বন্দরে ২৩নং ওয়ার্ডের ৩টি স্পটে পরিবহনে চাঁদাবাজি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বন্দরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে চলছে পরিবহন সেক্টরে চাদাবাজি। থানা প্রশাসনের চোখের সামনে অবৈধভাবে চাদা আদায় করছে একটি চক্র। নাসিক ও থানা প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দূর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রী সাধারণ। দূর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। প্রকাশ্য চাদাবাজি বন্ধে একাধিকবার র‌্যাবের এখানে অভিযান থাকলেও আবারো সেই চাঁদাবাজি।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, বন্দরের নবীগঞ্জ খেয়াঘাটস্থ স্ট্যান্ড সিটি কর্পোরেশন হতে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা আনে। নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকার আকরাম মিয়ার ছেলে রানার নামে স্ট্যান্ড ইজারা আনলেও ৩টি স্পট হতে চলছে চাঁদাবাজি। নবীগঞ্জ খেয়াঘাট সংলগ্ন টু-স্টোক ও ফর-স্টোক ( বেবী ও সিএনজি) স্ট্যান্ডের ইজারা রানা।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নাসিক মোট প্রায় ৮৫ লাখ টাকায় ইজারা দেন রানাকে। স্ট্যান্ডে গাড়ী পাকিং ব্যাতিত অন্য গাড়ী থেকে টাকা উত্তোলন অবৈধ বলে উল্লেখ করে দিয়েছে। নাসিকের নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত স্থান রেখে কামাল উদ্দিনের মোড়ে প্রকাশ্য চাঁদাবাজি করছে।

প্রশাসন সহ ক্ষমতসীন দলের লোকজন সব দেখেও জেন না দেখার অভিনয় করছে। স্ট্যান্ড সোলেমান রানার নামে হলেও অর্থের যোগ বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন। সরকারের ও মেয়র আইভীর বদনাম করার জন্যই তারা এ কাজ করছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকদের কাদে ভর করে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকায় আকিজ সিমেন্টের গাড়ী থামিয়ে ৫০/১০০ এমনকি ২/৩ শ’ টাকা নেয়ার অভিযোগও রয়েছে। আদায় করছে চাঁদাবাজ চক্রের পালিত বাহিনীর সদস্য নিজাম, মোস্তান ও সবুজ। আকিজ হতে মালামাল লোড করে যাওয়ার সময় ট্র্যাক থামিয়ে সিটির রিসিটের মাধ্যমে ৫০ টাকা হতে ৩শ’ টাকা নেয়ার অভিযোগ অহরহ।

কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকায় সিটির তালিকাভুক্ত কোন স্ট্যান্ড না থাকলেও চলতি বছর এটাকে স্ট্যান্ড উল্লেখ্যসসহ অটোবাইক হতে প্রতিবার আসা-যাওয়া বাবদ ১০ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে রানা বাহিনী। পরিবহন সেক্টরে চাদাবাজি করার জন্যই ওই স্ট্যান্ড। আর্থিকভাবে সুবিধা নিচ্ছে সোলেমান রানাসহ জামায়াত- বিএনপির লোকজন। বদনাম বহন করছেন নগর মাতা সেলিনা হায়াত আইভী। নাসিক বন্দর অফিসের কতিপয় লোকের যোগসাজশে তারা চাদাবাজি করছে। যা নিয়ে সর্বত্র চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

সথানীয় আবুল কাশেম, ফজল আলী, রহিম মিয়াসহ একাধিক লোকের সাথে আলাপ কালে তারা ক্ষোভের সাথে জানান, কাকে ভাল বলব! মেয়র আইভীকে আমরা এত ভালজানি। তিনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বলে ভাষণ দেন। জীবন থাকাবস্থায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাবেন এবং প্রতিবাদ করে বলেই ব্যলটের মাধ্যমে আমারা তার সহযোদ্ধা হই। কিন্তু কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকায় প্রকাশ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি করছে। এটা কি অনিয়ম বা অন্যায়ের মধ্যে পড়ে না? নগর মাতা মেয়র আইভীকে প্রশ্ন ছুরে দিয়ে তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, মেয়র আইভী আপনি ভাল লোক। কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের সুযোগ দিয়েন না যে সত্য ঘটনা নিয়ে আন্দোলনে নামে। কামাল উদ্দিনের মোড়ে চাদাবাজি হচ্ছে আপনি বন্ধ করুন না হলে আমরা বুঝব আপনি জড়িত আছেন। ওই মোর হতে নাসিক বন্দর অফিস পর্যন্ত কদম রসুল কলেজ, হাজী সিরাজ উদ্দিন মেমোঃ উচ্চ বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ বালিকা, নবীগঞ্জ মাদ্রসা, লাল মিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ বাগ এ জান্নাত কবরস্থানসহ ৩/৪ টি মসজিদ রয়েছে। চাঁদা আদায় করার জন্য গাড়ী থামিয়ে রাখে। শুরু হয় যানজট। দূর্ভোগে পড়ে শিক্ষার্থী, পথচারীরা। দূর্ভোগ থেকে রক্ষা পায় না কবর পথের যাত্রী লাশও। অন্যায় বন্ধ করে তদন্ত পূর্বক চাদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

এছাড়া নবীগঞ্জ খেয়াঘাটস্থ স্ট্যান্ডে প্রায় ২৫/৩০ টি অবৈধ দোকান বসিয়ে মাসে প্রায় দেড়/ দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে র‌্যাব একাধিকবার অভিয়ান চালিয়েছে। র‌্যাব চাঁদাবাজির মামলাও দিয়েছে সোলেমান রানা ও সুমন নামের আরও একজনের বিরুদ্ধে। তারপরও থেমে নেই চাঁদাবাজি।