সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলাবাজারের সেতু ধস, ঝুঁকিতে ৭ গ্রামবাসী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলাবাজার পশ্চিমপাশের্^র পুরাতন সেতুর একপাশ হটাত করে ধসে পড়েছে। ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল বেলা হঠাৎ করে সেতুটির একপাশ ভেঙ্গে পড়ে। ধসে যাওয়ার সময় মানুষ চলাচল না করায় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ফলে প্রায় ৭ গ্রামবাসী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এই সেতুটি দিয়ে। কয়েক বছর ধরে সেতুটি ঝরাজীর্ণ থাকলেও নতুন ব্রীজ নির্মাণ করতে পারেনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। যদিও গত জানুয়ারি মাসে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও কাজ শুরু হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সনমান্দি বাংলাবাজার পশ্চিমপাশের্^র লোকজনের চলাচলের জন্য ১৯৪৭ সালে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে সেতুর দুই পাশে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। পরে সেই কালভার্টের উপর ঢালাই করে সেতুটি পাকা করা হয়। সেই সময় সেতুটি নির্মাণ করা হয় শুধু এসব এলাকার লোকদের যাতায়াতের জন্য। সময়ের পরিবর্তনে লোকসংখ্যা বাড়লেও সেতুটি জনগণের দাবির পরও নতুন করে নির্মাণ করা হয়নি। বিভিন্ন সময় সংসদ সদস্যরা প্রতিশ্রুতি দিলেও সেতুটি নির্মাণের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

ফলে সেতুটির বিভিন্ন স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হয়। তবে, এলাকাবাসীর দাবির মূখে গত অর্থবছরে সেতুটি ভেঙ্গে নতুন সেতু নির্মাণ করার জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। পরে বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু বর্ষাকাল চলে আসার কারনে সেতুটির কাজের কোন অগ্রগতি হয়নি। ফলে ফাটলকৃত স্থানগুলোর কারণে সকাল বেলা হঠাৎ করে সেতুন একটি পাশ ভেঙ্গে পড়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, এ সেতুটি দিয়ে সনমান্দি পশ্চিমপাশের্^ চরলাল, গিরদাইন, ঈমানেরকান্দি, ভাটিচর, ভানিয়াতলা, মাঝেরচর, সিংহের হিসাসহ ৭টি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ এই সেতুটি দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চলাচল করে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে হটাৎ করে সেতুটির একটি পাশ ধসে খালের উপর পড়ে যায়। যে কোন সময় পুরো সেতুটি ধসে পড়তে পারে। এতে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তবে সেতুটির নির্মাণের দরপত্র পাওয়া প্রতিষ্ঠান মাইক্রো ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার আবু নাঈম ইকবাল জানান, সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হলে আমাদের কোম্পানী দরপত্রের মাধ্যমে সেতুটির নির্মাণ কাজ পেয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই সেতুটির কাজ শুরু হবে।