সিদ্ধিরগঞ্জে মন্তু ও সাগর প্রধানের বাড়ির সামনে যুবদলের কাউন্টার প্রোগ্রাম!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনের লড়াই চলছে। প্রকাশ্যে যুবদলের দুটি গ্রুপ অবস্থান নিয়েছেন। সুপার ফাইভের শীর্ষ তিন নেতাকে বাদ দিয়ে সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ একাই তার বাড়িতে তথ্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ করেন। এই কর্মসূচির কাউন্টার হিসেবে শীর্ষ তিন নেতা সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দীন মন্তু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান বন্দরের কবিলের মোড় এলাকায় বন্দর থানায় ফরম বিতরণ করেন। এর কাউন্টার হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় মমতাজ উদ্দীন মন্তু ও সাগর প্রধানের বাড়িতের সামনে গিয়ে ফরম বিতরণ করেন যুবদলের আরেক গ্রুপ।

জানাগেছে, ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের উদ্যোগে সিদ্ধিরগঞ্জের ৮নং ওয়ার্ডের এনায়েতনগর এলাকায় যুবদলের নেতাদের তথ্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ করা হয়। এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মমতাজ উদ্দীন মন্তু ও সাগর প্রধান। তাদের এলাকায় কর্মসূচি পালিত হলেও মন্তু ও সাগর প্রধান ছিলেন না।

মহানগর যুবদলের সেক্রেটারি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সভাপতি মমতাজ উদ্দীন মন্তুর অনুপুুস্থিতিতে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন থানা যুবদলের সেক্রেটারি জুয়েল প্রধান এবং প্রধান অতিথি হিসেবে ফরম বিতরণ করেন মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু ও প্রধান বক্তা মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ অপু।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাইফুদ্দীন মাহামুদ ফয়সাল ও থানা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামান হোসেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রশিদুর রহমান রশু মহানগর যুবদলের সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দীন মন্তুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের উদ্যোগে তথ্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ। কিন্তু এই থানা কমিটির সভাপতি কি কারনে এই অনুষ্ঠানে আসলেন না সেটা বোধগম্য নয়। তিনি তার বাড়ির সামনের অনুষ্ঠানে না এসে অন্য থানায় গিয়ে কেন ফরম বিতরণ করেন সেটা আমার প্রশ্ন।

তিনি কমিটি গঠনের বিষয়ে বলেন, যখনই কমিটি গঠন শুরু হয় তখনই কালো থাবার প্রভাব পড়ে। ১৪ বছর বিএনপি ক্ষমতায় নাই। সামনে হয়তো সুসময় আসছে। তাই লুটেপুটে খাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে হয়তো কেউ কেউ কমিটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চান।

তিনি জানান, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় যুবদলের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর কমিটির খসড়া তৈরি করে তা কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়। কিন্তু করোনার কারনে কমিটি গঠন আটকে যায়। গত ১০ সেপ্টেম্বর মহানগর কমিটির সুপার ফাইভের সঙ্গে কেন্দ্রীয় যুবদলের মিটিং হয়। কেন্দ্রীয় নেতারা নারায়ণগঞ্জের নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন নারায়ণগঞ্জে কোন সমস্যা আছে কিনা। সেদিন তারা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলে কোন বিশৃঙ্খলা নাই।

১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বাসায় ফরম বিতরণের বিষয়ে রশু বলেন, সেদিন সেক্রেটারির উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আর ফোনই রিসিভ করেননি। কি কারনে তিনি সেখানে গেলেন না জানতে পারলাম না। তিনি না যাওয়ার কারনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সেক্রেটারি জুয়েল প্রধানের হাতে তথ্য সংগ্রহ ফরম তুলে দেয়া হয়। অথচ ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দেখলাম তিনি বন্দরে গিয়ে ফরম বিতরণ করেছেন।

মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল হক মুছার উপর হামলার বিষয়ে রশিদুর রহমান রশু বলেন, সেদিন মুুছার বিষয়ে কি ঘটনা ঘটেছে সেটা সভাপতি ও আমি সামনেই ছিলাম না। আমরা পরে এসে তাৎক্ষনিক মিটমাট করে দুজনকে রিক্সায় তুলে দিয়েছি। অথচ মিডিয়াতে সভাপতিকে দোষারোপ করা হলো।

রশিদুর রহমান রশু তার বক্তব্যের সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সেক্রেটারি জুয়েল প্রধানকে বলেন, মহানগর বিএনপির একটি অংশের কুটকৌশলে পড়েছেন সভাপতি মন্তু। আপনি (জুয়েল প্রধান) তাকে বুঝান তিনি যেনো ভুল পথ থেকে ফিরে আসেন। তাকে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। উনি (মন্তু) একজন সহজ সরল মানুষ। সভাপতি ও সেক্রেটারিকে নিয়ে আপনারা বসে কোন ভুল বুঝাবুঝি থাকলে মিটমাট করুন।

রশু বলেন, এমন বিবেদ দ্বন্ধ মিটমাট না হলেও কেউ উড়ে এসে জুড়ে বসতে চাইলেই কমিটির নেতৃত্ব দেয়া হবে না। ত্যাগীদের মুল্যায়ন করা হবে এবং যারা নির্বাচনে কেন্দ্র পাহাড়া দিতে পারবেন তাদেরকেই পদে রাখা হবে।

প্রধান বক্তা শেখ মোহাম্মদ অপু বিপথে না গিয়ে ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা রাজপথের কর্মী ত্যাগী পরীক্ষিত তাদেরকে নিয়েই কমিটি গঠন করা হবে। যারা রাজপথে ছিলেন না, যারা দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন না। কারন তাদেরকে নিয়ে দলের কোন উপকার হবে না। সিদ্ধিরগঞ্জের কমিটিতে আশা করি ত্যাগী ও রাজপথের সক্রিয় নেতাকর্মীরা মূল্যায়ন পাবেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সেক্রেটারি জুয়েল প্রধান কঠোর সমালোচনা করে বলেন, মন্তু যুবদলের নেতাকর্মীদের কর্মচারী মনে করেন। যাকে তাকে গালিগালাজ করেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি অশোভন আচরণ করেন। উনার মত সভাপতি ও আমার মত সেক্রেটারি বিএনপি থেকে চলে গেলে দলের কোন ক্ষতি হবে না। কারন আমাদের মত কোটি কোটি নেতাকর্মী বিএনপিতে আছেন।

মুছার ঘটনার বিষয়ে জুয়েল প্রধান বলেন, মুছার সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার সময় সভাপতি খোরশেদ ও রশু উপস্থিতই ছিলেন না। অথচ খোরশেদকে নিয়ে মিডিয়াতে বক্তব্য দেয়া হলো। খোরশেদ করোনাকালে যে মানবতা দেখিয়েছেন তা সারাবিশে^ আলোড়িত হয়েছে। তিনি মানবতার ফেরিওয়ালী, করোনার হিরো। অথচ তাকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। মানবিক কারনে তিনি ৬মাস কাজ করেছেন।

বন্দরে ফরম বিতরণের বিষয়ে সুপার ফাইভের তিন নেতার কঠোর সমালোচনা করে জুয়েল প্রধান বলেন, বন্দরে কতিপয় কিছু লোকজন নিয়ে সেখানে ফরম বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু যারা মুলধারার রাজনীতি করেন তারাই ছিলেন না। মন্তু যুবদলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন তিনি দলের শৃঙ্খলা ফিরাতে পারেন না। তিনি কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় না। তিনি ভয় পায়। কারন কি?

তিনি মন্তুকে উদ্দেশ্য করে জুয়েল প্রধান বলেন, আমি ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি। তারপর যুবদলের রাজনীতি করছি। রাজনীতিতে আমরা ভেসে আসিনি। তাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে সহজ পথে আসুুন। আপনাকে এখণও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের অভিভাবক হিসেবে মানি।

কমিটি গঠনের বিষয়ে জুয়েল প্রধান মন্তুর সমালোচনা করে বলেন, আমি থানা যুবদলের সেক্রেটারি। অথচ তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানাকে রেখে কেন্দ্রে খসড়া কমিটি জমা দেন। এটা বাতিল হওয়ার পর তিনি আবার মুছাকে আহ্বায়ক রেখে কেন্দ্রে কমিটি জমা দেন।

মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, মিডিয়াকে প্রভাবিত করে সভাপতি খোরশেদকে বিতর্কে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুছার উপর হামলার সময় সভাপতি খোরশেদ সেখানে ছিলেনই না। অথচ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলো। দলে কিছু লোক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

যুবদল নেতা আক্তার হোসেন বলেন, খোরশেদ মহানগর যুবদলের সভাপতি। তিনি দেশের সম্পদ। তিনি দেশবাসীর কাছে পরিচিত ব্যক্তি। তিনি মহানগর যুবদলকে বিশ^বাসীর কাছে তুলে ধরেছেন। তিনি করোনার বীর, মানবতার ফেরিওয়ালা। অথচ তাকে নিয়ে সমালোচনার চেষ্টা করা হয়।

এর আগের দিন ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান ঐক্যবদ্ধ হয়ে বন্দরে তথ্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ করেন। মুলত এই কর্মসূচির পর তাৎক্ষনিক সিদ্ধিরগঞ্জে ফরম বিতরণ করা হয়।

উপরোক্ত শীর্ষ তিন নেতার সঙ্গে ছিলেন মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হক রানা, আহাম্মদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল হক মুছা, ফিরোজ আহম্মেদ সহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।

জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন বন্দর যুবদলের আওতাধীন ৯টি ওয়ার্ড যুবদলের নেতাকর্মীদের মাঝে তথ্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ করা হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দরের কবিলের মোড় এলাকায় মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হক রানার বাড়িতে মহানগর যুবদলের আয়োজনে নেতাকর্মীদের মাঝে এই তথ্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ করা হয়। এই কর্মসূচিতে সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু ছিলেন না।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর থানা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তু ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান, সহ-সভাপতি নাজমুল হক রানা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মুছা।

বন্দরের অনুষ্ঠানে সভাপতি খোরশেদকে ইঙ্গিত করে নেতারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের রাজনীতি কারো একক ব্যক্তিগত মতামতে পরিচালিত হবে না। যুবদলের কোন নেতাকর্মী কোন ভাইয়ের রাজনীতি করবে না। আমরা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় যুবদলের নির্দেশনায় রাজনীতি করবো। ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে আমাদের দলের স্বার্থ দেখতে হবে। কেউ এমপি মন্ত্রী মেয়র হবে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা যুবদলের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব নয়। যুবদলের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলকে শক্তিশালী ও সু-সংগঠিত করা।

নেতারা আরও বলেন, মহানগর যুবদলের শীর্ষ নেতাদের মাঝে মতের পার্থক্য থাকতেই পারে। সেটা কর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া যাবে না। আমরা সিনিয়র নেতারা এক হয়ে যাবো। কর্মীদের দায়িত্ব দলকে সু-সংগঠিত করে দলের আন্দোলন সংগ্রাম সভা সমাবেশে সক্রিয় ভুমিকা পালন করা।

রাজপথে সক্রিয় নেতাকর্মীদের প্রতিটা ওয়ার্ড যুবদলের কমিটি গঠনের মাধ্যমে মুল্যায়ণ করা হবে বলেও আশ^স্থ করেন শীর্ষ নেতারা। ব্যক্তি স্বার্থে নয় দলের স্বার্থে কাজ করার জন্য সকল নেতাকর্মীদের প্রতিও আহ্বান জানান বক্তারা।

এ ছাড়াও মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মুসার উপর হামলায় লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বক্তারা দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ভবিষৎে এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমরা দেখতে চাইনা। কারন যুবদলের প্রতিটা নেতাকর্মী বিএনপির কর্মী। তারা কারো ব্যক্তিগত কর্মী নয় যে যেনো তেনো আচরণ করা হবে। তারা দলের কর্মী, তারা দলের জন্য কাজ করে হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়। তাদের উপর নিজেরাই আচর দিলে একশত বার ভাবা উচিত।

এর আগে নেতারা জানান, প্রতিটি নেতাকর্মীর যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য কেন্দ্রীয় যুবদল থেকে তথ্য সংগ্রহ ফরম দেয়া হয়েছে। এই তথ্য সংগ্রহ ফরমে নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক তথ্য দেয়া থাকবে। এসব ফরম পূরণ করে কেন্দ্রীয় কমিটির হাতে তুলে দেয়া হবে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকায় মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বাসায় তার অনুগামী নেতাকর্মীদের নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ করা হয়। ওই অনুষ্ঠানের বিষয়ে সুপার ফাইভের তিন নেতা উপস্থিত ছিলেন না। ওইদিন সেখানে গেলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল হক মুছার উপর হামলা করে লাঞ্ছিত করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠেছে খোরশেদের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন মহানগর যুবদলের শীর্ষ নেতারা।