যে কারনে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী আব্দুুর রশিদ ভূঁইয়া

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পন অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন সততা ও নিষ্ঠার সাথে তিনি এ পদের দায়িত্ব পালন করে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে ক্লিন ইমেজ তৈরি করেছেন। এবার তিনি নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।

আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। আড়াইহাজারে এবার নেতাকর্মী ও সাধারণ পরিবর্তনের শ্লোগান তুলেছেন। অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং আদালতপাড়ায় যে কজন আইনজীবী মামলায় ট্রায়ালে গিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ, জেরা যুক্তিতর্কে পারদর্শী তাদের মধ্যে অন্যতম এই ক্লিন ইমেজের আইনজীবী নেতা ও আওয়ামীলীগ নেতা।

এদিকে নেতাকর্মীরা বলছেন, আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার নির্বাচনের প্রস্তুতির ঘোষণার পর নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। সদ্য সমাপ্ত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন মেয়াদ শেষ হতে চলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে। এরপর থেকেই আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার জন্য আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট এই প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। আর এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নিজের অবস্থান জানালেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ ভূঁইয়া। নেতাকর্মীদের কাছে অনীহা থাকলেও আবারো নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া। তিনি টানা দুইবার চেয়ারম্যান ছিলেন। যে কারনে নেতাকর্মীরা এবার পরিবর্তনের শ্লোগান তুলেছেন।

তৃন্যমুল থেকে ওঠে আসা আওয়ামীলীগের এই নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ ভূঁইয়া মিডিয়াতে বলেন, আসন্ন আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমি একজন মনোনয়ন প্রত্যাশি প্রার্থী। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব ও দলীয় কার্যক্রম অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং সততার সাথে করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতেও আমি এবার নির্বাচনের জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করে দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে আমি এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হবো বলে আমি বিশ্বাস করি। এটা নেতাকর্মীদেরও চাওয়া।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত দায়িত্বে থেকে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিপদে আপদে বা যেকোন সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসলে তা সমাধানের চেষ্টা করেছি। সঙ্গত কারনেই তৃণমুলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ভালবাসা এবং দোয়া রয়েছে আমার প্রতি।

তিনি বলেন, আমি আশা করি দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমার বিশ্বাস আড়াইহাজারের সর্বস্তরের জনগণ বিপুল ভোটে আমাকে নির্বাচিত করবে। আমি সবাইকে সাথে নিয়ে রাজনীতির মাঠে প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি ছিনিয়ে আনব। তবে তা হবে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তি সাপেক্ষে। কারন আমি দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করবনা।

তিনি আরো বলেন, দল যদি আমাকে মনোনয়ন না দেয় তাহলে যাকেই মনোনয়ন দিবেন আমি তার পক্ষেই আমার সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করব।

দৃঢ় মনোবল প্রকাশ করে তিনি দাবি করেন- বিগত সময়ে সব সময় তিনি দলের পাশে থেকে সার্বিকভাবে দল গোছাতে সহযোগিতা করেছেন। সুখে দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন এবং ছিলেন। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষ তাকেই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি জানান।