আইনজীবী ফোরামের কমিটিতে পদপ্রত্যাশি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীযতাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠন নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন পদপ্রত্যাশি আইনজীবী নেতারা। ইতিমধ্যে ফোরামের ভোট প্রার্থনায় নেমে গেছেন বেশকজন আইনজীবী যারা আইনজীবী ফোরামের নেতৃত্ব দিতে চান। তবে কৌশলে একটি পক্ষ চাচ্ছে ভোট এড়িয়ে যেতে। কারন ভোটাধিকার প্রয়োগে তাদের ফলাফল তারা আগেই অনুমান করে নিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে নির্বাচনে যাবেন নাকি কেন্দ্রীয় নেতাদের ম্যানেজ করে সিলেকশনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠিত হবে সেটা দেখার এখনও অনেক সময় বাকি।

এদিকে সভাপতি পদে তুমুল লড়াইয়ে রয়েছেন ফোরামের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভূঁইয়া। সেক্রেটারি পদে আলোচনায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন, অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির হৃদয় এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে  অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন ও অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন আলোচনায় রয়েছেন।

আলোচনায় থাকা উপরোক্ত আইনজীবীদের অনেকেই ভোট প্রার্থনায় নেমেছেন। নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় বিএনপির আইনজীবীরা দুটি পক্ষে বিভক্ত। এখানে অনেকাংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। আর বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বেশকজন আইনজীবী এখানে রয়েছে যারা মুলত তৈমূর বলয়ের আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। আইনজীবী ফোরামের সদস্য ফরম বিতরণ করা হয়েছে দুইভাগে। সাখাওয়াত বলয় থেকে ১৫২ জনের ফরম কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়েছে। আর তৈমূর বলয় থেকে মাত্র ৮৬ জনের ফরম কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়। ফলে এখানে তৈমূর আলমের চেয়ে দিগুন আইনজীবী সাখাওয়াত বলয়ে সেটা প্রমাণিত হয়।

আইনজীবীদের অনেকে বলছেন-এবার ফোরামের কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে হলে তৈমূর আলম খন্দকারের উচিত হবে সকলের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। তিনি একটি পক্ষে অবস্থান নিয়ে কাউকে সমর্থন দিলে এবং সেই প্রার্থী যদি পরাজিত হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় তৈমূর আলম খন্দকারের অবস্থান নড়বড়ে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। অনেকেই বলছেন যেখানে সাখাওয়াত বলয়ে ফরম ১৫২জনের এবং তৈমূর আলম বলয়ে ৮৬ জন আইনজীবীর। এতেই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায় নির্বাচনে জয় পরাজয়ের ক্ষেত্রে কি ঘটতে পারে যদি ভিন্ন কিছু না হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এখানে সমঝোতার মাধ্যমে দুই পক্ষ নিয়ে কমিটি গঠন নতুবা সকলের অভিভাবক হয়ে তৈমূর আলম অবস্থান নিলেই তার সম্মান রক্ষা পাবে।