর্কিত এমন বিষয়ে অধ্যাপক মামুন মাহামুদ বলেন, দল মনে করেনা আজাদ বিশ্বাস বিতর্কিত। আজাদ বিশ্বাস বিতকির্ত হলে তো তাকে কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা বিএনপির কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে রাখতেন না। আমরা রাজনীতিতে সক্রিয় ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়েই ফতুল্লা থানায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছি। কোন বলয় বা ব্যক্তির লোক হিসেবে কমিটি গঠন করিনি।’

এদিকে জানাগেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় শিল্পপতি শাহআলম স্বীকার করেন তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। যা জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর একদিন পর ফতুল্লায় থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। যে কমিটির সকল নেতারাই শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলমের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। এতে আহ্বায়ক করা হয় আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসকে যিনি সরকারি দলের হয়ে কাজ করছেন নিয়মিত।

জানাগেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির অনুমোদিত ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে কমিটিতে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসকে আহ্বায়ক ও নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লাকে সদস্য সচিব করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। আজাদ বিশ্বাস বর্তমানে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সেক্রেটারি পদে ছিলেন। নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন মোঃ আব্বাস উদ্দিন বাবলু, এম এ আকবর, মোঃ সুমন আকবর, একরামুল কবির মামুন, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, আলাউদ্দিন বারী, আবু তাহের মোল্লা. অ্যাডভোকেট এসএম মাহমুদুল হক আলমগীর, নাদিম হাসান মিঠু, অ্যাডভোকেট আল আমিন সিদ্দিক, আবুল হোসেন, হাবিবুর রহমান রিপন, আমজাদ শিকদার, মন্টু মিয়া মেম্বার, বোরহান উদ্দিন বেপারী।

এছাড়াও কমিটিতে সদস্য পদে রয়েছেন খন্দকার হুমায়ুন কবির, মিলন মেহেদী, জাহিদ হাসান রোজেল, লুৎফর রহমান খোকা, মোসাম্মদ রহিমা শরীফ মায়া, শরিফুল ইসলাম মোল্লা, করিব প্রধান, মঈনুল হোসেন রতন, কাজী আমিন, তুষার আহমেদ মিঠু, মনজুর আলী, রুহুল আমিন শিকদার, হানিফ শেখ, শরিফ উদ্দিন সরদার খোকন, আনোয়ারুল ইসলাম খাঁন লিটন, ফিরুজুর রহমান খাঁন, আরাফাত আলম জিতু, আক্তার হোসেন, বশির আহমেদ তোতা, মনির হোসেন, মাসুদ মিয়া মেম্বার, সিদ্দিকুর রহমান, শাহিন খন্দকার, আলিম উদ্দিন খন্দকার, দ্বীন ইসলাম দিলু, হাফিজুল হক, সিরাজুল ইসলাম, আক্কাস আলী, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, হান্নানুর রফিক রঞ্জু, মিছির আলী, আলী আজগর, রুহুল আমিন, আবুল বাশার জামান, ডাঃ আলীম খান, নিজাম উদ্দিন, হানিফ, সালাউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হোসেন, হাবিবুর রহমান, কামাল বেপারী, মেজবাহ উদ্দিন দুলাল, গিয়াসউদ্দিন লাভলু, নাসির উদ্দিন জাহান সাগর, মাহমুদ হোসেন, রফিক, সরদার শামিম লুনা, সোহেল আবদুল্লাহ, আবুল কালাম পাটোয়ারী, জয়নাল মল্লিক, কামাল হোসেন, মোঃ ইদ্রিস আলী মিন্টু, গাজী ইব্রাহীম, আবু বখতিয়ার সোহাগ, কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও ইকবাল হোসেন।