আড়াইহাজারে পুুলিশের মামলায় ইউপি মেম্বার সহ আওয়ামীলীগের ১৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি গণধর্ষণের ঘটনাকে ইস্যূ করে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য সহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (সদস্য) সহ ১৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।পুলিশ আহতের ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ৩ থেকে ৪’শ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

এদিকে ঘটনার একদিন পর ১৭ আগস্ট সোমবার সকালে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এদিনও ১৫টি ঘর বাড়ি ভাংচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে সোমবার সকালে আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ কান্তি রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আড়াইহাজার থানা পুলিশের কনস্টেবল আসাদুজ্জামান ও বজলুর রহমান আহত হন।

পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় সোমবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা লোকমান, ওলামালীগ নেতা তোফাজ্জল, আবু সিদ্দিক, শাহিন, পিয়ারিশ, মকবুল, গিয়াস উদ্দিন, মোশাররফ, ইসমাইল, আবু তাহের, হযরত আলী, নাইম ও জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে, গত ৮ আগস্ট উপজেলার কাকাইল মোড়া গ্রামের একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিভক্ত হয়ে পড়ে কাকাইল মোড়া গ্রামের আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপ। ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কয়েক দিন আগে ওই গ্রামের আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী হিসেবে জুলহাসের লোকজন ফেসবুকে বিচার চেয়ে স্ট্যাটাজ দেয়।

এতে বর্তমান মেম্বার লোকমান ও তার সহযোগি তোফাজ্জল সহ আরো কয়েকজনকে দায়ী করে বিচার চাওয়া হয়। এই নিয়ে লোকমান ও জুলহাসের বাহিনীর মাঝে রবিবার দিনভর ও সোমবার সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। টানা দুইদিন যাবত চলা সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার বিকেল পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।

আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।