নারায়ণগঞ্জে ৪১ জুয়ারি সহ ৭১ জন আটক, সাধুবাদ পেল এসপি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৭১ জনকে আটক করেছে জেলা পুুলিশ। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা এলাকা থেকে ৪১ জন জুয়ারীকে একটি স্পট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুুলিশ। তাদের প্রত্যেককে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে ৪১ জন জুয়ারিকে আটকের বিষয়টি নারায়ণগঞ্জে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারন এ জুয়ারীর আসরটি বিশেষ মহলে বিভিন্ন এমপিদের নাম ভাঙ্গিয়ে পরিচালনা করে আসছিলেন বলেও জানাগেছে। এর আগেও নারায়ণগঞ্জে ২৪ জন জুয়ারিকে আটকের ঘটনা ঘটেছিল। তারপর আবারো রহস্যজনক ক্ষমতাবলে জুয়ার আসর বসানো হয়। কিন্তু এবার ছাড় দেয়া হয়নি।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসষ্ট্যান্ড, কালীরবাজার ও আশেপাশের এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের ক্ষমতাধর দাবি করে রমরমা জুয়ার আসর পরিচালনা করছে আসছিল। যা এবার গুড়িয়ে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। নারায়ণগঞ্জের এই পুলিশ সুপার কোন ক্ষমতাধরকে তোয়াক্কা করেননি। তিনি অপরাধীদের অপরাধী হিসেবেই আটক করেছেন। তবে ধরা ছোয়ার বাহিরে রাঘববোয়ালরা।

গত ১২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাতে পুলিশের এমন কঠোর অভিযানে ৪১ জন জুয়ারীকে জুয়ার আসর থেকে আটকের পর নারায়ণগঞ্জের সকলের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। একই সাথে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে সাধুবাদ জানায় নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল। অনেকেই পুলিশ সুপারকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিনন্দনের ঝড় তুলেছেন। এদিকে আটককৃত ৪১ জুয়ারী সহ ৭১ জনকে আদালতে পাঠানোর পর আদালত জুয়ারীদের শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিলেও অন্যান্যদের বিষয়ে আদালত ভিন্ন ভিন্ন আদেশ প্রদান করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানাগেছে।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাতটি থানায় গত ১১/০২/২০১৯ খ্রিঃ ২০.০০ ঘটিকা হইতে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। গত ১২/০২/২০১৯ খ্রিঃ ২০.০০ ঘটিকা হইতে ১৩/০২/২০১৯ খ্রিঃ ০৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল থানায় অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত অভিযানে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ), (সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার)। উক্ত অভিযান পরিচালনায় কাজ করে মোট ১৪ টি টিম। প্রতি টিমে একজন করে সাব ইন্সপেক্টর সহ ৯ থেকে ১০ জন করে ফোর্স অংশগ্রহণ করে। উক্ত অভিযানে মোট ২৯ টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (জি.আর) ও ১২টি (সি.আর) তামিল করা হয় এবং ২টি সাঁজা পরোয়ানা গ্রেপ্তার করা হয়। মোট ৪৩টি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) নিষ্পত্তি করা হয়। এছাড়াও অভিযানে ১৩৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ১ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজা, অভিযানে মোট ১৮টি মাদক মামলা দায়ের করা হয় এবং এ সংক্রান্ত্রে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।