আড়াইহাজারে গণধর্ষণ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাজ, দিনভর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত ২৫

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দফায় দফায় সংঘর্ষে টেটাবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। ১৬ আগস্ট রবিবার সকাল ৯টায় উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের কাকাইলমোড়া গ্রামে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষ সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে উভয় পক্ষের অন্তত ২০/২৫টি ঘর ভাংচুর করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, গত ৮ আগস্ট উপজেলার কাকাইলমোড়া গ্রামের একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিভক্ত হয়ে পড়ে কাকাইলমোড়া গ্রাম। ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কয়েক দিন আগে ওই গ্রামের আগামী নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী জুলহাসের লোকজন ফেসবুকে বিচার চেয়ে স্ট্যাটাজ দেয়।

এতে বর্তমান মেম্বার লোকমান ও তার সহযোগি তোফাজ্জলসহ আরো কয়েকজনকে দায়ী করে বিচার চাওয়া হয়। এই নিয়ে লোকমান ও জুলহাসের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে রবিবার সকাল ৯টার দিকে উভয় পক্ষ দা, ছুরি, টেটা, বল্লম ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ঝাঁিপয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গোটা এলাকা রণক্ষেত্র পরিণত হয়। সংঘর্ষ থেমে থেমে চলে বিকাল পর্যন্ত। খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ গেলেও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যার্থ হন। দুপুর দিকে সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে অসহায় হয়ে যায় পুলিশ। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সংঘর্ষ থামলেও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে টেটা বিদ্ধ আবুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষেই ২০/২৫টি ঘরবাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে নেতৃত্ব দান কারী লোকমান ও জুলহাস উভয়ই সরকার দলীয় সমর্থক।

আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিদর্শক (তদন্ত) শওকত হোসেন, এসআই গাজী শামীম, এসআই সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে ২০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই রিপোট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।

অন্যদিকে জানাগেছে, গত ৮ আগস্ট উপজেলার কাকাইল মোড়া গ্রামে এক যুবতীকে গণধর্ষণ করে দূর্বৃত্তরা। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার রহস্য উৎঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তারপর ও ঘটনাটি নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় কাকাইল মোড়া গ্রাম। এতে বাধেঁ রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ।