ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের হাতে কায়সার-কালামের রাজনীতির বিদায় ঘন্টা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের কঠিন পরিস্থিতিতে ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম অসহায় মানুষ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়ে জোড়ালো ভুমিকা রেখেছেন। তার এমন ভুমিকায় উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের মাঝে আস্থা তৈরি করেছে। একই সঙ্গে তার এমন ভুমিকায় একসময়কার দাপটশালী নেতারা এখন শক্তিমত্তায় শূন্যের কোঠায় চলে এসেছেন।

রাজনৈতিকভাবে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে ফিরতে শুরু করেছেন কায়সার ও কালাম বলয়ের নেতাকর্মীরা। ফলে আরো শক্ত অবস্থান তৈরি হচ্ছে আহ্বায়ক কমিটির। একই সঙ্গে সক্রিয় রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু যিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া সহ আহ্বায়ক কমিটির নেতারা।

উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বলছেন- অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের নেতৃত্বে যখন উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয় তখন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে চরম বেকায়দায় পড়ে যান সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত ও মাহফুজুর রহমান কালাম বলয়। সেই কমিটি যখন কেন্দ্রীয়ভাবে অনুমোদিত হয় তখন ব্যর্থতার দায় নিয়ে রাজনীতিতে টিকে থাকার লড়াইয়ে থাকেন কায়সার ও কালাম। এবার করোনাকালে কায়সার ও কালামের চেয়ে জনগণের মাঝে কয়েক’শ গুন বেশি ভুমিকা রেখে কায়সার ও কালামের রাজনীতিতে শেষ পেরেক ঠুকে দিলেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুম। কায়সার, কালাম ও মোশারফের রাজনীতির বিদায় ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে বলেও স্থানীয়দের মন্তব্য।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা আরও বলছেন- একই কমিটির অনুমোদন করেছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল। কমিটির বিরোধীতা করার পর কেন্দ্রীয়ভাবে বৈঠকে এই কমিটির নেতাদের প্রতি আস্থা রেখেই চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেয়া। এই কমিটির প্রতি নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমানের সমর্থনও ছিল। যার ফলে জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের আস্থা রক্ষা করতে পেরেছে আহ্বায়ক কমিটি।

একই সঙ্গে এমপি শামীম ওসমানের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুম। যিনি করোনাকালে প্রায় প্রতিদিন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের ছবিও ব্যানারে ব্যবহার করেছেন। যে কারনে সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের মাঝে শামীম ওসমানও জায়গা করে নিয়েছেন বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে করোনাকালে কায়সার হাসনাত ও মাহফুজুর রহমান কালামের ভুমিকা ছিল ক্ষুদ্র। অথচ কায়সার হাসনাত ছিলেন দলীয় এমপি এবং ওই সময় এমপির পাশে থেকেই ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছিলেন কালাম। কিন্তু করোনাকালে জনগণের মাঝে তাদের ভুমিকা ছিল নগন্য। যে কারনে সোনারগাঁয়ের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুম। একইভাবে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো এখন আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে রাজনীতি করছেন। ফলে ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন কায়সার হাসনাত ও কালাম।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন অথচ করোনাকালে তাকে জনগণের পাশে দেখাই যায়নি। সোনারগাঁয়ে তার রাজনীতি অনেক আগেই ব্যাকফুটে। সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে নেতাকর্মীরা আরও জানিয়েছেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা এইচএম মাসুদ দুলাল সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে এখনও শক্ত অবস্থান তৈরি করতেই পারেননি। ফলে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের শক্ত অবস্থান। জনগণের মাঝেও আস্থা অর্জন করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি।

সোনারগাঁয়ের স্থানীয় নেতাকর্মীরা সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, বিশ^ব্যাপী মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে মানবতার সেবায় এক উজ্জল নক্ষত্র হিসেবে আভির্ভূত হয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। দেশের কোন উপজেলায় প্রতিদিন খাদ্য সামগ্রী ও করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে এত্তসব কর্মসূচি পালন করা হয়েছে কিনা তা সন্দিহান যা সোনারগাঁয়ে করা হয়েছে। একইভাবে জেলার ৪২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ভুমিকা এমন পরিস্থিতিতে তুলে ধরলে সবার আগেই ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে নামটি আসবে ইঞ্জিনিয়ার মাসুম। শুধুমাত্র তার ইউনিয়নেই কয়েক দফায় প্রায় ৩৫ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। সেই ধারাবাহিকতা এখনও রয়েছে।

করোনাকালে শুধু এসব অসহায় মানুষের সেবাতেই নয় তিনি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষেরও পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্নভাবে। যেমন যারা দিনরাত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিমশ্র করছেন সেই পুলিশের নিরাপত্তার স্বার্থে পিপিই প্রদান করেছেন। একই সঙ্গে যারা ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন সেইসব সংবাদকর্মীদের মাঝে পিপিই প্রদান করেছেন। মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম এমন পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন সেইসব শিক্ষক, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশেও দাড়িয়েছেন।

তার মানবতার সেবা থেকে বাদ যায়নি অসহায় দিনযাপন করা হিজড়া সম্পদ্রায়, বেদে সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধি ও ভিক্ষকও। তাদের মাঝেও খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা যুদ্ধ করে আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র এনে দিয়েছেন তারা আজকে বয়বৃদ্ধ যা তাদের পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজন করোনা পরিস্থিতিতে। এমন বিষয়টি চিন্তা করে ইঞ্জিনিয়ার মাসুম নিজে ফলমূলের ডালা নিয়ে ৩৬ জন মুক্তিযোদ্ধার বাসায় ফলমূল পৌছে দিয়েছেন।

এসব ছাপিয়ে গেছে যখন করোনা পরিস্থিতিতে অর্থের অভাবের কারনে একজন মা তার নবজাতক শিশুকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তখন খবর পেয়ে ওই পরিবারের দায়িত্ব দেন এই চেয়ারম্যান। এ ছাড়াও মধ্যবিত্ত অনেক পরিবার আছে যারা প্রকাশ্যে চেয়ে খাদ্য সামগ্রী নিতে পারেনি তাদেরকে গোপনে অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী দিয়েও সহায়তা করেছেন তিনি। সম্প্রতি ২২০টি ভিক্ষুক পরিবারের মাঝেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি।

গত মার্চের ২৫ তারিখ থেকে কয়েক মাস যাবত করোনা পরিস্থিতিতে তার বিভিন্ন কর্মকান্ড পিরোজপুর তথা সোনারগাঁও ছেড়ে পুরো জেলা ব্যাপী সর্বজন নন্দিত মানবিক চেয়ারম্যান হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম-এমনটাই সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে রাজনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি মানব সেবার লক্ষে অদ্যবদি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, কবরস্থান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ওয়াজ মাহফিল, সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও ক্রিয়াঙ্গনে খেলাধুলাসহ সব ক্ষেত্রেই তার দান, অনুদান, অবদান মানুষের জন্য অনুকরনীয়। সেজন্য মানবিক চেয়ারম্যান হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন তিনি।