আড়াইহাজারে সেই ব্যারিস্টার সুমনের ফেসবুক লাইভ, প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বেশকটি যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেশের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে আলোচনায় আসছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। তার প্রতিটি ফেসবুক লাইভের পর তাৎক্ষনিক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাও গ্রহণ করছেন। এবার তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারের একটি অসংগতি ফেসবুকে তুলে ধরেন। যার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বাগবাড়ি এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বিকল অবস্থায় পড়ে ছিল একটি বাস। এ পথে যাওয়ার সময় আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুুমন বাসটি ৬ মাস যাবত পড়ে রয়েছেন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি লাইভ করেন। যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর বাসটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন।

ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন গত শুক্রবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাগবাড়ি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তার বাড়ি। ওই সময় তিনি ফেসবুকে একটি লাইভ ছাড়েন। যেখানে তিনি দাবি করেন মহাসড়কের পাশে একটি বাস ৬ মাসের উপরে বাসটি পড়ে আছে বলে জানান। গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-১১-১৫২২। গাড়িটি পড়ে পঁচতেছে এখন। এত ব্যস্ততম সড়ক। এমন ব্যস্ততম সড়কে রাস্তার সাইট দখল করে আছে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ নাই যেখানে গাড়ি এভাবে পড়ে থাকবে। অথচ গাড়িটি পড়ে আছে কেউ খবর নিচ্ছেনা। মহাসড়ক কি কোন পরিত্যাক্ত গ্যারেজ যেখানে গাড়ি ফেলে রাখবেন? এ রকম মহাড়কের পাশে এমন একটি গাড়ি পড়ে থাকবে সেটা কেউ সরাবে না? তাহলে আমরা কিসের মধ্যে আছি?

এছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জের ডিসি এসপি ওসির দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি হাড় জোড় করে অনুনয় বিনয় করে বলেন, এখানে আমার জান যেতে পারে। আপনার জানও যেতে পারে। ৬ মাস একটি মহাসড়কে গাড়ি পড়ে থাকতে পারে না। এটা যদি এভাবে পড়ে থাকে এটা কোন যুদ্ধবিধ্বংস্ত দেশ না। আমাদের সব কিছু আছে। এটার জন্য দায় তো অন্য কেউ নিবে না। আপনারা যারা প্রশাসন আছেন তারা যদি সরান তাহলে আমরা মারা যাবো। ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের ওই ভিডিও লাইভটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানা পুুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘ সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেন, ওই গাড়িটি মালিক সরিয়ে নিয়ে গেছে। আমার দৃষ্টিতে বিষয়টি আসার পর সঙ্গে সঙ্গে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে গাড়িটি সরাতে কাজ করি এবং গাড়ির মালিক গাড়িটি নিয়ে গেছেন।