অর্থ সংকটে সন্তান বিক্রি করতে চিয়েছিলেন মা: সেই পরিবারের দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান মাসুম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে করোনা পরিস্থিতিতে অর্থের অভাবে নিজের নবজাতক সন্তানকে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন মা। সেই পরিবারটির দায়িত্ব নিয়ে মানবতা দেখালেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম।

এর আগে ওই প্রসূতি মায়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার করেছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম। পরে তার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে সমাজের বিত্ত্ববানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

নির্বাহী কর্মকর্তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন চেয়ারম্যান মাসুম। তাৎক্ষণিকভাবে পিরোজপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলমগীর কবির ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেনের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেন এবং পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন চেয়ারম্যান।

এখানে উল্লেখ্যযে, সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ার চর গ্রামে এক ভাড়াটিয়া অন্তঃসত্বা মহিলা অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। অর্থাভাবে তার স্বামীও পালিয়ে যান। এমতাবস্থায় নিজের বাচ্চা বিক্রি করে দেবেন বলে ঘোষণা দেন মা। পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নজরে এলে তিনি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে উপজেলা হাসপাতালে ফুটফুটে এক শিশুর জন্ম দেন তিনি।

এখানে উল্লেখ্যযে, করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু থেকেই সোনারগাঁও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর মাসুম। এ পর্যন্ত তিনি তার পিরোজপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড ছাড়াও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ১৩ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। আগামী ঈদকে সামনে রেখে আরো ৬ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

এখানে আরও উল্লেখ্যযে, করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ সহ জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করা সহ অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। নিয়মিত তিনি শত শত পরিবারের মাঝে পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। এ ছাড়াও পুুুরো উপজেলার ৭০ জন হিজড়া সম্প্রদায়ের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং ২৫০ জন প্রতিবন্ধীর মাঝেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

সোনারগাঁও থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পিপিই প্রদান করেছেন। বেদে সম্প্রদায় ও ভিক্ষুকদের মাঝেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাঝেও উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। ইতিমধ্যে পুরো উপজেলায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে তার। সরকারি বরাদ্দের ত্রাণের সঙ্গে ভর্তূকি দিয়ে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এখন নিয়মিত পৌরসভা ও অন্যান্য ইউনিয়ন এলাকায় তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন।